মধ্য ভারত এজেন্সি | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের এজেন্সি | |||||||||||||||
১৮৫৪–১৯৪৭ | |||||||||||||||
১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্য ভারত এজেন্সি | |||||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||||
• ১৮৮১ | ১,৯৪,০০০ বর্গকিলোমিটার (৭৫,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||||||||
• ১৮৮১ | ৯২,৬১,৯০৭ | ||||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||||
• পূর্বতন রাজনৈতিক কার্যালয়ের একত্রীকরণ | ১৮৫৪ | ||||||||||||||
১৯৪৭ | |||||||||||||||
|
মধ্য ভারত এজেন্সি ১৮৪৪ সালে পশ্চিমের মালওয়া এজেন্সিটিকে অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক অফিসগুলির সাথে একসাথে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যা আগেই ভারতের গভর্নর-জেনারেলকে জানানো হয়েছি। এই এজেন্সিটির তত্ত্বাবধানে ছিল একজন পলিটিক্যাল এজেন্ট যিনি রাজপুত্রদের সাথে ব্রিটিশ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং গভর্নর-জেনারেল-এর পক্ষে তাদের উপর প্রভাব ফেলতেন। এজেন্টের সদর দফতর ছিল ইন্দোর শহরে।
১৮০২ সাল থেকে মধ্য রাজ্যের রাজ্যগুলির উপর ব্রিটিশ কর্তৃত্ব শুরু করে । মারাঠা-পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও এবং ব্রিটিশের সঙ্গে বেসিনের চুক্তির মাধ্যমে বুন্দেলখন্ড ও বাগেলখন্ডের উপর ব্রিটিশের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে ।১৮০৫ সালে দ্বিতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের শেষে বুন্দেলখণ্ডের ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ আরও বিস্তৃত হয় । গোয়ালিয়র, ইন্দোর, ভোপাল এবং মালওয়া, নিমার ও বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের কয়েকটি ছোট ছোট রাজ্য সহ বাকী রাজ্যগুলি ১৮১৮ সালে তৃতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৮৪৪ সালে গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া শাসককে চান্দেরির সম্পত্তি প্রদান করা হয় এবং ব্রিটিশরা ঝাঁসি রাজ্যকে স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ১৮৫৩ সালে ইউনাইটেড প্রদেশে যুক্ত করে ব্রিটিশরা দখল করে নেয়। ১৯২১ সালে গোয়ালিয়র রেসিডেন্সিকে মধ্য ভারত এজেন্সি থেকে পৃথক করা হয় এবং ১৯৩৩ সালে মাকরাই রাজ্যটিকে মধ্য প্রদেশ এবং বেরার থেকে মধ্য ভারতে স্থানান্তরিত করা হয়।
এজেন্সিটির অঞ্চলে রাজপুত্রগুলি, সব মিলিয়ে ১৪৮ টি, বিভিন্ন অবস্থাভেদে এবং আকারে বিভিন্ন।
দেশীয় রাজ্যগুলি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক আধিকারিকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল, যারা এজেন্সিটির ইতিহাস বহুবার সাজিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছড়ে চলে যাবার পর রাজনৈতিক অফিসগুলি- ইন্দোর রেসিডেন্সি এবং বুন্দেলখণ্ড, ভোপাল এবং মালওয়া এজেন্সিতে ছিল।
বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিটির পূর্বদিকে বাঘেলখণ্ড, উত্তরে ইউনাইটেড প্রভিন্স, পশ্চিমে ললিতপুর জেলা এবং দক্ষিণে মধ্য প্রভিন্স দ্বারা বেষ্টিত ছিল। বাঘেলখণ্ড এজেন্সিটি ১৮৭১ সালে বুন্দেলখণ্ড থেকে পৃথক করা হয়েছিল। ১৯০০ সালে এটি ৯টি রাজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। যার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওর্ছা, পান্না, সমথর, চরখারি, ছত্তরপুর, দাতিয়া, বিজাবর এবং আজাইগড়। এছারাও এজেন্সিটি ১৩ টি এস্টেট এবং আলমপুরের পরগনাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যা পরে ইন্দোর রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল । [১]
