ভিলহেলম ফিলিপ শিম্পার (১২ জানুয়ারি ১৮০৮ - ২০ মার্চ ১৮৮০) ছিলেন ফরাসী আলজাস উদ্ভিদবিদ, যিনি পরে জার্মান নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। [ক] তিনি দোসেনহেম-সুর-জিনসেলে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু আলজেসের ভসগেস পর্বতের পাদদেশের অফউইলার গ্রামেই তাঁর যৌবনকাল কাটিয়েছেন। তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞানী আন্দ্রেয়াস ফ্রাঞ্জ উইলহেম শিম্পার (১৮৫৬-১৯০১) এবং প্রকৃতিবিদ কার্ল ফ্রেড্রিখ শিম্পার (১৮০৩-১৮৬৭) এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী জর্জ হেনরিক উইলহেম শিম্পার (১৮০৪-১৮৭৮)এর চাচাত ভাই।
স্ত্রাসবুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করার পরই, তিনি স্ত্রাসবুরের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে একজন কিউরেটর হিসেবে কাজ করেন। ১৮৩৯ সালে এই জাদুঘরের পরিচালক হন। জাদুঘরের সিঁড়ির উপরে শিম্পারের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে।
১৮৬২ থেকে ১৮৭৯ অবধি তিনি স্ত্রাসবুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব এবং প্রাকৃতিক ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন।
জীববিজ্ঞানে শিম্পারের অবদানগুলি মূলত ব্রায়োলজি (শ্যাওলা গবেষণা) এবং প্যালিওবোটানি (উদ্ভিদ জীবাশ্মের অধ্যয়ন) এর বিশেষায়িত ক্ষেত্রগুলি ছিল। তিনি পুরো ইউরোপ ভ্রমণ করে বোটানিকাল নমুনা সংগ্রহ করতে যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছিলেন। তাঁর লেখার মধ্যে ছিল ব্রায়োলজিয়া ইউরোপিয়া ছয় খণ্ডের একটি মহাকাব্য যা ১৮৩৬ থেকে ১৮৫৫ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি ফিলিপ ব্রুচের (১৭৮১-১৮৪৭) সাথে সহ-লিখিত ছিল এবং এটি ইউরোপীয় মসবর্গীয় প্রতিটি প্রজাতি বর্ণনা করেছিল।
শিম্পার ভূতত্ত্বের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৮৭৪ সালে তিনি ভূতাত্ত্বিক সময়ের একটি নতুন বৈজ্ঞানিক শাখার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি এই নতুন যুগকে " প্যালিওসিন যুগ " হিসাবে অভিহিত করেছিলেন, তিনি প্যারিস অববাহিকা থেকে প্রাপ্ত পেলিবোটানিক্যাল অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে এটি করেছিলেন। [১]
১৮৫৪ সাল থেকে তিনি প্যারিসের ফরাসি একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সংশ্লিষ্ট সদস্য ছিলেন। শিম্পার ১৮৬২ সালে জার্মান ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস লিওপল্ডিনার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। [২] তিনি ১৮৭২ সালে গাটিংজেন একাডেমি অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের একজন সংশ্লিষ্ট সদস্য হন।
স্ত্রসবুরের অরেঞ্জেরি কোয়ার্টারে একটি রাস্তা তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে।