ভিয়োলেট জাবো | |
---|---|
ডাকনাম | লুইস (লা পি’টাইট অ্যাঙ্গলাইস নামেও পরিচিত) |
জন্ম | ২৬ জুন, ১৯২১ প্যারিস, ফ্রাঞ্চ |
মৃত্যু | ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫ রাভেনসব্রেক, নাজি জার্মানি |
আনুগত্য | যুক্তরাজ্য, ফ্রাঞ্চ |
সেবা/ | বিশেষ অপারেশন এক্সিকিউটিভ (এসওই), ফার্স্ট এইড নার্সিং ইয়মোনারী (এফএএনওয়াই) |
কার্যকাল | ১৯৪১-১৯৪৫ (এফএএনওয়াই) / ১৯৪২/৪৩-১৯৪৫ (এসওই) |
পদমর্যাদা | কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার |
ইউনিট | এফ সেকসন |
পুরস্কার | জর্জ ক্রস ক্রোইস ডি গ্যারি ম্যাডিলি ড্য লা রেসিস্টেন্স |
ভিয়োলেট রিনি এলিজাবেথ বাশেল জাবো (২৬ জুন, ১৯২১ - ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ফ্রেন্স-ব্রিটিশ গুপ্তচর।[১]
ভিয়োলেট জাবো ২৬ জুন, ১৯২১ সালে প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার বাবা ছিলেন একজন ব্রিটিশ ট্যাক্সি চালক এবং মা ছিলেন ফ্রেঞ্চ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তাদের দুজনের সাক্ষাত হয়েছিল।[৩] ভিয়োলেট তার বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। এগারো বছর বয়সে তার পরিবার প্যারিস থেকে লন্ডনে চলে যায়। সেখানে তিনি ব্রিক্সটন সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চৌদ্দ বছর বয়সে ভিয়োলেট বিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং ব্রিক্সটনে একটি হেয়ার ড্রেসার সেন্টারে সহকারী হিসেবে কাজ নেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ডের স্ট্রিট শাখায় তিনি ওয়েলওর্থের একটি ডিপার্টমেন্টের বিক্রয় সহকারী হিসেবে কাজ করেন।[৪]
১৯৪০ সালে লন্ডনে তার সাথে হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভুত ফ্রাঞ্চ সেনাবাহিনীর অফিসার অ্যাতানি জাবোর সাথে সাক্ষাত হয়। অ্যাতানির সাথে ৪২ দিন প্রেম করার পর ১৯৪০ সালের ২১ আগস্ট তার বিয়ে করেন।[২] বিয়ের সময় ভিয়োলেটের বয়স ছিল ১৯ বছর এবং অ্যাতানির বয়স ছিল ৩১ বছর। বিয়ের পরের বছরই অ্যাতানিকে উত্তর আফ্রিকা পাঠানো হয় “এল অ্যালাম্যাইনের” যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য। ৮ জুন, ১৯৪২ সালে তাদের একমাত্র কন্যা তানিয়ার জন্ম হয়।[৫] এর কিছুদিন পর অক্টোবর, ১৯৪২ সালে তার স্বামী অ্যাতানি “এল অ্যালাম্যাইনে” জার্মানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাধেঁ চোট পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অ্যাতানি মৃত্যুর আগে তার মেয়ে তানিয়াকে দেখে যেতে পারেননি। তার স্বামীর মৃত্যুই তাকে যুদ্ধে অংশ নিতে প্রেরণা যুগিয়েছিল। ১৯৪১ সালে তিনি আগে থেকেই অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন এবং এরপর তিনি “বিশেষ অপারেশন এক্সিকিউটিভে” যোগ দেন।