১৯৩১ সালে রেওয়া বাদে বাঘেলখণ্ড এজেন্সির অধীনে থাকা সমস্ত রাজ্যকে আবার বুন্দেলখণ্ডে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
স্যালুট রাজ্য, অগ্রাধিকার দ্বারা:
বর্ণমালা অনুসারে স্যালুট বিহীন রাজ্যগুলি:
জাগিরস :
প্রাক্তন রাজ্য রাজ্যগুলি যা ব্রিটিশদের অধীনে ছিল বা দখল করা হয়েছিল :
পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাঘেলখণ্ড এজেন্সিটি ১৮৭১ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এটি বুন্দেলখণ্ড এজেন্সি থেকে পৃথক করে তৈরী হয়েছিল। ১৯০০ সালে, এটি ১২ টি রাজ্যের অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল:
স্যালুট রাজ্য, অগ্রাধিকার দ্বারা :
স্যালুট-বিহীন রাষ্ট্রসমূহ (বর্ণানুক্রমিকভাবে) :
১৯৩১ সালে, রেওয়া ছাড়া বাকীরাজ্যগুলি পুনরায় বুন্দেলখণ্ডে স্থানান্তরিত হয় এবং ১৯৩৩ সালে রেওয়া ইন্দোর রেসিডেন্সিতে স্থানান্তরিত হয়।
গোয়ালিয়র রেসিডেন্সিটি ১৮৫৪ সালে মধ্য ভারত এজেন্সির অধীনে রাখা হয় এবং ১৯২১ সালে মধ্য ভারত এজেন্সি থেকে পৃথক হয়। এটি নিম্নলিখিত ছোট রাজ্য , টঙ্ক রাজ্যের ছাবড়া পরগনা (জেলা) : জাগীরের মধ্যে ছাদাওয়াদ,বাগলি,দাত্তিগাঁও,বালিপুর/চিকলি ,নিমিকজেদা, পাথারি ,টঙ্ক খুর্দ ইত্যাদি
স্যালুট রাজ্য :
স্যালুট বিহীন রাজ্য :
এছাড়াও ছোটো এস্টেট (যেগুলি ঠাকুর বা দেওয়ানের অধীনে ছিল)
১১,৬৫৩ মা২ (৩০,১৮০ কিমি২) , যা নিম্নলিখিত অন্তর্ভুক্ত :
স্যালুট রাজ্য, অগ্রাধিকার দ্বারা :
বর্ণমালা অনুসারে স্যালুট-বিহীন রাজ্যগুলি :
ইন্দোর রেসিডেন্সিতে ইন্দোরের বেশিরভাগ অংশ (হোলকার) এবং ১৯৩৩-এর পরে রেওয়া রাজ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৮,৯১৯ মা২ (২৩,১০০ কিমি২) , যার মধ্যে গোয়ালিয়র, ইন্দোর এবং টঙ্ক রাজ্যের কিছু অংশ এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল:
সালাম রাজ্য, অগ্রাধিকার দ্বারা :
স্যালুট-বিহীন রাজ্য :
এস্টেট :
১৯২৫ সালে, মালওয়া এজেন্সিটি ভোপাওয়ার এজেন্সির সাথে একত্রিত হয়েছিল।
ভোপাওয়ার এজেন্সি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল দেশীয় রাজ্যগুলি , এতে গোয়ালিয়র এবং ইন্দোর রাজ্যের অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯২৭ সালে এজেন্সিটির নামকরণ করা হয় দক্ষিণ রাজ্য এজেন্সি, পরে দক্ষিণ রাজ্য এবং মালওয়া এজেন্সি এবং ১৯৩৪ এর পরে মালওয়া এজেন্সি নামে পরিচিত। য়
স্যালুট রাজ্য, অগ্রাধিকার দ্বারা :
নীচে ভিলালা উপজাতিদের দ্বারা শাসিত জগিরগুলি (জমিদারি) যা ধর রাজ্যের অধিরাজ্যের অধীনে ছিল::[৩]
বেশ কিছু ব্রিটিশের অধীন জায়গীর( জাগীর ) ছিল যা ধর দরবারের অধিরাজ্য ছিল । যা সামন্ত এস্টেট নামেও পরিচিত ছিল। এদের শাসন করত রাজপুতরা।
এস্টেট :
বন্ধ আছে :
জাগির (অসম্পূর্ণ) :
১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে যাবার পর এই এলাকায় দেশীয় রাজ্যগুলির শাসকরা ভারতে যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত নেন । বাগেলখণ্ড ও বুন্দেলখণ্ড এজেন্সি সহ মধ্য ভারত এজেন্সির পূর্ব অংশটি নিয়ে নতুন রাজ্য বিন্ধ্য প্রদেশ গঠিত হয়েছিল । ভোপাল, মালওয়া এবং ভোপাওয়ার এজেন্সি এবং গোয়ালিয়র ও ইন্দোর রেসিডেন্সি সহ পশ্চিমের অংশটি মিলে মধ্য ভারতে নতুন রাজ্যে গঠিত হয়েছিল। ভোপাল আলাদা রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। মাকরাই মধ্য প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়েছিল যা ১৯৫০ সালে মধ্য প্রদেশ এবং বেরার থেকে তৈরি হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে বিন্ধ্যা প্রদেশ, মধ্য ভারত এবং ভোপাল রাজ্যগুলি মধ্য প্রদেশে মিলিত হয়েছিল। পরবর্তীতে মধ্যপ্রদেশের অঞ্চল থেকে আরও একটি রাজ্য ছত্তিসগড় গঠিত হয়েছিল।