ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্স, এস.এ. একটি কম খরচে চলাচলের জন্য এয়ারলাইন যা বার্সেলোনার এল প্রাট ডি লুব্রাগাটে অবস্থিত বার্সেলোনার এল প্রাট এয়ারপোর্ট এবং ইটালীর লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি ফিউমিচিনো এয়ারপোর্টকে প্রধান কেন্দ্র নির্ধারণ করে চলাচল করে থাকে । ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্সের বিমান বিভিন্ন মহাদেশের প্রায় ১৫০ টিরও অধিক দেশে চলাচল করে থাকে ।[১] এয়ারলাইন্সের নামটি একটি স্পেনিশ শব্দ ‘ভিউয়িলো’ হতে এসেছে যার ইংরেজি অর্থ হয় ফ্লাইট। আইএজি (আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স গোষ্ঠী) ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্সের একটি প্যারেন্ট কোম্পানি।[২]
২০১২ সালে এয়ারলাইনটির রেভ্যুনিউ ছিল ১১০২.৬ মিলিয়ন ইউরো। ভিউয়িলিং আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের ১৫০ টিরও অধিক গন্তব্যে বিমান পরিচালনা করে থাকে এবং বর্তমানে এটি স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন্স।[৩] ২০১৪ সালে এয়ারলাইন্সটি ১৭.২ মিলিয়ন এরও অধিক যাত্রী বহন করেছে।[৪]
ভিউয়িলিং ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। বার্সেলোনা এবং আইবাইজারের মধ্যে একটি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিক বিমান বহরটি দুইটি এয়ারবাস এ৩২০(A320) বিমান নিয়ে গঠিত হয়েছিলো, যেটি বার্সেলোনা হতে ব্রাসেলস, আইবাইজ়া, পালমা ডি মায়োর্কা ও প্যারিসের চার্লস ডি গল প্রভৃতি স্থানে চলাচল করে থাকে।[৫]
ভিউয়িলিং দুটি ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার প্রোগ্রাম অফার করে থাকে । পুন্তো (পয়েন্ট এর স্পেনীশ উচ্চারণ), যা যাত্রীদের পয়েন্ট সংগ্রহ করতে দেয় এবং পরবর্তীতে ভিউয়িলিং এর যে কোনো গন্তব্যস্থলে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে যাত্রীরা তাদের পয়েন্ট বিনিময় করতে সক্ষম হন । আইবেরিয়া প্লাস সার্ভিস যাত্রীদের ফ্লাইট সুবিধা পেতে অথবা আইবেরিয়ার অন্যান্য সার্ভিস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নগদ ক্যাশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিংবা অন্যান্য যে সকল কোম্পানী আইবেরিয়া প্লাস প্রোগামের সাথে যুক্ত তাদের সেবা পেতে যাত্রীদের সহযোগিতা করে থাকে ।
ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্স এর বিমানগুলো নিন্মের গন্তব্যস্থলগুলোতে চলাচল করে থাকে-
আলজেরিয়া, কেপ ভার্ডা, গাম্বিয়া, ঘানা, মরক্কো, সেনেগাল, তিউনিশিয়া, আর্মেনিয়া, ইসরাঈল, লেবানন, অস্ট্রিয়া, বেলারুস, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরী, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ইটালী, লাটভিয়া, লিউথিনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন এবং যুক্তরাজ্য ।
ভিউয়িলিং এয়ারলাইনের সাথে এর সিস্টার কোম্পানী এয়ার লিংগাস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আইবেরিয়া এবং কাতার এয়ারওয়েজের সাথে কোড শেয়ার চুক্তি রয়েছে ।
২০১৬ সালের মে অনুসারে ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে নিন্মলিখিত বিমানগুলো রয়েছে- এয়ারবাস এ৩১৯-১০০, এয়ারবাস এ৩২০-২০০ এবং এয়ারবাস এ৩২১-২০০ ।
আন্তর্জাতিক দীর্ঘ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্স সিঙ্গেল ইকোনমি ক্লাস কেবিন ও অন্যান্য ফিচার অফার করে থাকে । ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্সের বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম সারির আসনগুলো খুবই আরামদয়ক । এছাড়া এক্স এল আসনগুলোর সাথে সেলফ এর সংযুক্তি রয়েছে, যাতে যা্ত্রীরা আসনে বসে তাদের কাজ করতে পারে ।
ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্স এর যাত্রীদের জন্য প্রথম শ্রেণীর খাবার নির্বাচিত হয়ে থাকে । অত্যন্ত উন্নতমানের এবং সুস্বাদু খাবার এবং পানীয় ভিউয়িলিং এর বিমানে ভ্রমণ অবস্থায় পরিবেশিত হয়ে থাকে । এছাড়া ভিউয়িলিং এয়ারলাইন্স এর বিমান এ ভ্রমণকালে সন্মানিত যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানীয় এর ব্যবস্থা রয়েছে ।
সাধারনভাবে যাত্রীদের আনন্দদায়ক ভ্রমণের লক্ষ্যে অডিও, ভিডিও, মিউজিক, গেমস ইত্যাদি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিনসহ যাত্রীদের ভ্রমণটি উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয় । এছাড়াও বিমানগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা চালু রয়েছে ।