ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান

ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান এর ভূমিকা

ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান. জীবজ ঔষধবিজ্ঞান বা ফার্মাকোগনসি বলতে ভেষজ (ও প্রাণীজ) উৎস হতে চিকিৎসাগত গুনাগুণসম্পন্ন দ্রব্যাদির আহরণ, বিশোধন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ এবং এসব উৎস সম্পর্কে গবেষণার ক্ষেত্রকে বোঝায়। এর ইংরেজি পরিভাষা হল "ফার্মাকগ্‌নসি"; শব্দটি দুইটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ "Pharmakon" ও "Gnosis" থেকে এসেছে। জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র সি. এ. সাইডলার (C. A. Seydler) ১৮১৫ সালে সর্বপ্রথম শব্দটি ব্যবহার করেন। "Pharmakon" অর্থ "ঔষধ" (Drug) এবং "Gnosis" অর্থ "জ্ঞান", অর্থাৎ "ফার্মাকগনসি" বলতে বোঝায় ঔষধ বিষয়ক সকল জ্ঞান। ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান আধুনিক ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহার বিজ্ঞান শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।[]

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই শাস্ত্র বিস্তারলাভ শুরু করে। ভেষজ রসায়ন হিসেবেও একে বলা যায়; তখনকার ঔষধি গাছের উপর বিশেষ জ্ঞানের ক্ষেত্র যেটিতে স্থান পায় গাছটিকে শনাক্তকরণ এবং তার থেকে আহরিত ঔষধি উপাদানকে মিহিগুঁড়া (পাউডার) অবস্থায় সংরক্ষণের কৌশল। এখন পর্যন্ত এর প্রয়োগ অত্যন্ত সফল এবং উচ্চপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় সম্প্রসারমান। ভেষজ ঔষধবিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলি নিম্নরূপ:

  1. চিকিৎসামূলক নৃ-উদ্ভিদবিজ্ঞান (Medical Ethnobotany): চিকিৎসাক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবে প্রচলিত গাছপালার ব্যবহার
  2. নৃ-ঔষধবিজ্ঞান (Ethnopharmacology): ঐতিহ্যগতভাবে প্রচলিত গাছপালার ফার্মাকোলজি শিক্ষা
  3. উদ্ভিজ্জ চিকিৎসা (Phytotherapy): গাছপালা থেকে পাওয়া নির্যাসের চিকিৎসামূলক ব্যবহার
  4. উদ্ভিজ্জ রসায়ন (Phytochemistry): বৃক্ষরাজি হতে প্রাপ্ত রাসায়নিকের উপর আলোচনা (নামকরণ, সনাক্তকরণ, বাছাইকরণ, নতুন সম্ভাব্য ঔষধি রাসায়নিকবিশিষ্ট গাছ তল্লাশিকরণ)
  1. প্রাণিজ ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান

(Zoopharmacognosy): যে প্রক্রিয়ায় রোগগ্রস্থ জীবেরা নিজ রোগের নিরাময়কারি গাছ বেছে নেয় অথবা তার সাহায্যে রোগের প্রতিরোধ করে


  1. সামুদ্রিক ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান (Marine pharmacognosy): সামুদ্রিক অণুজীব হতে প্রাপ্ত রাসায়নিকের ব্যবহার।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Michael Heinrich; Joanne Barnes; Simon Gibbons; Elizabeth M. Williamson (২০১২), "Forward", Fundamentals of Pharmacognosy and Phytotherapy, পৃষ্ঠা vii