ভ্লাদিমির ক্রামনিক | |
---|---|
পূর্ণ নাম | ভ্লাদিমির বরিসোভিচ ক্রামনিক |
দেশ | রাশিয়া |
জন্ম | তুয়াপসে, ক্রাসনোদার ক্রাই, রুশ এসএফএসআর, সোভিয়েত ইউনিয়ন | ২৫ জুন ১৯৭৫
খেতাব | গ্র্যান্ডমাস্টার |
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন | ২০০০-০৬ (ধ্রুপদী) ২০০৬-০৭ (অবিসংবাদিত) |
ফিদে রেটিং | ২৭৫৩ (জুলাই ২০২৪) |
সর্বোচ্চ রেটিং | ২৮১১ (মে, ২০১৩)[১] |
র্যাঙ্কিং | ৯নং (ডিসেম্বর, ২০১৪) |
শীর্ষ র্যাঙ্কিং | ১নং (জানুয়ারি, ১৯৯৬) |
ভ্লাদিমির বরিসোভিচ ক্রামনিক (রুশ: Влади́мир Бори́сович Кра́мник; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৭৫) ক্রাসনোদার ক্রাইয়ের তুয়াপসে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত রুশ দাবাড়ু ও গ্র্যান্ডমাস্টার। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি ধ্রুপদী বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এছাড়াও, ২০০৬ থেকে ২০০৭ মেয়াদে অবিসংবাদিতভাবে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেন। দাবা অলিম্পিয়াডে তিনবার দলগত পর্যায়ে স্বর্ণপদক ও তিনবার ব্যক্তিগত পদক লাভ করেন ভ্লাদিমির ক্রামনিক।[২]
কৃষ্ণ সাগরের উপকূলবর্তী তুয়াপসে শহরে তার জন্ম। বাবার জন্মকালীন নাম ছিল বরিস সকোলভ। কিন্তু ইউক্রেনীয় মা পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তিনি সৎপিতার গোত্র নাম ব্যবহার করেন।[৩] শৈশবে বিখ্যাত দাবাড়ু মিখাইল বটভিন্নিকের প্রতিষ্ঠিত দাবা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। বড় ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্মরণীয় সাফল্য লাভ করেন ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের দাবা অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক লাভের মাধ্যমে। ঐ সময়ে রাশিয়া দলে তার অন্তর্ভুক্তি কিছুটা বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। কেননা, তার বয়স ছিল মাত্র ষোল ও গ্র্যান্ডমাস্টার উপাধি ছিল না। কিন্তু, বিখ্যাত দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ তার অন্তর্ভুক্তিতে সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন।[৪] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি আট জয় ও একটি খেলা ড্র করে অপরাজিত ছিলেন।
২০০০ সালে লন্ডনে গ্যারি কাসপারভের বিপক্ষে ষোল খেলার ধ্রুপদী বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। ক্রামনিক কোন খেলায় না হেরে ৮১/২-৬১/২ পয়েন্টের ব্যবধানে কাসপারভকে পরাজিত করেন। দাবার ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নধারী কোন দাবাড়ু একটি খেলায়ও জয়লাভে ব্যর্থ হন। তার এ ফলাফলে ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো চেজ অস্কার পুরস্কার লাভ করেন।
অক্টোবর, ২০০২ সালে বাহরাইনের ব্রেইনসে আট খেলার প্রতিযোগিতায় কম্পিউটার দাবাড়ু ডিপ ফ্রিজের মুখোমুখি হন। চার খেলা শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা স্বত্ত্বেও প্রতিযোগিতাটি ৪-৪ ব্যবধানে ড্র হয়।[৫] ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ থেকে ১৮ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্রিসাগোতে পিটার লেকো’র বিপক্ষে অংশ নেন। ১৪ খেলায় ৭-৭ ব্যবধানে ড্র হয়।[৬] ফলে ক্রামনিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ধরে রাখেন। পুরস্কারে মূল্যমান ছিল ১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক যা ঐ সময়ে $৭৭০,০০০ মার্কিন ডলার ছিল। ড্র হওয়ায় পুরস্কারের অর্থ দুই খেলোয়াড়ের মাঝে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়।
২০০৮ সালে বনে ক্রামনিক ও আনন্দ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হন। ৬১/২-৪১/২ পয়েন্টের ব্যবধানে আনন্দের কাছে পরাজিত হন।
মে, ২০১০ সালে প্রকাশ পায় যে, ক্রামনিক ২০১০ সালের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশীপে ভেসেলিন তোপালভের বিপক্ষে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিশ্বনাথন আনন্দকে সহায়তা করেছিলেন।[৭] ঐ চ্যাম্পিয়নশীপে ৬১/২-৫১/২ পয়েন্টে আনন্দ শিরোপা লাভ করেন। এপ্রিল-মে, ২০১০ সালে বাকুতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস কাপের ১ম-৩য় স্থান নির্ধারণী খেলায় ৫/৭ পয়েন্ট নিয়ে শাখরিয়ার মামেদিয়ারভ ও গাতা কামস্কির সাথে টাই-ব্রেকে শিরোপা পান।[৮]
৩০ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে ফরাসী সাংবাদিক ম্যারি-লরে জার্মনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তাদের সংসারে দারিয়া নাম্নী কন্যা ও ভাদিম ভ্লাদিমিরোভিচ নামীয় পুত্র রয়েছে।[৯] জানুয়ারি, ২০০৬ সালে ব্যক্তিগত অসুস্থতার জন্য কোরাস চেজ টুর্নামেন্টে অংশ নেননি।[১০] আরোগ্য লাভ শেষে জুন, ২০০৬ সালে ৩৭তম দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নেন।
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী গ্যারি কাসপারভ |
ধ্রুপদী বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ২০০০-২০০৭ |
উত্তরসূরী বিশ্বনাথন আনন্দ |
পূর্বসূরী ভেসেলিন তোপালব |
ফিদে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ২০০৬-২০০৭ | |
স্বীকৃতি | ||
পূর্বসূরী গ্যারি কাসপারভ বিশ্বনাথন আনন্দ |
বিশ্বের ১নং ১ জানুয়ারি, ১৯৯৬ - ৩০ জুন, ১৯৯৬ ১ জানুয়ারি, ২০০৮ - ৩১ মার্চ, ২০০৮ |
উত্তরসূরী গ্যারি কাসপারভ বিশ্বনাথন আনন্দ |