ভি | |
---|---|
পরিচালক | মোহন কৃষ্ণ ইন্দ্রগ্রন্তী |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | মোহন কৃষ্ণ ইন্দ্রগ্রন্তী |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সুর এস. থামন[১] সঙ্গীত অমিত ত্রিবেদী |
চিত্রগ্রাহক | পি. জি. বিন্ডা |
সম্পাদক | মার্তণ্ড কে. ভেঙ্কটেশ |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তেলুগু |
নির্মাণব্যয় | ₹২৫ কোটি[২] |
ভি ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় তেলুগু ভাষার অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মোহন কৃষ্ণ ইন্দ্রগ্রন্তী। শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর ক্রিয়েশনের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন দিল রাজু। ছবিটিতে নানি, সুধীর বাবু, নিবেদা থমাস ও অদিতি রাও হায়দারীসহ বেনেলা কিশোর এবং তানিকেল্লা ভরানীদের মত অভিনয়শিল্পীগণ অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রটির সুরায়োজন করেছেন এস. থামন, সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটির সুর করেছেন অমিত ত্রিবেদী, চিত্রগ্রহণ করেছেন পি. জি. বিন্ডা এবং সম্পাদনা করেছেন মার্তণ্ড কে. ভেঙ্কটেশ। এটি প্রধান অভিনেতা হিসেবে নানির ২৫তম চলচ্চিত্র, যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৩][৪][৫] চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পায়।[৬]
ডিসিপি আদিত্য নামে একজন প্রখ্যাত পুলিশ হায়দ্রাবাদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তদারকি করছেন। বিভিন্ন কেস সমাধানের জন্য এক বছর পরে তাকে বীরত্বের পদক দেওয়া হয়। পরের দিন রাতে প্রসাদ নামে একজন ইনস্পেক্টর অজ্ঞাতনামা খুনির হাতে নির্মমভাবে মারা যায়। খুনি আদিত্যকে তাকে ধরার জন্য আহ্বান জানানো একটি নোট রেখে যায়। আদিত্য আগের রাতে তার সাথে সাক্ষাত হওয়া অপরাধ বিষয়ক উপন্যাস রচয়িতা অপূর্বাকে সন্দেহ করে, কারণ প্রসাদের তার যোগাযোগ ছিল। তবে অপূর্বা কেবল তার গবেষণার জন্য প্রসাদের সাথে দেখা করেছিল, এই সময় তিনি প্রসাদকে মল্লিক নামে এক আবাসন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলেছিলেন যে তাদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এদিকে, খুনি আদিত্যকে ফোন করে তাকে আরও চারটি খুন প্রতিহত করার চ্যালেঞ্জ জানায়, এবং বলে এই খুন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হলে সে পদক ফিরিয়ে দেবে এবং পদত্যাগ করবে। আদিত্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
খুনির নাম "ভি" দিয়ে শুরু হয় তা খুঁজে পাওয়ার পর আদিত্য তার এবং প্রসাদের মধ্যবর্তী ইতিহাসের ভিত্তিতে ভিকি নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ভিকি আদিত্যকে এমন এক ব্যক্তির কথা জানায় যিনি প্রসাদ এবং মল্লিকের খোঁজ করেছিলেন। মল্লিক খুনির পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে জানার পরে আদিত্য তাকে বাঁচাতে ছুটে যায়, কিন্তু গিয়ে দেখতে পায় যে সে ইতোমধ্যে মারা গেছে। খুনি এবার তার পরবর্তী লক্ষ্যের অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে একটি সূত্র ফেলে যায়। আদিত্য এবং অপূর্বা সেই ইঙ্গিত ধরে ফেলে এবং আদিত্য মুম্বই চলে গেল। সেখানে, খুনি তার শিকারকে প্রায় হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে সে আদিত্যকে তার বিদ্যালয়ের দিনগুলির একটি ছবি পাঠায়। ছবি দেখে আদিত্য তার সহপাঠী এবং জনপ্রিয় ছাত্র-ক্রীড়াবিদ বিষ্ণুকে সন্দেহ করে। তিনি ভাইজাগে তার স্কুল থেকে জানতে পারে যে বিষ্ণু সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার এক নিখুঁত রেকর্ডওয়ালা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সৈনিক। আদিত্য বিষ্ণুর এক সহকর্মীর সাথে দেখা করে যে তাকে তাদের অতীতের গল্প বলে।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ঘোষণা দেওয়া হয় চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন মোহন কৃষ্ণ ইন্দ্রগন্তী এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন নানি। এটি নানির ২৫তম চলচ্চিত্র।[৭][৮]
২০১৯ সালের মে মাসে নানিকে বাদ দিয়েই চলচ্চিত্রটির প্রধান দৃশ্যধারণ শুরু হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসে সুধীর বাবু ও অন্যান্য শিল্পীদের নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়।[৯][১০] নানি ২০১৯ সালের ১১ই আগস্ট এই চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেন।[১১] ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থাইল্যান্ডে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শুরু হয়, সেখানে সুধীর বাবু ও নানির মধ্যকার অধিকাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়।[১২]