লাইশরাম মনিকা দেবী (জন্ম ১লা মার্চ ১৯৮৩) মণিপুরের একজন ভারতীয় ভারোত্তোলক যিনি ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ৬৯ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। মনিকা মূলত ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৬৮ কেজি বিভাগে ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন কিন্তু ভারোত্তোলন ফেডারেশনের ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ার পর তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু যেহেতু অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত তালিকা ইতিমধ্যেই অলিম্পিক কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল, তাই মনিকা গেমসে অংশ নিতে পারেননি।
ডোপিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, মনিকা ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ৭৫ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে তিনি একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।[১]
ভারোত্তোলন ফেডারেশন জানিয়েছিল যে অলিম্পিকের আগে ভারতে পরিচালিত ডোপ টেস্টে মনিকা পজিটিভ এসেছে। পরবর্তীকালে, বেইজিংয়ে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য ভারতীয় দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। মনিকা প্রতিবাদ করেছিলেন এই বলে যে, কর্মকর্তারা অন্য ভারোত্তোলক শৈলজা পূজারিকে দলে ঢোকানোর জন্য তাঁকে বাতিল করার চেষ্টা করছেন।[২] ফেডারেশনের বিবৃতিতে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হস্তক্ষেপ করে এবং অলিম্পিকে তাঁর অংশগ্রহণের অনুমোদন দেয়। অংশগ্রহণকারীদের তালিকা ইতিমধ্যেই অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়ে গেছে বলে, ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল যে মনিকা অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন না।[৩] এইভাবে, তাঁকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েল যে মনিকার মূত্রের 'খ' নমুনা, যা টোকিওতে ওয়াডা -অনুমোদিত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল, তাও পজিটিভ ফিরে এসেছে।[৪] প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে। মনিকা এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে তিনি একেবারেই ভুল করেননি। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর ক্রীড়া জীবন অকালে শেষ করার জন্য একটি বিশাল ষড়যন্ত্র চলছে।[৫] পরে, তাঁর পরিবার পিটিআইকে খ নমুনা ফলাফল সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রতিবেদন করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল। পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন যে মনিকা এখনও এমন কোনও রিপোর্ট পাননি।[৬]