মন্দাকিনী | |
---|---|
![]() ২০১২ সালে মন্দাকিনী | |
জন্ম | ইয়াসমিন জোসেফ ৩০ জুলাই ১৯৬৩ |
অন্যান্য নাম | মন্দাকিনী জোসেফ ঠাকুর |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৫–৯৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ড. কাগিউর টি. রিনপোচ ঠাকুর (১৯৯০–বর্তমান) |
মান্দাকিনী (জন্ম: ৩০শে জুলাই ১৯৬৩; ইয়াসমিন জোসেফ নামেও পরিচিত) হলেন একজন প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী। ১৯৮৫ সালে রাম তেরি গঙ্গা ময়লি নামক বলিউড চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন।
মন্দাকিনী ১৯৬৩ সালের ৩০শে জুলাই তারিখে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে একটি অ্যাংলো-ভারতীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল ইয়াসমিন ঠাকুর। তাঁর বাবার নাম জোসেফ, যিনি একজন ব্রিটিশ এবং তাঁর মা একজন মুসলিম।[১]
মীরাট থেকে অচেনা মেয়ে হিসাবে তাঁর কর্মজীবনের যাত্রা শুরু করে ইয়াসমিন জোসেফ কমপক্ষে তিনজন চলচ্চিত্র নির্মাতার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অতঃপর রঞ্জিত ভার্ক তাঁর নাম বদলে মন্দাকিনী রেখেছিলেন এবং তাঁকে মজলুম নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি শুরুর আগেই, রাজ কাপুর তাঁকে মাত্র ২২ বছর বয়সে খুঁজে বের করেছিলেন এবং ১৯৮৫ সালে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র রাজীব কাপুরের বিপরীতে তাঁর পর্দা নাম "মন্দাকিনী" নিয়ে রাম তেরি গঙ্গা ময়লি নামক চলচ্চিত্রের একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি একটি অতি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ছিল এবং এটি মন্দাকিনীকে "সেরা অভিনেত্রী" বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয়লাভ করতে সাহায্য করেছিল।[২] এই চলচ্চিত্রের দুটি দৃশ্যে তাঁকে আংশিক নগ্ন অবস্থায় দেখা যাওয়ার পরে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।[৩] মন্দাকিনী আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন; যার মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে ডান্স ডান্স, আদিত্য পঞ্চোলির সাথে কাহাঁ হ্যায় কানুন এবং গোবিন্দের সাথে পেয়ার করকে দেখো উল্লেখযোগ্য। তবে তিনি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রের মতো সাফল্য আর কখনও পাননি।
১৯৮৯ সালের পরে, মন্দাকিনী রহস্যজনকভাবে চলচ্চিত্রের জন্য চুক্তি করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, যদিও ১৯৯০ সালে তাঁর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলিউড থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে, ভয়ঙ্কর গুন্ডা দাউদ ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে মন্দাকিনীর কিছু ছবি বের হওয়া শুরু হয়েছিল। গুজব শোনা যাচ্ছিল ইতোমধ্যে তাঁদের মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই ছবিগুলো কেবল আগুনে ঘি-এর কাজ করেছিল। অনেকগুলো তত্ত্বের মধ্যে একটি ছিল যে বলিউডে প্রতি তীব্র আগ্রহী এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অর্থোপার্জনকারী ইব্রাহিম রাজীব কাপুরকে মন্দাকিনীকে অভিনয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন তাঁর উপপত্নী। পরে অভিযোগ করা হয়েছিল যে তিনি তাঁর সাথে থাকার জন্য দুবাই চলে এসেছিলেন।[৪]
মন্দাকিনী দাউদের সাথে তাঁর সম্পর্ককে যুক্ত করে এ সমস্ত গুজবকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি উক্ত সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।[৫] তিনি দাউদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করার সময়, তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁরা একে অপরকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে না, দম্পতি হওয়া তো দূরের কথা।[৬]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)