ভূমিরূপ বা ল্যান্ড ফর্ম কে আক্ষরিক অর্থে ভূমির গঠনগত আকৃতিকে বলা হলেও ব্যাপক অর্থে সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের ভূমি ভাগের আকৃতি, উচ্চতা, বন্ধুরতা, ঢাল, প্রভৃতি অবয়ব ভূমিরূপ নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, সূর্যরশ্মি, নদ-নদী, সমুদ্রস্রোত, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি ভূমিরূপ সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ পাহাড়-পর্বত, মালভূমি,সমভূমি । প্রধান ভূমিরূপ ভূপৃষ্ঠ যে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি দ্বারা গঠিত তাই ভূমিরূপ। এ সমস্ত ভূপ্রকৃতি কোথাও সুউচ্চ পার্বত্যময়, কোথাও মালভূমি, কোথাও পাহাড়, আবার কোথাও সমতল বা কোথাও এ দুইয়ের মাঝামাঝি। পৃথিবীর শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ এলাকা পার্বত্যময়, ২৭ ভাগ এলাকা মালভূমি ও পাহাড়ের আওতায় এবং ৫৫ ভাগ এলাকা সমভূমির অন্তর্ভুক্ত। কতকগুলো সুউচ্চ পার্বত্যভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মালভূমি ও সমতল ভূমির সৃষ্টি করেছে। আবার নিম্নভূমি ভরাট হয়েও সমভূমি গঠিত হতে পারে। ভূত্বকের উত্থান ও ক্ষয় হতেও বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ মিটার বা তারও বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট বহুদূর বিস্তৃত শৃঙ্গযুক্ত খাড়া ঢালের শিলাময় স্তুপ পর্বত বা মাউন্টেন নামে পরিচিত। পর্বত উৎপত্তির কারণ :- আধুনিক বিজ্ঞানীদের মতে, সুদূর অতীতে পৃথিবী পৃষ্ঠে একটি মাত্র বিশাল ভূখণ্ড ছিল। ওয়েগনার এ স্থলভাগকে প্যানজিয়া (Pangea) নামে অভিহিত করেন। পরবর্তীতে প্যানজিয়া খণ্ড খণ্ড হয়ে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। মহাদেশীয় সঞ্চারণ হয়েছিল দু'দিকে– নিরক্ষরেখার দিকে ও পশ্চিম দিকে। নিরক্ষরেখার দিকে সঞ্চারণের ফল হিসাবে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়া নিকটতর হয় এবং উভয়ের মধ্যবর্তী টেথিস সাগরের সঞ্চয়গুলি উত্থিত হয়ে হিমালয়, “আল্পস, ককেশাস, হিন্দুকুশ, কুয়েনলুন, পীরেনীজ এবং জাগারাজ প্রভৃতি ভাঁজ পর্বতগুলো সৃষ্টি হয়। এছাড়া অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুউচ্চ আগ্নেয় পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে। পর্বত কে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা ভঙ্গিল পর্বত ,স্তুপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত, ক্ষয়জাত পর্বত।
ভূপৃষ্ঠের কোমল পাললিক শিলা স্তর গিরিজনি প্রক্রিয়ায় পার্শ্ব চাপে ভাজপ্রাপ্ত হয়ে যে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমন হিমালয়, আল্পস, রকি, আন্দিজ, ইত্যাদি।
জার্মান ভূবিজ্ঞানী কোবার এর মতে , প্রাচীন বিশালাকৃতির অবনমিত সমুদ্রখাতকে মহীখাত বলে। তার মতে মহীখাত এর দুই পার্শ্বস্থ ভূভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলির আকারে মহীখাত এ সঞ্চিত হয় এইভাবে ভূগর্ভে পলির যে নিম্নমুখী চাপ পড়ে তার প্রভাবে মহীখাত এর দুই পার্শ্বস্থ ভূভাগ পরস্পরের দিকে এগিয়ে এলে সঞ্চিত পাললিক শিলা ভাজপ্রাপ্ত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে। যেমন: প্রায় ১০ কোটি বছর আগে উত্তর আঙ্গারাল্যান্ড ও দক্ষিণে গন্ডোয়ানাল্যান্ডের মাঝে থাকা টেথিস মহীখাত এর পলি স্তর ভাজ খেয়ে হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি হয়। পাত সংস্থান তত্ত্বের ভিত্তিতে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি : পাত সংস্থান তত্ত্ব টি ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে লে পিচো আধুনিক ভাবে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন। পাত সংস্থান তত্ত্ব অনুসারে ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থের ওপর প্রধান সাতটি পাত ভেসে রয়েছে। ওই পাতগুলি ভূগর্ভের অতিরিক্ত তাপের ফলে সৃষ্ট পরিচলন স্রোত এর দ্বারা গতিশীল হয়ে পড়ে। যখন দুটি পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে, তখন দুটি পাতের সম্মুখে সঞ্চিত পলিতে প্রবল চাপের সৃষ্টি হয় এবং ওই পলিতে ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। যেমন ভারতের হিমালয় পর্বত পরস্পর অভিমুখী ভারতীয় পাত ও ইউরেশীয় পাতের সংযোগস্থলে টেথিস সাগর এ সঞ্চিত পলির প্রচণ্ড চাপে ভাজপ্রাপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে।
