ভুটান গ্লোরি Bhutan Glory | |
---|---|
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Lepidoptera |
পরিবার: | Papilionidae |
গণ: | Bhutanitis |
প্রজাতি: | B. lidderdalii |
দ্বিপদী নাম | |
Bhutanitis lidderdalii | |
প্রতিশব্দ | |
Armandia lidderdali |
ভুটান গ্লোরি (বৈজ্ঞানিক নাম: Bhutanitis lidderdalii(Atkinson, [1873])) এক প্রজাতির বড় আকারের প্রজাপতি, যার শরীর মূখ্যত কালচে এবং ডানা কালো তার উপর পাতলা, তরঙ্গায়িত, ক্রিম রঙের সরু দাগ উল্লম্বভাবে অবস্থিত। এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ পরিবারের এবং 'প্যাপিলিওনিনি' উপগোত্রের সদস্য।
ভুটান গ্লোরি এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৯০-১১০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।
ভারতে প্রাপ্ত ভুটান গ্লোরি এর উপপ্রজাতি হল-[২]
এই প্রজাতি ভারত এর পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত, মণিপুর, মেঘালয় নাগাল্যান্ড[৩] এবং ভুটান এর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়।
প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-
পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় প্রকারের ডানার উপরিতল ধূসর কালো এবং উভয় ডানাতেই কোস্টা থেকে ডরসাম অবধি বিস্তৃত সরু হলদেটে ৮টি রেখা দ্বারা আকর্ষনীয় ভাবে চিত্রিত। পিছনের ডানার এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে একটি বড় টর্নাল (tornal) পটি বর্তমান যার ভিতরের দিকের অংশ সিঁদুরে লাল (scarlet) এবং বর্হিভাগ কালো বর্নের। উক্ত টর্নাল পটির (patch) কালো অংশের মধ্যভাগে ১, ২ এবং ৩ নং শিরামধ্যে কয়েকটি ছোট ধূসর নীল ছোপ চোখে পড়ে যাদের শীর্ষভাগ সাদা এবং প্রান্তভাগ কমলা অর্ধচন্দ্রাকৃতি ছোপ দ্বারা সীমায়িত (bordered)। পিছনের ডানায় কয়েকটি লেজ বিদ্যমান, তাদের মধ্যে ৪ নং শিরা থেকে উৎপন্ন হওয়া লেজটি সবচেয়ে লম্বা। ডানাগুলি লম্বা, সামনের ডানা গোলাকৃতি।
ডানার নিম্নতল উপরিতলের অনুরূপ, তবে দাগগুলি অপেক্ষাকৃত চওড়া। স্ত্রী এবং পুরুষ প্রকার অনুরূপ।[৪]
দুর্লভ দর্শন এই প্রজাতির উড়ান দুর্বল, এরা সাধারণত হাওয়াতে ডানা ভাসিয়ে চক্রাকারে উড়ে বেড়ায় গাছের মাথার উচ্চতায় এবং খুব কমই এদের ভূমির কাছাকাছি বিচরণ করতে দেখা যায়। এদের দেহ এবং ডানা থেকে একপ্রকার সুমিষ্ট গন্ধ নির্গত হয় যা খানিক দীর্ঘস্থায়ী। এই প্রজাতির দুটি রূপ (brood), প্রথম রূপকে দেখা যায় মে থেকে জুন মাসে এবং দ্বিতীয় রূপটি দেখা যায় অগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। পার্বত্য জঙ্গলে ৫০০০-৯০০০ ফুট উচ্চতা অবধি।[৫]