ভুবনেশ্বরী কুমারী হলেন ভারতের প্রাক্তন মহিলা স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন। তিনি পদ্মশ্রী এবং অর্জুন পুরস্কারের মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের প্রাপক। তিনি টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের রেকর্ডধারীও। তিনি আলওয়ারের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য।[১]
১৯৬০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ভুবনেশ্বরী নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজকুমারী ক্যান্ডি নামেও পরিচিত। তিনি রাজস্থানের আলওয়ারের রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে যশবন্ত সিং এবং বৃন্দা কুমারী। ভুবনেশ্বরী আলওয়ারের মহারাজা তেজ সিং প্রভাকর বাহাদুরের নাতনি। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে বিএ করেছেন।[২]
তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর মহিলা জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।[৩]
তিনি ৪১টি জাতীয় শিরোপা এবং দুটি আন্তর্জাতিক শিরোপা (কেনিয়ান ওপেন ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯) জয়ী।
তিনি তাঁর কৃতিত্বের জন্য ১৯৮২ সালে অর্জুন পুরস্কার এবং ২০০১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন।
সাইরাস পোঞ্চার সাথে তিনিও ভারতীয় মহিলা স্কোয়াশ দলের কোচ। তাঁরা দুজনেই ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের জন্য দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।[৪]
তিনি ১৯৮২ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০১ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত হন।[৫] এর আগে ১৯৮৩ সালে ক্রীড়াক্ষেত্রে সেরা মহিলার জন্য দিল্লি স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার পান। ১৯৮৪ সালে রাজস্থান স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড কাউন্সিল তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল। ১৯৯০ সালের ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে অসামান্য মহিলার জন্য মহারানা মেওয়ার ফাউন্ডেশন "আরাবলি পুরস্কার"। ১৯৯১ সালে খেলাধুলায় অসাধারণ প্রদর্শনের জন্য কে কে বিড়লা ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রাপ্তি। ১৯৯২ সালে ক্রীড়াক্ষেত্রে সেরা মহিলার জন্য বোম্বে স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড। ১৯৯২ সালের স্পোর্টস পারসন অফ দ্য ইয়ার এবং ভারতীয় স্পোর্টসে সর্বাধিক সংখ্যক শিরোনামের জন্য লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে তালিকাভুক্তি। ১৯৯৩ – ৯৪ সালের সেরা মহিলা খেলোয়াড়ের জন্য রাজস্থান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার প্রাপ্তি। খেলাধুলায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য মহারাজা সওয়াই মাধো সিং পুরস্কার প্রাপ্তি।