ভিলহেল্ম ভিন | |
---|---|
জন্ম | Wilhelm Carl Werner Otto Fritz Franz Wien ১৩ জানুয়ারি ১৮৬৪ |
মৃত্যু | ৩০ আগস্ট ১৯২৮ | (বয়স ৬৪)
জাতীয়তা | জার্মান |
মাতৃশিক্ষায়তন | গ্যটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | কৃষ্ণবস্তু ভিনের সূত্র |
দাম্পত্য সঙ্গী | লুইস মাহলার (১৮৯৮) |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯১১) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | University of Giessen University of Würzburg University of Munich RWTH Aachen |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | Hermann von Helmholtz |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | Karl Hartmann Gabriel Holtsmark Eduard Rüchardt |
ভিলহেল্ম ভিন (জানুয়ারি ১৩, ১৮৬৪ – আগস্ট ৩০, ১৯২৮) একজন জার্মান পদার্থবিদ যিনি ১৯১১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তাপগতিবিদ্যা বিষয়ে একটি যুগান্তকারী সূত্র প্রদান করেন যা ভিনের সূত্র নামে পরিচিত।
তার নামানুসারে মঙ্গল গ্রহের একটি খাদের নাম রাখা হয়েছে।
১৯১৩ সালে তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের আর্নেস্ট কেম্পটন অ্যাডামস প্রভাষক হিসাবে আমন্ত্রিত হন।
ভিনের জন্ম পূর্ব প্রুশিয়ার ফিসছাউসেন এলাকায়, যা বর্তমানে রাশিয়ার অন্তর্গত। তার পিতা কার্ল ভিন ছিলেন স্থানীয় ভূস্বামী। ১৮৬৬ সালে ভিনের পরিবার পূর্ব প্রুশিয়ার রাস্টেনবার্গের দ্রাখস্টেইন এলাকায় চলে যায়।
১৮৭৯ সালে ভিন রাস্টেনবার্গের স্কুলে ভর্তি হন, এবং পরে ১৮৮০-১৮৮২ সালে হাইডেলবার্গের সিটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৮৮২ সালে তিনি গটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৮৩ হতে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তিনি হারম্যান ফন হেল্মহোলৎস এর গবেষণাগারে কাজ করেন। ১৮৮৬ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিলো ধাতুর উপরে আলোর অপবর্তন এবং প্রতিসরিত আলোর বর্ণের উপরে বিভিন্ন পদার্থের প্রভাব।
১৮৯৬ হতে ১৮৯৯ এর মধ্যে ভিন স্বনামধন্য আচেন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯০০ সাল হতে তিনি উর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেনের স্থলাভিষিক্ত হন এবং শিক্ষকতা করেন।
১৮৯৬ সালে ভিন তেজস্ক্রিয়তার একটি ডিস্ট্রিবিউশন সূত্র উদ্ভাবন করেন। ভিনের সহকর্মী ম্যাক্স প্ল্যাংক পরে ১৯০০ সালে কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল তত্ত্ব প্রদানের সময় দেখান যে, ভিনের সূত্র উচ্চ কম্পাংকে সঠিক ফল দিলেও নিম্ন কম্পাংকে ঠিক ভাবে কাজ করে না।
আয়নিত গ্যাসের প্রবাহকে পর্যবেক্ষণের সময় ১৮৯৮ সালে ভিন আবিষ্কার করেন যে, হাইড্রোজেনের সমান ভরের একটি ধনাত্মক কণিকা রয়েছে। এই কাজের মাধ্যমে ভিন মাস স্পেক্ট্রোস্কোপীর ভিত্তি স্থাপন করেন। জে জে টমসন ভিনের যন্ত্রের উন্নতি সাধন করে ১৯১৩ সালে আরো বিষদ গবেষণা করেন। ১৯১৯ সালে রাদারফোর্ডের কাজের পরে ভিনের আবিষ্কৃত এই কণিকাটির নাম রাখা হয় প্রোটন।
তাপ বিকিরণের উপরে গবেষণার জন্য ১৯১১ সালে ভিন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।