ভূস্থির কক্ষপথ (ইংরেজি: geostationary orbit) বা ভূস্থির ক্রান্তিয় কক্ষপথ[১] বা জিইও পৃথিবীর ক্রান্তিয় অঞ্চলের ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে একটি ঘুর্ণায়মান গোলাকৃতি কক্ষপথ। এই কক্ষপথে কোন বস্তুর ঘূর্নন গতি পৃথিবীর আহ্নিক গতির সমান অর্থাৎ পৃথিবী যে সময়ে একবার নিজ অক্ষে আবর্তন করে ঠিক একই সময়ে কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীকে একবার আবর্তন করে।[২] ভূস্থির কক্ষপথে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা হলে তা একই জায়গায় অবস্থান করে বলে মনে হয়। আবহাওয়া ও যোগাযোগ উপগ্রহগুলো সাধারণত ভূস্থির কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।
ভূস্থির উপগ্রহগুলো যেহেতু পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট স্থানের উপর স্থির থাকে তাই এর সংকেত গ্রহণ করার অ্যান্টেনাগুলোকে সংকেত গ্রহণের জন্য তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে হয় না। অ্যান্টেনাগুলো আকাশের একটি নির্দিষ্ট দিকে তাক করে স্থায়ী ভাবে বসিয়ে দেওয়া যায়। ভূস্থির কক্ষপথ ভূসমলয় কক্ষপথের একটি প্রকরণ।
১৯২৮ ভূসমলয় কক্ষপথের সর্বপ্রথম ধারণা দেন হারমান নোরডুং।[৩] তবে তিনি ব্যপকভাবে এই ধারনাটি ব্যাখ্যা দেন নি। পরবর্তিতে বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক আর্থার সি ক্লার্ক এই ধারনাটির উপর সামগ্রিক আলোকপাত করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি এই বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেন যার নাম ছিল "এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল রিলে" । এই প্রকাশনাতে তিনি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সারা বিশ্বে যুগপৎ ভাবে বেতার সম্প্রচার করার একটি ধারণা প্রদান করেন।[৪] এজন্য এই কক্ষপথকে "ক্লার্ক অরবিট" ও বলা হয়।[৫]
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।