মুদ্রা | গুলট্রাম (বিটিএন) |
---|---|
১ জানুয়ারী – ৩১ ডিসেম্বর | |
বাণিজ্যিক সংস্থা | সাফটা |
পরিসংখ্যান | |
জিডিপি | $২.০৮৫ বিলিয়ন (২০১৫)[১] |
জিডিপি ক্রম | ১৬৮তম (nominal) / ১৪৮তম (PPP) |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | ৭.৩% (২০১৫), ৭.৪% (২০১৬), ৫.৮% (২০১৭), ৫.৪% (২০১৮) [২] |
মাথাপিছু জিডিপি | $৮,১০০ (২০১৫) [১] U |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষিকাজ: ১৪.৪%, কল-কারখানা ৪১.৬%, চাকুরি ৪৪% (২০১৪)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
৯.৬% (২০১৪) | |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | ১২% (২০১২) |
৩৮.৭ (২০১২) | |
শ্রমশক্তি | ৩,৪৫,৮০০ (২০১৩) |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি | কৃষিকাজ ৫৬%, কল-কারখানা ২২%, চাকুরি ২২% (২০১৩) |
বেকারত্ব | ২.৯% (২০১৩) |
প্রধান শিল্পসমূহ | সিমেন্ট, কাঠশিল্প, ফল-মূল, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পর্যটন |
৭৫তম (২০১৭)[৩] | |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | $৬৫০.৩ million (২০১৪) |
রপ্তানি পণ্য | বিদ্যুৎ (ভারতের প্রতি), এলাচ, জিপসাম, কাঠশিল্প, হস্তশিল্প, সিমেন্ট, ফল, মূল্যবান পাথর, মসলা |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | ভারত ৮১.১% বাংলাদেশ ৬.৪% হং কং ৫.৮% চীন ৩.৮% নেপাল ২.৯% (২০১৩)[৪] |
আমদানি | $৯৮০.৬ মিলিয়ন (২০১৪) |
আমদানি পণ্য | ফুয়েল এবং লুব্রিকেন্ট, ভূট্টা, বিমান, যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ, গাড়ি, কাপড়, চাল |
প্রধান আমদানি অংশীদার | ভারত ৭৮.৩% চীন ৬% জাপান ৩.৮% দক্ষিণ কোরিয়া ৩.৪% থাইল্যান্ড ২.৬% সিঙ্গাপুর ২.৬% (২০১৩)[৫] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
$৭১৩.৩ মিলিয়ন (২০০৬) | |
রাজস্ব | $৪০৭.১ মিলিয়ন (২০১৪) |
ব্যয় | $৬১৪ মিলিয়ন (ভুটানের মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশ সামগ্রীর মূল্য ভারত থেকে আসে) (২০১৪) |
অর্থনৈতিক সহযোগিতা | $৯০.০২ মিলিয়ন (ভারত) (২০০৫) |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
ভুটানের অর্থনীতি বিশ্বের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত কৃষিকাজ এবং বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির ৬০%-এরও বেশি মানুষ এই কৃষিকাজ ও বনজ সম্পদের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে। দেশটিতে উচু নিচু পাহাড় সর্বত্র বিস্তৃত। এই জন্য ঘরবাড়ি, রাস্তা তৈরিতে বেশি খরচ পড়ে এবং তা ব্যয়বহুল। পাহাড়ি এলাকার জন্য ভুটানের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে প্রায় চারদিন সময় লাগে। অনুমোদিত আইনের বাইরে পোশাক ও ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় না। এই জন্যে ঘরবাড়ি, রাস্তা তৈরিতে বেশি খরচ পড়ে এবং তা ব্যয়বহুল। ভুটানে টেলিভিশন কেন্দ্র একটি এবং বিমানবন্দরও একটি।[৬]
ভারতের সাথে বাণিজ্যিক, অর্থ আদান-প্রদান এবং ভারতের প্রদানকৃত অর্থের ওপর ভুটানের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। ভুটানের শিল্পগুলো তুলো বা কাপড় নির্ভর শিল্প। যেকোন উন্নয়ন পরিকল্পনা, যেমন রাস্তা তৈরি করাতেও, ভুটান ভারতীয় অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল।
ভুটানের প্রতিটি অর্থবছর এমনভাবে সাজানো হয় যেন দেশটির আবহাওয়া এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। ভুটানের সবচেয়ে বেশি আয় করে ভারতের কাছে জল শক্তি রপ্তানি করে। ভারত ভুটানের অপ্রতিদ্বন্দী রপ্তানি বাজার। তবে ভুটানের প্রতি চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে ভারত কিছুটা চিন্তিত।[৭]
নিম্নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বাজার মূল্য অনুসারে এর ভুটানের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি তালিকা:[১]
বছর | মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (মিলিয়ন গুলট্রাম) | মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (মিলিয়ন ডলার) |
---|---|---|
১৯৮৫ | ২,১৬৬ | ১৭৫ |
১৯৯০ | ৪,৮৭৭ | ২৭৯ |
১৯৯৫ | ৯,৫৩১ | ২৯৪ |
২০০০ | ২০,০৬০ | ৪৬০ |
২০০৫ | ৩৬,৯১৫ | ৮২৮ |
২০০৮ | ১২৮০ |
ভুটানের আয়ের প্রধান উৎস হল জল শক্তি এবং পর্যটন শিল্প। এছাড়াও ভুটান সরকার সম্প্রতি উৎপাদন শিল্পকে অনেকাংশে উন্নত করেছে। এছাড়াও সমাজ কল্যাণমূলক কাজকর্মেও মনোযোগ দিয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে ভুটান এখন মোট জাতীয় সুখের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ১৯৭০-এর দশকে সাবেক রাজা জিগমে সিংঘে ওয়াংচুকের কর্মপ্রেরণা ছিল মোট জাতীয় সুখ।[৬] আর শিক্ষা, সামাজ এবং পরিবেশসংক্রান্ত নানা ক্ষেত্রে ভুটান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে সাহায্য পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সাথেও ভুটানের অর্থনৈতিক আদান প্রদান রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সাথে ভুটান, ভারত ও নেপালের সাথে আমদানি-রপ্তানির ব্যাপারে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। সেই আলোকে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।[৮] ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশ মিলে ভুটানে একটি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। এই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এক হাজার ২২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।[৯]
২০০৪ সালে ভুটানই প্রথম দেশ হিসেবে ধূমপান এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।