মন্টি উলি | |
---|---|
জন্ম | এডগার মন্টিলিয়ন উলি ১৭ আগস্ট ১৮৮৮ |
মৃত্যু | ৬ মে ১৯৬৩ আলবেনি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | অভিনেতা |
পরিচিতির কারণ | দ্য ম্যান হু কেম টু ডিনার |
এডগার মন্টিলিয়ন উলি[১] (ইংরেজি: Edgar Montilion Woolley; ১৭ই আগস্ট ১৮৮৮ - ৬ই মে ১৯৬৩) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মঞ্চ, চলচ্চিত্র, বেতার ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন।[২] ৫০ বছর বয়সে তিনি দ্য ম্যান হু কেম টু ডিনার মঞ্চনাটকে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি দ্য পাইড পাইপার (১৯৪২) ও সিন্স ইউ ওয়েন্ট অ্যাওয়ে (১৯৪৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ভিন্নধর্মী সাদা দাড়ি ছিল তার ট্রেডমার্ক এবং এজন্য তাকে "দ্য বেয়ার্ড" নামেও ডাকা হতো।[৩]
উলি ১৮৮৮ সালের ১৭ই আগস্ট নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম এডগার উলি (১৮৪৫-১৯২৭) এবং মাতা জেসি (প্রদত্ত নাম: আর্মস, ১৮৫৭-১৯২৭)। উলি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইয়েলে পড়াকালীন কোল পোর্টার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহপাঠী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইয়েল ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪] তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক ও নাট্যকলার কোচ হিসেবে যোগদান করেন। থর্ন্টন ওয়াইল্ডার ও স্টিভেন ভিনসেন্ট বেনেট তার শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট হিসেবে প্যারিসে কর্মরত ছিলেন।[৪][৫]
উলি ১৯২৯ সাল থেকে ব্রডওয়ে মঞ্চে নির্দেশনা শুরু করেন[৬] এবং ১৯৩৬ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি কফম্যান ও হার্টের হাস্যরসাত্মক দ্য ম্যান হু কেম টু ডিনার মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, যা ৭৮৩ বার মঞ্চস্থ হয়।[৭]
১৯৪০-এর দশকে উলি টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র ভূমিকা ছিল তার ব্রডওয়ে মঞ্চে করা চরিত্রের চলচ্চিত্রায়ন দ্য ম্যান হু কেম টু ডিনার-এ আলেকজান্ডার উলকট। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস চলচ্চিত্রটির ইতিবাচক পর্যালোচনা লিখে।[৭] ১৯৪৬ সালে তিনি ওয়ার্নার ব্রসের কাল্পনিক জীবনীমূলক নাইট অ্যান্ড ডে ছবিতে তার নিজের চরিত্রে এবং ১৯৪৭ সালে দ্য বিশপ্স ওয়াইফ চলচ্চিত্রে অধ্যাপক উদারিজ চরিত্রে অভিনয় করেন।
উলি ১৯৪৩ সালের দ্য পাইড পাইপার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪৫ সালের সিন্স ইউ ওয়েন্ট অ্যাওয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র কিসমেট (১৯৫৫)-এর কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি এক বছর বেতারে কাজ করেন। এরপর তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তিনি অবসরে যেতে বাধ্য হন।
১৯৪৩ সালে গ্রম্যান্স চাইনিজ থিয়েটারে তার হাত ও দাঁড়ির ছাপ বসানো হয়েছে। চলচ্চিত্রে তার কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬০ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে উলির নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়।[৮] তারকাটি ৬৫৪২ হলিউড বলেভার্ডে অবস্থিত এবং তারকাটি চলচ্চিত্রের জন্য হলেও প্রতীকটি টেলিভিশনের।[৯]
১৯৬৩ সালের ৬ই এপ্রিল হৃদরোগ জনিত কারণে উলিকে সারাটোগো স্প্রিংস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুদিন পর তাকে আলবেনি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।[১০] তিনি যকৃত ও হৃদযন্ত্রের প্রদাহে ১৯৬৩ সালের ৬ই মে নিউ ইয়র্কের আলবেনিতে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাকে নিউ ইয়র্কের সারাটোগা কাউন্টির গ্রিনরিজ সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।[৩]