ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভিসেন্তে দেল বোস্কে গোনসালেস | ||
জন্ম | ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫০ | ||
জন্ম স্থান | সালামাঙ্কা, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৮৪ মিটার (৬ ফুট ১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৬৬-১৯৬৮ | সালমানটিনো | ||
১৯৬৮-১৯৬৯ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৬৯-১৯৭০ | প্লাস আল্ট্রা | ১১ | (৫) |
১৯৭০-১৯৮৪ | রিয়াল মাদ্রিদ | ৩১২ | (১৪) |
১৯৭০-১৯৭১ | → কাস্তেয়োন (ধার) | ১৩ | (৪) |
১৯৭১-১৯৭২ | → কর্দোবা (ধার) | ১৯ | (১) |
১৯৭২-১৯৭৩ | → কাস্তেয়োন (ধার) | ৩০ | (৫) |
মোট | ৩৮৫ | (২৯) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৬৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৮ | ১ | (০) |
১৯৭০-১৯৭৬ | স্পেন শৌখিন | ৩ | (০) |
১৯৭৫-১৯৮০ | স্পেন | ১৮ | (১) |
পরিচালিত দল | |||
১৯৮৭-১৯৯০ | রিয়াল মাদ্রিদ বি | ||
১৯৯৪ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
১৯৯৬ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
১৯৯৯-২০০৩ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
২০০৪-২০০৫ | বেসিকতাস | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ভিসেন্তে দেল বোস্কে গোনসালেস, প্রথম মার্কেস্সেত অব দেল বোস্কে (স্পেনীয় উচ্চারণ: [biˈθente ðel ˈβoske ɣonˈθaleθ]; স্পেনীয়: Vicente del Bosque González; জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫০) স্পেনের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন। এছাড়াও তিনি লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ, কর্দোবা এবং ক্যাসেলনের পক্ষ হয়েও মাঠে নেমেছেন। বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে তিনি দেল বোস্কে নামেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ৩১ জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত তিনি স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত দেল বোস্কে মারিয়া দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ লোপেসকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তন্মধ্যে একটি পুত্র স্নায়ুবৈকল্যে ভুগলেও সুস্থই রয়েছে।[১]
স্পেনিশ ফুটবল লীগ পদ্ধতি লা লিগায় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে দেল বোস্কে ৪৪১টি খেলায় অংশগ্রহণ করে ৩০ গোল করেন। খেলোয়াড়ী জীবনে কাস্তিলা সিএফ, কর্দোবা, কাস্তেয়োন এবং রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন তিনি। ঘরোয়া ফুটবলে লা লিগায় পাঁচবার ১৯৭৪-৭৫, ১৯৭৫-৭৬, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৭৮-৭৯, ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে এবং কোপা দেল রেতে চারবার ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫, ১৯৭৯-৮০, ১৯৮১-৮২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা বিজয়ে অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষ হয়ে ১৮টি খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে একবার গোল করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি।[২] স্পেনের পক্ষ হয়ে উয়েফা ইউরো ১৯৮০-তে অংশ নিয়েছিলেন বোস্কে।[৩] কিন্তু স্পেন দলটি গ্রুপ পর্বেই প্রতিযোগিতা থেকে বাধ্য হয়েছিল।
১১ মার্চ, ২০০৮ সালে দেল বোস্কে ঘোষণা দেন যে তিনি স্পেন দলের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তীতে ১৫ জুলাই, ২০০৮ সালে নিশ্চিত করা হয় যে তিনি লুইস আরাগোনেজের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।[৪][৫]
স্পেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই-পর্বে উয়েফা অঞ্চলের গ্রুপ-৫ থেকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয় এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। এ পর্যায়ে তারা বসনিয়া ও হারজেগোভিনা, আর্মেনিয়া, সার্বিয়া - এ তিনটি দলের বিপক্ষে জয়লাভ করেছিল। তন্মধ্যে তিনি সার্বিয়া দলের বিপক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে বোজান ক্রিককে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। পরবর্তী পর্বে এস্তোনিয়া ও বেলজিয়ামকে হারিয়ে শতভাগ জয় নিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ঠাঁয় পায় দলটি।
১৬ জুন বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে জয় পায়।[৬] এরপর স্পেন গ্রুপ-এইচ থেকে পরের দুই খেলায় জয়ী হয়ে নক-আউটভিত্তিক ১৬ দলে পৌঁছে। পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে হারায়। ৭ জুলাইয়ের সেমি-ফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে।[৭] টোটাল ফুটবলের দেশ নেদারল্যান্ডকে চূড়ান্ত খেলার অতিরিক্ত সময়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা'র জয়সূচক গোলে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়।[৮]