ভিক্টর হারা | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ভিক্টর লিদিও হারা মারতিনেজ |
জন্ম | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ |
উদ্ভব | Chillán Viejo, চিলি |
মৃত্যু | সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৭৩ | (বয়স ৪০)
ধরন | Folk, Nueva canción, Andean music |
পেশা | Singer/Songwriter, Poet, Theatre director, University academic, Social activist |
বাদ্যযন্ত্র | Vocals, Spanish Guitar |
কার্যকাল | ১৯৫৯-১৯৭৩ |
লেবেল | EMI-Odeon DICAP/Alerce Warner Music |
ওয়েবসাইট | Official website |
ভিক্টর হারা (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈbiktor ˈliðjo ˈxaɾa marˈtines]) (১৯৩২-১৯৭৩)[১] ছিলেন চিলির একজন শিক্ষক, নাট্য নির্দেশক, কবি, গায়ক-গীতিকার ও রাজনৈতিক কর্মী। চিলির মঞ্চ নাটকের বিকাশে তার অবদান ব্যপক, স্থানীয় আঞ্চলিক নাটক থেকে শুরু করে বিশ্বের চিরায়ত এবং নিরীক্ষাধর্মী নাটকেরও নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সংগে সংগীতের বিকাশে তার ভূমিকাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ছিলেন চিলির নতুন গানের আন্দোলন-এর পুরোধা যা সালভাদর আয়েন্দের সরকারের সময় সমকালীন দেশীয় জনপ্রিয় সংগীতে এক বিপ্লবের সূচনা করে।[২] সাম্প্রতিক সময়ে দেশ-বিদেশে সমাদৃত কবি মাজরি আগোসেঁর কবিতা সংকলন অব আর্থ অ্যান্ড সি: এ চিলিয়ান মেমোয়ার—হারাকে উৎসর্গ করে যে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার অংশবিশেষ এই রকম:
“ | নিশুতি রাতে শুনি গিটারের ধ্বনি
শুনি গোঙানি বিধবা ও পিতৃহীন শিশুদের ভিক্তর হারা নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাঁর গান অমর। |
” |
চিলির ১৯৭৩-এর ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন সমর্থিত সামরিক অভ্যূত্থ্যানের পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেনারেল পিনোশের সমর্থক সেনারা চিলির স্টেডিয়ামে আরো পাঁচ হাজার প্রগতিশীল সহযোদ্ধার সংগে তাকেও বন্দি করে নির্মম নির্যাতন চালায়। তিনি সে সময় সান্তিয়াগোর কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যদিও তাঁর আসল পরিচয় চিলির সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের এক রূপকার হিসেবে। আইয়েন্দের নেতৃত্বে যে বাম মোর্চা গঠিত হয়, তার অন্যতম সংগঠক ছিলেন হারা। তাঁর লেখা ও সুর দেওয়া গণসংগীত ‘ভেনসারেমস’—আমাদের হবেই জয় ছিল সে বাম মোর্চার ‘এনথেম’। ১২ সেপ্টেম্বর সেনাসদস্যরা অন্যদের সঙ্গে হারাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে স্টেডিয়ামে। লে. কর্নেল পেদ্রো বারিয়েন্তসের নির্দেশে তাঁকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। আহত, ক্ষত-বিক্ষত হারা গান ধরলেন ‘ভেনসারেমস’। বন্দি অবস্থায়ই তিনি “এস্তাদিও চিলে” বা ‘চিলি স্টেডিয়াম’ নামে একটি অসাধারণ কবিতা রচনা করেন এবং সহযোদ্ধা বন্দিদের মনোবল বাড়ানোর জন্যে গান গাইতে থাকেন। সৈন্যরা তাঁকে গান থামাতে নিষেধ করলেও তিনি গান চালিয়ে যান তাই রাইফেলের বাঁটের আঘাতে তার দুহাত দুমড়ে-মুচড়ে থেঁতলে পরে তাঁর মাথায় গুলি করে তাঁকে হত্যা করে। তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ সান্তিয়াগোর এক শহরতলীর রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, পিনোশের সৈন্যরা তাঁর অধিকাংশ সংগীতের মূল রেকর্ড, পান্ডুলিপি ইত্যাদিও ধ্বংস করে ফেলে।[২]
হারার মৃত্যুর খবর যেদিন প্রথমবারের মতো পত্রিকা মারফত জানানো হয়, সে রাতে হলিউডি ফিল্মের সাউন্ডট্রাকের জায়গায় অল্প সময়ের জন্য হারার একটি সুপরিচিত গান বাজিয়ে দেয়া হয়। হারার মৃত্যুকে যাঁরা নিজেদের লেখায় স্মরণ করেছেন, তাঁদের অন্যতম প্রেসিডেন্ট ইসাবেল আইয়েন্দে যিনি ছিলেন তাঁর চাচা। [২]
সম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুনসম্পাদনা করুন