ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ | |
---|---|
অবস্থান | ওড়িশা, ভারত |
আয়তন | ৬৭২ বর্গকিলোমিটার (২৫৯ মা২) |
স্থাপিত | ১৯৭৫ |
উপাধি | |
---|---|
মনোনীত | ১৯ অগাস্ট ২০০২ |
সূত্র নং | ১২০৫[১] |
ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ ভারতের ওড়িশা রাজ্যের একটি ম্যানগ্রোভ জলাভূমি। এটি ব্রাহ্মণী নদী ও বৈতরণী নদীর ব-দ্বীপে ৬৫০ বর্গ কিলোমিটার (৪০০ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে আচ্ছাদিত।
ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ ১৯৫২ সাল পর্যন্ত জমিদারি বন ছিল। এর পর ওড়িশা সরকার জমিদারি ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে এবং বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে জমিদারি বনগুলিকে নিয়ে আসে। ১৯৭৫ সালে, ৬৭২ বর্গ কিমি এলাকাকে ভিতরকণিকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। এলাকা সহ অভয়ারণ্যের কেন্দ্রীয় ১৪৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় গাহিরমাথা সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা ভিতরকারণ্য বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পূর্বদিকের সীমানা এবং এটি গাহিরমাথা বিচ ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলের অংশকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে। ২০০২ সালে ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের একটি রামসার জলাভূমি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল।[২]
আভিসেননা, ব্রুগুয়েয়ার, হরিটিয়ার এবং রিজোফোরা সহ বিশ্বের ৭২ প্রজাতির ম্যানগ্রোভের মধ্যে ৬২ প্রজাতির ম্যানগ্রোভের দেখা মেলে ওড়িশার ৬৭২ বর্গকিমির ভিতরকণিকায়।[৩] ম্যানগ্রোভগুলিতে উপস্থিত সরীসৃপগুলির মধ্যে রয়েছে নোনা জলের কুমির, কিং কোবরা, ভারতীয় পাইথন এবং বড় গুইসাপ। ২০০৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর ২০০৬ সালে মধ্যে ২৬৩ টি পাখির প্রজাতি রেকর্ড করা হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে ১৪৭ টি পাখির প্রজাতি আবাসিক এবং ৯৯ টি পাখির প্রজাতি অভিবাসী। একটি হেরোনি প্রায় ৪ হেক্টর (৯.৯ একর) এলাকা জুড়ে থাকে, যেখানে ২০০৬ সালে গণনা করে ১১,২৮৭ টি হেরোনি পাওয়া যায়।[৪]
অলিভ রেডলি কচ্ছপ জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসে সমুদ্র থেকে গাহিরমাথা সৈকতে উঠে আসে। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী অলিভ রেডলি কচ্ছপ প্রতি ঋতুতে গাহিরমাথা সৈকতে গড়ে ২,৪০,০০০ টি বাসা বাঁধে। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৮০,০০০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। ১৯৮৩ সাল থেকে, কচ্ছপ সংগ্রহ ও বিপণন ও তাদের ডিম নিষিদ্ধ করা হয়।[৫]