ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভ্যাসবার্ট কনিয়েল ড্রেকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্প্রিংহেড, সেন্ট অ্যান্ড্রু, বার্বাডোস | ৫ আগস্ট ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডোমিনিক ড্রেকস (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪৬) | ৮ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ জানুয়ারি ২০০৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭২) | ৮ মার্চ ১৯৯৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ জানুয়ারি ২০০৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১ - ২০০৪ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ - ১৯৯৭ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ - ২০০৩ | বর্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ভ্যাসবার্ট কনিয়েল ড্রেকস (ইংরেজি: Vasbert Drakes; জন্ম: ৫ আগস্ট, ১৯৬৯) বার্বাডোসের সেন্ট অ্যান্ড্রুর স্প্রিংহেড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কোচ সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স, বর্ডার, নটিংহ্যামশায়ার, ওয়ারউইকশায়ার ও লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ভ্যাসবার্ট ড্রেকস।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন ভ্যাসবার্ট ড্রেকস। এ সময় তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ড সফরে যান। সেখানে ৩৩ বছর বয়স পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিতে থাকেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাত্রাতিরিক্ত অংশগ্রহণের ফলে দীর্ঘকাল দলের বাইরে থাকতে হয়। গ্রীষ্মকালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ও শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ডারের পক্ষে খেলতেন।
সেপ্টেম্বর, ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে দলের সদস্যরূপে মনোনয়ন দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাত বছর দীর্ঘ বিরতির পর জ্যাক ক্যালিসকে আউট করেন ভ্যাসবার্ট ড্রেকস। পরবর্তী দুই বছর দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে তাকে খেলতে দেখা যায়।
৮ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে ঢাকায় স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ভ্যাসবার্ট ড্রেকসের।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১২ টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ হয় তার। এ সময়ে ৩৩ টেস্ট উইকেট ও ৫১টি একদিনের আন্তর্জাতিকের উইকেট পেয়েছেন। ব্যাট হাতে কেবলমাত্র একবারই টেস্টে ৬৭ রান তুলে অর্ধ-শতকের সন্ধান পেয়েছেন। তবে, স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন অপরাজিত ২৭ রান তুলে। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এন্টিগুয়ায় ৪১৮ রানের জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যমাত্রায় সবিশেষ অবদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কার্ল হুপাররের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে অংশ নিয়েছেন তিনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ তারিখে সেঞ্চুরিয়ন পার্কে কানাডার বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে দর্শনীয় ক্যাচ তালুবন্দী করার জন্যে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র পাঁচজন ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে টাইমড আউটের শিকারে পরিণত হন ভ্যাসবার্ট ড্রেকস। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিমান বেশ কয়েকঘণ্টা দেরীতে পৌঁছায় এ ঘটনা ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫/৯৩ পেয়েছেন। তার এ অর্জনকে সম্মাননা জানিয়ে ভ্যাসবার্ট ড্রেকস পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন ভ্যাসবার্ট ড্রেকস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচের দায়িত্বে স্বল্পকালীন মেয়াদে তিন মাসের জন্য ছিলেন। এ সময়ে ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ ও এসিসি ট্রফি এলিট প্রতিযোগিতায় পাঁচটি খেলায় দলকে পরিচালনা করেন। এরপর তিনি বার্বাডোস দলের কোচ মনোনীত হন। এছাড়াও উন্নততর সুযোগ লাভের প্রেক্ষিতে কুইন্স পার্ক ক্রিকেট ক্লাবকে স্বল সময়ের জন্য পরিচালনায় অগ্রসর হন।
আগস্ট, ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান।
এরপর ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দলের বড় ধরনের শিরোপা লাভে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন।