| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০১৩ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ৯ জানুয়ারি ২০১৫ | ||||||
হাব | Indira Gandhi International Airport | ||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | Club Vistara | ||||||
বিমানবহরের আকার | ৪০ | ||||||
গন্তব্য | ৩৪ | ||||||
প্রধান কোম্পানি | Tata sons (51%) Singapore Airlines (49%) | ||||||
প্রধান কার্যালয় | One Horizon Center, Gurgaon, India | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | Bhaskar Bhat (Chairman) Phee Teik Yeoh (CEO) | ||||||
কর্মচারী | 900 (March 2016)[১] | ||||||
ওয়েবসাইট | www |
ভিস্তারা হচ্ছে গুড়গাঁও ভিত্তিক একটি ভারতীয় এয়ারলাইন যা ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর|দিল্লি-ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে চলাচল করে । দ্যা ক্যারিয়ার, টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি যৌথ উদ্যোগ, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি দিল্লি ও মুম্বাই এর মধ্যে উদ্বোধনী ফ্লাইট এর মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এক মিলিয়ন এর অধিক যাত্রী বহন করে । ভিসতারা হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ যাত্রাপথে প্রিমিয়াম ইকোনমি সেবা প্রদানকারী প্রথম এয়ারলাইন ।
এয়ারলাইনটি ভারতের টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে (জেভি)২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।[২][৩][৪][৫][৬][৭][৮] এই উদ্যোগটি ছিলো ১৯৩০ সালে টাটা এয়ারলাইন্স এর পর এয়ারলাইন সেক্টরে টাটার দ্বিতীয় প্রধান বিনিয়োগ (এছাড়াও এয়ার এশিয়া ভারতের শেয়ারের একটি অংশ টাটা কোম্পানির রয়েছে)।[৯] টাটা বিমান পরে এয়ার ইন্ডিয়াতে পরিনত হয় এবং পরবর্তীকালে একে জাতীয়করণ করা হয় ।[৯] যৌথ কোম্পানিটি ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট এর ব্র্যান্ড পরিচয় ভিসতারা নামে পরিচিত হয়ে উঠে । নামটি সংস্কৃত শব্দ ভিসতার থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে "সীমাহীন বিস্তৃতি" ।[১০][১১] বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ(DGCA) ১৫ হতে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার বিমান পরিচালনার লাইসেন্স লাভ করে এবং ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি তার কার্যক্রম শুরু করে ।
২০১৫ সালের মার্চে, ভিস্তারা তার নতুন অফিস সেক্টর ৪৩, ওয়ান হরাইজন সেন্টার টাওয়ার, গুরগাঁও, যা দিল্লির একটি স্যাটেলাইট শহর সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ভিসতারা এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ফি তেইক ইয়ো এবং প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিও) হিসেবে জিয়াম মিং তোংহ কে হিসাবে নিয়োগ প্রদান করে- যারা প্রত্যেকেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স|সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ভাস্কর ভাট, টাটা কোম্পানির আরেকটি প্রতিষ্ঠান টাইটান এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রসাদ মেনন অবসর নেওয়ার পর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।
মার্চ ২০১৬ হিসাবে, ভিসতারা নিম্নলিখিত গন্তব্যস্থলসমূহে যাতায়াত করে: আসাম, দিল্লি, গোয়া, গুজরাত, জাম্মু এবং কাশ্মির, কর্ণটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, ঊড়িষা, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ
মার্চ ২০১৬ হিসাবে, ভিসতারা নিম্নলিখিত বিমানগুলো পরিচালনা করেছে: এয়ারবাস এ৩২০-২০০ এয়ারবাস এ৩২০নিও
কেবিন বিজনেস শ্রেণী একটি পূর্ণ সেবাদানকারী বাহক হিসেবে , ভিসতারা ১৬টি বিজনেস শ্রেণীর আসন প্রদান করে । বিজনেস শ্রেণীর আসনগুলো ৪২ ইঞ্চি উঁচু এবং ২০.১২ ইঞ্চি চওড়া ।[১৯] বর্তমানে, কোনও আসনের সাথে এলসিডি স্ক্রীণ সংযুক্ত নেই কিন্তু এই শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে । [১২]
ভিসতারা ইন্ডিয়ায় প্রথম এয়ারলাইন যা দেশীয় বাজারে প্রিমিয়াম ইকোনমি শ্রেণী চালু করে ৷ বর্তমানে এটি ৩৬ টি প্রিমিয়াম ইকোনমি আসন সুবিধা প্রদান করে ৷ প্রিমিয়াম ইকোনমির প্রতিটি আসন ৩৩ থেকে ৩৬ ইঞ্চি উঁচু এবং ১৮ ইঞ্চি চওড়া ৷[১৩][১৪]
২০১৬ সালের মার্চ হতে ভিসতারা একমুখী ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধার মাধ্যমে সরাসরি বিনোদনমূলক অডিও, ভিডিও কিংবা অন্যান্য ফাইল যাত্রীদের ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে (ট্যাবলেট এবং স্মার্ট ফোন) প্রদান করা শুরু করেছে ৷ বিজনেজ শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য বিনোদন বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ ট্যাবলেট সুবিধা প্রদান করা হয় ৷
ভ্রমণাবস্থায় যে খাবার পরিবেশিত হয়, তা তাজসেটস এয়ার ক্যাটারিং দ্বারা প্রস্তুত করা হয় ৷ এর দায়িত্বে রয়েছেন শেফ অরুণ বাত্রা, পূর্বে যিনি তাজ হোটেল গ্রুপ এর একজন শেফ হিসেবে কাজ করেছেন৷ ভিসতারা প্রতিটি কেবিনের জন্য দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্রেকফাস্ট, জলখাবার, লাঞ্চ এবং ডিনার এই খাবারগুলো পরিবেশন করে । আমিষ কিংবা নিরামিষ দু ধরনের খাদ্যই পরিবেশন করা হয়ে থাকে । এছাড়াও যাত্রীদের চাহিদা ও অর্ডার অনুসারে স্পেশাল নাস্তা প্রদানের সুবিধাও রয়েছে ।