মনোব্যাধি | |
---|---|
বিশেষত্ব | মনোরোগ বিজ্ঞান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান |
মনোব্যাধি বা সাইকোসিস (ইংরেজি: Psychosis) শব্দটি সাধারণত গুরুতর মানসিক রোগ বা উন্মত্ততা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এরকম মানসিক রোগীদের বিচারবোধ, ইচ্ছাশক্তি ও কর্মক্ষমতার গুরুতর গোলযোগ ঘটে থাকে। উপসর্গের তীব্রতা এবং সংশোধনী শিক্ষা গ্রহণে অপরাগতা এই মানসিক রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।[২]
সিগমুন্ড ফ্রয়েড মনে করতেন সাইকোসিস রোগীদের মনোজগত বাস্তবতা থেকে ভিন্ন। আরেকটি মানসিক রোগ নিউরোসিস সাইকোসিস থেকে ভিন্ন কারণ নিউরোসিস মূলত যৌনপ্রবৃত্তির তাড়না (ইংরেজি: libido) ও তদীয় নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির (ইংরেজি: ego) অবচেতন দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত। কার্যত নিউরোসিসের ক্ষেত্রে এই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তিই প্রাধান্য বিস্তার করে।[৩] বাস্তবে অবশ্য সাইকোসিস এবং নিউরোসিসের মাত্রাগত পার্থক্য কম। সাইকোসিসের রোগীরা মিথ্যা বিশ্বাস (ইংরেজি: delusion) এবং দৃষ্টিভ্রমে (হ্যালুসিনেশন) (ইংরেজি: hallucination) ভুগে থাকে। এজন্য আইনের দৃষ্টিতে এদের কর্মকাণ্ডের জন্য এরা দায়ী নয় বলে মনে করা হয়।[২]
সাইকোসিস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নিচে এর কিছু ধরন তুলে ধরা হলো।[৪]:
সাইকোসিসে আক্রান্তদের সমস্যাগুলোর মধ্যে দৃষ্টিভ্রম (hallucination), ভ্রম (delusion), ক্যাটাটোনিয়া (catatonia), চিন্তার বিশৃঙ্খলা (thought disorder) দেখা যায়। এছাড়া এদের মধ্যে সামাজিক পরিমিতি বোধ হ্রাস পায়।[৫][৬]
দৃষ্টিভ্রম বা hallucination হল সাধারণভাবে অস্বাভাবিক উপলব্ধি। এটি কোনো অলীক বস্তু দেখা সম্পর্কে মিথ্যা উপলব্ধি। কোনো মানসিক রোগীর ক্রমাগত দৃষ্টিভ্রম হতে থাকে। একই সাথে অনেক ধরনের জিনিস দেখা সম্ভব এই রোগে। বলা হয়ে থাকে আমরা স্বপ্নে আসলে এরকম অসংখ্য দৃষ্টিভ্রমের শিকার হই। তবে, অবশ্যই সেটি কোনো রোগের উপসর্গ নয়।[৭]
ভ্রম বা delusion হল মিথ্যা বিশ্বাস। অর্থাৎ এমন কোনো বিশ্বাস যা সমাজের সবাই মিথ্যা হিসেবে জানে এবং সেটির বিপরীতে সকলের কাছেই প্রমাণ আছে। তবে এটির সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বা প্রাতিষ্ঠানিক কোন আদর্শে বিশ্বাসের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ভ্রমের উদাহরণ: রোগীর মনে হতে পারে রোগীর আপনজন রোগীকে ঠকাচ্ছে, অথচ তেমন কোনো সম্ভাবনাই নেই বা তেমন মনে হবার কোনো কারণই নেই (delusional jealousy)। আবার রোগী একটি সাধারণ বিষয়কে অস্বাভাবিক একটি বিষয়কে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহার করতে পারে (delusion of reference); ইত্যাদি।[৮]
ক্যাটাটোনিয়া বা catatonia হল পেশী নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা। মানসিক রোগীরা এক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ কোনো কারণ ছাড়াই নাড়াতে থাকে। ৫-৯ শতাংশ মানসিক রোগীর এই সমস্যা থাকে।[৯]
চিন্তায়, অনুভবে এবং আচরণের অস্বাভাবিকতা হল চিন্তার বিশৃঙ্খলা বা thought disorder। এটি সাধারণত স্কিটসোফ্রিনিয়া এবং সাইকোসিসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। শৈশবে এবং বয়ঃসন্ধিকালে যদি চিন্তার বিশৃঙ্খলা দেখা যায় তাহলে সেটি আজীবন থাকে। তবে, কাজের চাপে বা মানসিক চাপে যদি এই সমস্যা হয় তবে সেটি বেশি সমস্যার।[১০]
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: length (সাহায্য)। অজানা প্যারামিটার |origmonth=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)