ভূমিভাগের উপরিস্থলের আকার এবং বৈশিষ্ট বিষয়ক চর্চাকে ভূসংস্থান বলা হয়। কোনো একটি স্থানের ভূসংস্থান বলতে, সেই স্থানটির ভূত্বকের গঠন, অন্যান্য বৈশিষ্ট বা তাদের বর্ণনা (বিশেষত মানচিত্রে চিত্রায়ণ যেভাবে হয়েছে) বোঝায়। ভূসংস্থান হচ্ছে ভূবিজ্ঞান ও গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে সাধারণভাবে সব ধরনের স্থানীয় বিষয় নিয়ে চর্চা হয়। এই চর্চাতে যেমন ভূমি গঠন বিষয়টি থাকে, তেমন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রকৃতি বা মনুষ্যসৃষ্ট নির্মাণ, এমনকি সেই অঞ্চলের ইতিহাস বা সংস্কৃতি, সব কিছুই এই শাখার চর্চার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ভূসংস্থান মানচিত্রে শুধুমাত্র উচ্চতার রেখাচিত্রই দেখানো হয়, অর্থাৎ সেখানে "ভূসংস্থান" বলতে শুধুমাত্র ভূতাত্বিক গঠনকেই বোঝায়।
সংক্ষিপ্ত অর্থে টোগোগ্রাফিটিতে ত্রাণ বা ভূখণ্ডের রেকর্ডিং, পৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক গুণমান এবং নির্দিষ্ট ভূমিগুলির সনাক্তকরণ জড়িত। এটি জিওমোরফোমেট্রি নামেও পরিচিত। আধুনিক ব্যবহারে, এর মধ্যে ডিজিটাল ফর্ম (ডিইএম) এর উত্থানের ডেটা উৎপন্ন হয়। এটি প্রায়শই কনট্যুর লাইন, হাইপোসোমেট্রিক টিন্টস এবং ত্রাণ ছায়া সহ বিভিন্ন কৌশল দ্বারা মানচিত্রে ল্যান্ডফর্মের গ্রাফিক উপস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়।[১][২][৩]