মধুসূদন ঢাকি | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৯ জুলাই ২০১৬ | (বয়স ৮৮)
পেশা | স্থাপত্য ও শিল্প ইতিহাসবিদ |
পুরস্কার | ![]() |
মধুসূদন ঢাকি (পুরো নাম মধুসূদন অমিলাল ঢাকি) (৩১ জুলাই ১৯২৭ - ২৯ জুলাই ২০১৬) ছিলেন একজন ভারতের স্থাপত্য ও শিল্প ইতিহাসবিদ। তিনি ভারতীয় মন্দির স্থাপত্য, জৈন সাহিত্য এবং শিল্পের উপর বহু ইতিহাস রচনা করেছেন। [১]
মধুসূদন ঢাকি ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জুলাই ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির অধুনা গুজরাটের পোরবন্দরে নিকটবর্তী ধানক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পদবী 'ঢাক' এসেছে গ্রামের নাম ধানক থেকে। মধুসূদনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরের বিদ্যালয়ের পাঠ পোরবন্দরে সম্পন্ন হয়। [২][৩] এরপর তিনি পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে ভূতত্ত্ব ও রসায়নে স্নাতক হয়ে স্বল্প সময় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে কাজ করেন। এরপর তিন বৎসর উদ্যানপালনের ক্ষেত্রে কাজ করেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পোরবন্দরে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং [২] সেইসঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগ দেন। গীতাবেনকে বিবাহ করেন। [৪] ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি গুরুগাঁও-এ 'আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান স্টাডিজ'-এ শিল্পকলা ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে কেন্দ্রের গবেষণা পরিচালক এবং পরবর্তীতে সেখানেই ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে ডিরেক্টর ইমেরিটাস পদে ছিলে। স্বাধীন ভারতে সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্দেশ নির্মাণেও তার অবদান ছিল। [৫][৬]
মধুসূদন ঢাকি স্বল্প রোগভোগের পর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই স্বল্প রোগভোগের পর আহমেদাবাদের নারানপুরায় নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন। [৬][৫]
মধুসূদন ঢাকি শিল্পকলা ও স্থাপত্য, বিশেষকরে মন্দির স্থাপত্যের উপর পঁচিশটি গ্রন্থ ও ৩২৫ টি গবেষণাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ ও চার শতাধিক নিবন্ধ রচনা করেছেন। [৫] জৈন সাহিত্যের উপর তার বেশ কিছু রচনাসহ ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের উপর চোদ্দ খণ্ডের রচনাবলী ছিল তার উল্লেখযোগ্য অবদান।[৬]
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-
শেষ দুটি গ্রন্থ কল্পকাহিনী। [৪][২]
মধুসূদন ঢাক মুম্বাইয়ের এশিয়াটিক সোসাইটির ক্যাম্পবেল মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল লাভ করেন। তিনি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে রঞ্জিতরাম সুবর্ণ চন্দ্রক ও ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে লাভ করেন। তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে 'কুমার চন্দ্রক' এবং উমা স্নেহরাশ্মি পুরস্কারও পেয়েছিলেন । [৭] তিনি গুজরাট ইতিহাস পরিষদ কর্তৃক আজীবন কৃতিত্ব পুরস্কারে ভূষিত হন। [৮]