ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভিনসেন্ট রিচার্ড হগ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সালিশ্বুরি, রোডেশিয়া | ৩ জুলাই ১৯৫২||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫) | ৯ জুন ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ জুন ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
ভিনসেন্ট রিচার্ড হগ (ইংরেজি: Vince Hogg; জন্ম: ৩ জুলাই, ১৯৫২) সলসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে রোডেশিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ভিন্স হগ।
১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত ভিন্স হগের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এক দশকের অধিক সময় জিম্বাবুয়ে দলের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে বয়সভিত্তিক খেলা থেকে শুরুর করে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে ধীরগতিসম্পন্ন ইনিংসের ন্যায় অগৌরবজনক রেকর্ডের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে পিটারমারিৎজবার্গে অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ে - রোডেশিয়া বি দলের সদস্যরূপে নাটাল বি দলের বিপক্ষে ৮৭ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে শূন্য রান করেন।[১]
১৯৭১-৭২ মৌসুমে কারি কাপে রোডেশিয়ার পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। অবশ্য পরবর্তী তিন বছরে আর কোনো খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি। এরপর অবশ্য দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তিনি। এরপূর্বে ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফির শিরোপা বিজয়ী জিম্বাবুয়ে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঐ বছরের শীতকালে নিজস্ব শেষ মৌসুমে সদ্য টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্ত শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/২৬ গড়েন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ভিন্স হগ। ঐ সময়ে জিম্বাবুয়ে দল টেস্ট মর্যাদা বহির্ভূত দল ছিল। ফলে, টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। ৯ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৬ জুন, ১৯৮৩ তারিখে সাউদাম্পটনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। এ দুটো খেলাই ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার ছিল। ১৯৮৩ সালের ক্রিকেটে বিশ্বকাপে সর্বশেষ খেলাগুলোয় অংশ নেন তিনি।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায় জগতের দিকে ধাবিত হন। আবাসন শিল্পে ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। এরপর ২০০২ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রবার্ট মুগাবে সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক চাপের ন্যায় কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলান্তে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের হাল ধরেন তিনি। হগের স্থিরতাপূর্ণ কর্তৃপক্ষীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও খেলোয়াড়দের সাথে চমৎকার সম্পর্কে কিছু কঠিন পরিস্থিতি খুব সহজেই উৎরে যান।