ভূ আলোড়ন সৃষ্ট ফাটল বা চ্যুতির ফলে ভূপৃষ্ঠের কোন অংশ কখনো ওপরে উঠে যায়, আবার কখনো নিচে বসে যায়। যখন দুটি ফাটল বা চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ, পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে উপরে উঠে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে স্তুপ পর্বত বলে। যেমন ভারতের সাতপুরা পর্বত, ফ্রান্সের ভোজ, জার্মানি ব্ল্যাক ফরেস্ট প্রভৃতি।
প্রবল ভূআলোড়ন এ ভূত্বকীয় শিলাস্তরে টান ও সংনমনের দ্বারা খাড়া সমান্তরাল কিংবা কোনাকৃতির ফাটল সৃষ্টি হয়। সেখানে ওই ফাটলের একটি রেখা বরাবর পার্শ্বস্থ যেকোনো একটি ভূখণ্ডের স্খলন বা বিচ্যুতি ঘটলে তাকে চ্যুতি বলে। এই চ্যুতির ফলে ভূপৃষ্ঠে নিম্নোক্ত দুইভাবে স্তুপ পর্বত গঠিত হয়।
১) দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ চাপের ফলে ঊর্ধ্বে উঠে যে স্তুপ পর্বতের সৃষ্টি করে, তাকে হোর্স্ট বলে।
২) দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে তার পার্শ্ববর্তী দুইপাশের উচ্চভূমি স্তুপ পর্বত রূপে দাঁড়িয়ে থাকে।
৩) প্রসঙ্গত, দুটি স্তুপ পর্বতের মাঝে সৃষ্ট অবনমিত অঞ্চলটিকে গ্রস্ত উপত্যকা বা গ্র্যাবেন বলে ।
প্রবল ভূ আলোড়ন এর ফলে ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত তরল ও বিভিন্ন গ্যাস যুক্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোন দুর্বল স্থান কিংবা ফাটল দিয়ে লাভা রূপে নির্গত হয়ে শঙ্কু বাস্তবে নয় যে পর্বত সৃষ্টি করে, তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। প্রসঙ্গত, লাভা সঞ্চয় এর মাধ্যমে আগ্নেয় পর্বত গঠিত হয় বলে, একে সঞ্চয়জাত পর্বত ও বলে। যেমন ভারতের আন্দামান সংলগ্ন ব্যারেন, জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, প্রভৃতি।
প্রবল ভূ-আলোড়ন, পাতের সঞ্চালন কিংবা ভূমিকম্পের দ্বারা ভূগর্ভের ৮০-১৬০ কিমি গভীরতায় থাকা উত্তপ্ত তরল ও গ্যাসীয় বাষ্প যুক্ত ম্যাগমার চাপের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেটি দ্রুত স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। তখন সেই মেঘনা ভূগর্ভের একটি নির্দিষ্ট পথ ধরে ভূপৃষ্ঠস্থ দুর্বল স্থান কিংবা ফাটলের মধ্যে দিয়ে ধীর গতিতে কিংবা বিস্ফোরণের দ্বারা ছাই ভস্ম কিংবা ছোট ছোট আগ্নেয় পদার্থের টুকরোর সমন্বয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি করে।
বহু বছর ধরে সূর্যকিরণ বৃষ্টিপাত প্রবাহমান জলধারা হিমবাহ ও বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পর্বত মালভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে অবশিষ্ট উচ্চভূমিতে পরিণত হয়, তাকে অবশিষ্ট বা ক্ষয়জাত পর্বত বলে। যেমন ভারতের রাজস্থানের আরাবল্লী, পশ্চিমবঙ্গের শুশুনিয়া ও অযোধ্যা, উত্তর আমেরিকার হেনরি ও অ্যাপেলেশিয়ান প্রভৃতি।
ক্ষয়জাত ও বাবা অবশিষ্ট পর্বতের সৃষ্টি প্রক্রিয়া খুবই ধীর গতিসম্পন্ন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যেমন বৃষ্টিপাত, প্রখর রৌদ্র কিরণ, নদী, হিমবাহ, বায়ু প্রবাহ দ্বারা শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। এই ক্ষয় প্রক্রিয়ায় কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে প্রায় সমপ্রায় ভূমিতে পরিণত হয় এবং ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বলে কঠিন শিলা অবশিষ্টাংশ রূপে থেকে যায়। এই অবশিষ্ট উচ্চভূমির উচ্চতা বেশি হয় বলে তাকে ক্ষয়জাত ও বা অবশিষ্ট পর্বত বলে।
সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০ মিটার বা আরো কিছুটা ঊর্ধ্বে অবস্থিত খাড়া ঢাল যুক্ত সুবিস্তৃত তরঙ্গায়িত বা সামান্য বন্ধুর ভূভাগ মালভূমি নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত আকৃতিগত ভাবে মালভূমি অনেকটা টেবিলের ন্যায় দেখতে হওয়ায় একে টেবিল ল্যান্ড বলে। যেমন ভারতের দাক্ষিণাত্য ও ছোটনাগপুর মালভূমি, তিব্বতের পামির মালভূমি ইত্যাদি।
