মন রাজ্য မွန်ပြည်နယ် | |
---|---|
রাজ্য | |
Other প্রতিলিপি | |
• বার্মিজ | mwan pranynai |
• মন | တွဵုရးဍုၚ်မန်၊ ရးမညဒေသ |
দেশ | Myanmar |
অঞ্চল | দক্ষিণ |
রাজধানী | মৌলামাইন (Mon: Matmalom) |
সরকার | |
• মুখ্যমন্থী | Aye Zan (NLD) |
• মন্ত্রিসভা | মন রাজ্য সরকার |
• আইনসভা | Mon State Hluttaw |
• বিচারবিভাগ | মন রাজ্য হাইকোর্ট |
আয়তন | |
• মোট | ১২,২৯৬.৬ বর্গকিমি (৪,৭৪৭.৭ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১২তম |
জনসংখ্যা (২০১৪ সালের আদমশুমারি)[১] | |
• মোট | ২০,৫৪,৩৯৩ |
• ক্রম | 9th |
• জনঘনত্ব | ১৭০/বর্গকিমি (৪৩০/বর্গমাইল) |
Demographics | |
• জাতিগোষ্ঠী | মন, বামার, আংলো-বার্মিজ, চিন, কাচিন, কায়িন, রাখাইন, শান, বার্মিজ-থাই, পাও. |
• ধর্ম | বৌদ্ধ, খ্রীস্টান |
সময় অঞ্চল | MMT (ইউটিসি+06:30) |
HDI (২০১৭) | 0.৫৮৪[২] medium · 4th |
ওয়েবসাইট | www |
মন রাজ্য (বর্মী: မွန်ပြည်နယ်, উচ্চারিত: [mʊ̀ɴ pjìnɛ̀];) মিয়ানমারের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এর পূর্বে কায়াহ রাজ্য, পশ্চিমে আন্দামান সাগর, উত্তরে বাগো অঞ্চল এবং দক্ষিণে তান্থেরারি রাজ্য এবং থাইল্যান্ড এর কিছু সীমান্ত রয়েছে। মন রাজ্যের কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে এর মধ্যে ওরা কাইন, কুংগাই দ্বীপ উল্লেখযোগ্য। এর ৫৫৬ কি.মি. দীর্ঘ সমুদ্রতট রেখা রয়েছে।
অশোকের শিলালিপি এবং দীপা বংশ থেকে জানা যায় ফটন বন্দরের নিকটে প্রথম মন রাজ্যে স্থাপিত হয়েছিল। লোক কাহীনি থেকে জানা যায় তৃতীয় শতাব্দী খ্রিষ্ঠ পূর্বাব্দে তাদের সাথে বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগ ঘটে।[৩] ২য় শতাব্দী খ্রিষ্ঠ পূর্বাব্দে সম্ভবত অশোক বৌদ্ধ সন্যাসীদের প্রেরন করেছিলেন বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য। ষষ্ঠ শতাব্দীর কোন এক সময় মনরা থেরাবাদী বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয় এবং তারা ভারতীয় পালি লিপি গ্রহণ করে। যুদ্ধের কারণে মনদের বেশীরভাগ লিখিত ইতিহাস ধ্বংস হয়ে যায়। ৮২৫ সালের দিকে তারা বাগো। (পগু) এবং সাটন শহরে প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করে। নবম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সমগ্র দক্ষিণ মিয়ানমারে প্রভুত্ব স্থাপন করে।
দেভারবতীতে প্রথম মন রাজ্যের উপস্থিতির কথা জানা যায়। যেটি ১০২৪ সালে মেবার রাজ্যের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সমৃদ্ধি অর্জন করেছিল। আক্রান্ত হওয়ার পরে বেশির ভাগ অধিবাসী বার্মাতে পালিয়ে যায় এবং নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
১৮২৪ সারে প্রথম অ্যাংলো বার্মা যুদ্ধের পরে ব্রিটিশরা নিম্ন বার্মা অধিকার করে, যা বর্তমান মন রাজ্যের অন্তর্ভৃক্ত। ব্রিটিশদের হস্তগত হওয়ার পর হাজার হাজার মন প্রতিবেশী সিয়াম থেকে দেশে ফেরত আসে। স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতিতে মনরা ব্রিটিশদের পক্ষ হয়ে বার্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যদিও ব্রিটিশরা তাদের প্রতিশ্রুতি কোনদিন পূরণ করেনি। ঔপনিবেশিক সময়কালে অনেক ব্রিটিশ এখানে বসতি স্থাপন করে। তার মধ্যে লিটল ইংল্যান্ড নামে এলাকাটি বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে এই সব অ্যাংলো বার্মিজ পরিবার যুক্তরাজ্য অথবা অষ্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছে।
