ভিকি এনতেতেমা | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | তানজানিয়ান |
পেশা | সাংবাদিক |
নিয়োগকারী | বিবিসি, আন্ডার দ্য সেম সান |
পরিচিতির কারণ | মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ, মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ড |
ওয়েবসাইট | টুইটার |
ভিকি এনতেতেমা (জন্ম: আনুমানিক ১৯৫৮/৫৯) হলেন তানজানিয়ার একজন সাংবাদিক, যিনি অ্যালবিনিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হত্যার ঘটনা তুলে ধরার জন্য পরিচিত। তিনি দাতব্য সংস্থা আন্ডার দ্য সেম সানের তানজানিয়া শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর।
তানজানিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ভিকি এনতেতেমা সরকারি বৃত্তিতে সোভিয়েত ইউনিয়নে গমন করেছিলেন এবং সেখান থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সোয়াহিলি অনুবাদক হিসেবে বিবিসিতে যোগদান করেন তিনি এবং রেডিও উপস্থাপিকা ও প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
২০০৬ সালে তিনি সিনিয়র সাংবাদিক পদে পদোন্নতি পান এবং বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের তানজানিয়া ব্যুরো প্রধান হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।[১]
২০০৭ সালে ভিকি এনতেতেমা তানজানিয়ায় অ্যালবিনিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের হত্যার ঘটনা প্রকাশ করে পরিচিতি লাভ করেন।[২] তার গোপন প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছিল যে, তানজানিয়ায় অ্যালবিনিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহের অংশকে সৌভাগ্য আনায়নকারী জিনিস হিসেবে বিবেচিনা করা হয়।[২][৩] ফলশ্রুতিতে হত্যার শিকার হয় অ্যালবিনিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা। প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলেছিল। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তিনি হুমকির সম্মুখীন হন এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য দুইবার দেশত্যাগ করেছিলেন।[৩][৪]
পরবর্তীকালে, তিনি বিবিসির চাকরি ছেড়ে দেন এবং অ্যালবিনিজম নিয়ে কাজ করা কানাডীয় দাতব্য সংস্থা আন্ডার দ্য সেম সানের তানজানিয়া শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। ২০১৮ সালে তিনি আন্ডার দ্য সেম সানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।[৫]
২০১০ সালে তিনি তার সাহসী সাংবাদিকতার জন্য ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স মিডিয়া ফাউন্ডেশন থেকে সাহসী সাংবাদিকতা পুরস্কার লাভ করেন।[১][৪] ২০১৩ সালে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগে তানজানিয়া উইমেন অব অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৬ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।[৬][৭]