মালভূমি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে সাধারণত তিনটি কারণ দায়ী। এগুলি হল—
মালভূমিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।
যেসকল মালভূমি প্রায় চারিদিকেই পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হয়ে সৃষ্টি হয় তাকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে। পাত সঞ্চারণের ফলে বা গিরিজনি আলোড়ন এর ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় পর্বতের মধ্যবর্তী নিচু ও সমতল ভূমি প্রবল পার্শ্বচাপে উঁচু হয়ে পর্বত বেষ্টিত মালভূমির সৃষ্টি হয়।
ভূপৃষ্ঠে ক্রমাগত লাভা সঞ্চয়ের ফলে যে মালভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লাভা মালভূমি বলে। ভূত্বকের কোন ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা ধীরে ধীরে বিদার অগ্নুৎপাত এর মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এসে লাভা রূপে শীতল ও কঠিন হয়ে সঞ্চিত হয়। এইভাবে ক্রমাগত বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে লাভা সঞ্চিত হয়ে উচু মালভূমি সৃষ্টি হয় ।
কোন বিস্তীর্ণ মালভূমি অঞ্চল কতগুলি নদী উপত্যকা দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বিচ্ছিন্ন হলে তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। কোন উচ্চ মালভূমি গঠন ও কোমল শিলায় গঠিত হলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যেমন আবহবিকার, নদী, বায়ু প্রভৃতির দ্বারা কোমল শিলা অধিক ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কঠিন শিলায় গঠিত অংশগুলি উঁচু হয়ে অবস্থান করে। পরবর্তীকালে ক্ষয়প্রাপ্ত নীচু কোমল শিলার ওপর নদী বিন্যাস গড়ে ওঠে এবং সমগ্র মালভূমি নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি তে পরিণত হয়।
বিস্তীর্ণ মহাদেশীয় অংশজুড়ে প্রাচীন শিলায় গঠিত মালভূমি কে মহাদেশীয় মালভূমি বলে। পাত সংস্থান তত্ত্ব অনুসারে পাত সঞ্চালনের ফলে পৃথিবীর প্রাচীন ভূখণ্ডকে আঙ্গারাল্যান্ড ও গনডোয়ানাল্যান্ড ফেটে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাদেশীয় মালভূমি গঠিত হয়।
মহাদেশীয় মালভূমি প্রাচীন ভূখণ্ডের অংশ, এগুলি প্রাচীন শিলায় গঠিত তাই একে শিল্ড মালভূমিও বলা হয় , এই প্রাচীন শিলা অত্যন্ত কঠিন ও সহজে ক্ষয় হয় না , মালভূমির পৃষ্ঠদেশ বা উপরিভাগ তরঙ্গায়িত। যেমন গনডোয়ানাল্যান্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয়েছে দাক্ষিণাত্য মালভূমি, অন্যান্য মহাদেশীয় মালভূমি মধ্যে রয়েছে বাল্টিক মালভূমি প্রভৃতি।
সমুদ্রপৃষ্ঠের একই সমতলে বা সামান্য উঁচুতে, তবে ৩০০ মিটারের কম উঁচুতে অবস্থিত প্রায় সমতল বা সমতল বিস্তীর্ণ স্থলভাগকে সমভূমি বলে। যেমন ভারতের গঙ্গা নদী বিধৌত সমভূমি অঞ্চল, রাশিয়ার সাইবেরিয়ান সমভূমি ।
সমভূমি কে আবার সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১) পলি গঠিত সমভূমিঃ বন্যার সময় নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে নদীর উভয় পার্শ্বে পলি বালি কাঁকর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে তাকে পলি গঠিত সমভূমি বলে।
২) লোয়েস সমভূমিঃ মরুভূমির বালি বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বহুদূর উঠে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে। লোয়েস শব্দের অর্থ সূক্ষ্ম পলি বা স্থানচ্যুত বস্তুকণা।
৩) লাভা সমভূমিঃ ভূপৃষ্ঠের কোন নিম্ন অংশে ক্রমাগত লাভা সঞ্চিত হয়ে যে সমতল ভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লাভা সমভূমি বলে।
৪) বদ্বীপ সমভূমিঃ নদীর মোহনায় অতিরিক্ত পলি সঞ্চিত হয় মাত্রাহীন ব আকৃতির সমভূমি গড়ে ওঠে।
৫) হ্রদ সমভূমির সৃষ্টিঃ কোন নদীবাহিত নুড়ি , বালি, কাদা, পলি হ্রদে সঞ্চিত হয়ে হ্রদ ভরাট হয়ে গেলে হ্রদ সমভূমি গঠিত হয়।
৬) হিমবাহ সমভূমিঃ হিমবাহের দ্বারা সঞ্চিত নুড়ি , কাকর জমে এই প্রকার সমভূমি সৃষ্টি হয়।
৭) ক্ষয়জাত সমভূমিঃ নিচু মালভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল বহু বছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় সমপ্রায় ভূমি সৃষ্টি করে।