১৯৪৭ সালে মনরা প্রস্তাবিত ইউনিয়ন অব বার্মাতে নিজেদের স্বঅধিকার দাবী করে। যদিও বার্মার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রি উ এনইউ মনদের নিজস্ব স্বঅধিকার দিতে অস্বীকার করে। বার্মিজ বাহিনী মন জাতীয়তাবাদীদের দাবিকৃত এলাকায় প্রবেশ করে ধ্বংস যজ্ঞ শুরু করে। ফলশ্রæতিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। মন জাতীয়তাবাদীরা মন জনতা দল নামে একটি দল গঠন করে। যা বর্তমানে নতুন মন রাজ্যে দল নামে পরিচিত। সংক্ষেপে এনএমএমপি নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সাল থেকে পূর্বাঞ্চলিয় পার্বত্য এলাকাগুলি এনএমএমপি র অধীনে রয়েছে। ১৯৭৪ সালে সরকারের সাথে কিছুটা সমঝোতা হয়। ফলশ্রæতিতে থারান্থাতেরী ও কাগো বিভাগ থেকে পৃথক করে বর্তমান মন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকে। ১৯৯৬ সালে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের যদিও এসএলওআরসি নামে আরেকটি দল চুক্তির বিরোধিতা করছে।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৭৩ | ১৩,১৪,২১৪ | — |
১৯৮৩ | ১৬,৮০,১৫৭ | +২৭.৮% |
২০১৪ | ২০,৫৪,৩৯৩ | +২২.৩% |
উৎস: 2014 Myanmar Census[১] |
২০১৪ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, মন রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ২১ লক্ষের মত। তার মধ্যে বেশীরভাগ মানুষই মন জাতি গোষ্ঠীর। যদিও উল্লেখযোগ্য বার্মিজরা রয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে কারিন ও পত্ত জাতীগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য। মন রাজ্যের বেশীরভাগ লোকজনই বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরন করে।
মন রাজ্যের আবাদযোগ্য জমির পরিমান ৪.৫ লক্ষ একর। প্রধান ফসল ধান। পাহাড়ে রাবার ও অর্চিড চাষ হয়।
রাজ্যটিতে স্বাস্থসেবার মান খুবই নিন্মমানের। রোগীদের সমস্ত ঔষধ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। হাসপাতাল গুলোতে যন্ত্রপাতি ও ঔষধ সরবরাহ নেই বললেই চলে। অবশ্য উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে মাছ ধৃত হয় এবং বিদেশে রপ্তানী হয়। মন রাজ্যে পর্যটনে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকারের হিসাব মতে, ১৯৯৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে মন রাজ্যে দুইটি বিমানবন্দর রয়েছে।
২০০২–২০০৩ | # হাসপাতাল | # শয্যা |
---|---|---|
বিশেষায়িত হাসপাতাল | - | - |
সাধারণ হাসপাতাল | ১ | ৩৫০ |
সাধারণ হাসপাতাল | ১০ | ৩৪০ |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র | ১৪ | ২২০ |
মোট | ২৫ | ৯১৫ |
মন রাজ্যের রাজধানী মাওয়ালামাইন, মিয়ানমারের চতুর্থ বৃহত্তম শহর, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল মৌলমিন।শহরটিতে মিয়ানমারের সেনাবাহীনির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ডের সদর দপ্তর অবস্থিত। এর উপকূলীয় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে মাইওয়াওদি নৌবাহীনি কমান্ড। এছাড়া বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে সেনাবাহীনির। মন রাজ্যের জেলা দুইটিঃ