ময়িলাপুর மயிலாப்பூர் ময়িলাপুর | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ১৩°০২′০১″ উত্তর ৮০°১৬′০৭″ পূর্ব / ১৩.০৩৩৬° উত্তর ৮০.২৬৮৭° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই |
মহানগর | চেন্নাই |
ওয়ার্ড | ১৪৭ |
তালুক | ময়িলাপুর |
সরকার | |
• শাসক | সিএমডিএ |
আয়তন | |
• মোট | ৩.৯১৪ বর্গকিমি (১.৫১১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০০৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-06 (টিএন-০৬) |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | ময়িলাপুর[১][২] |
নগরোন্নয়ন | সিএমডিএ |
ওয়েবসাইট | www |
ময়িলাপুর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার একটি অঞ্চল৷ এটি শহরে অন্যতম পুরাতন আবাসিক লোকালয়, যা তিরুময়িলাই নামেও পরিচিত৷ অন্যতম তামিল দার্শনিক তিরুবল্লুবরের জন্মস্থান এই ময়িলাপুর৷
অবস্থিত একাধিক কীর্তির মধ্যে এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি বিষয় হলো রাস্তার ধারে সারিবদ্ধ গাছ, কপালীশ্বর মন্দির, কাক্ষেরি এবং শ্রীরামকৃৃৃষ্ণ মঠ৷[৩] ময়িলাপুরে রয়েছে এপোস্টেল থমাসের সমাধি সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল বেসিলিকা৷[৪][৫][৬][৭]
ময়িলাপুর স্থানের নামটি এসেছে তামিল শব্দবন্দ "ময়িল্ আর্প্পরিক্কুম্ ঊর্" থেকে, যার অর্থ "ময়ূরের কেকা শোনা যাায় এমন স্থান"৷[৮] ঐতিহাসিকভাবে, এই অঞ্চলে যে ময়ূর বাস করত তার প্রমাণ পাওয়া যায় কপালীশ্বর মন্দির ও সেন্ট থমাস বেসিলিকার স্তম্ভ ও প্রতীক থেকে৷
ময়িলাপুরে ব্রিটিশ প্রকৃত সময়ের পূর্ববর্তী সময় থেকে ব্রিটিশদের রাজত্ব করার তথাকথিত ইতিহাসের বিকৃৃতকরণ রয়েছে৷ পূর্বে এটি বেদপুরী নামে পরিচিত ছিল৷ এখনও অবধি প্রাপ্ত ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ অনুসারে এটি চেন্নাইয়ের পুরাতন ক্ষেত্রগুলির একটি৷ প্রথম খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিভিন্ন পুস্তকে এই অঞ্চলের নামও পওয়া যায়৷ তামিল দার্শনিক বল্লুবর ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে জন্মগ্রহণ করেন৷[৯] অতীতে এই স্থানে নির্মিত বন্দর ও বন্দর মারফৎ রোমান সাম্রাজ্যের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এটি বহির্দেশে পরিচিতি পায়৷ মূলত স্থানীয় কাগজ ও বস্ত্রের পরিবর্তে সোনা দেশে আমদানি করা হতো৷ ৭২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট থমাস এখানেই দেহত্যাগ করেন৷[৪][৫][৬][৭] খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে টলেমি ময়িলাপুর বন্দরের কথা ও গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্যের সাথে এর বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে উল্লেখ করলেও সেন্ট থমাস বা খ্রিস্টান প্রচার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেন নি৷ সপ্তম শতাব্দীতে শৈব্য প্রচারক ঋষি সংবন্দর, আপ্পার তাদের গীতমন্ত্রের মাধ্যমে শিবমহিমা প্রচার করেছেন৷ আরব্য বণিকরা খ্রিস্টীয় নবম ও দশম শতাব্দীতে এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের উল্লেখ করে থাকেন৷ মার্কো পোলো খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এখানে আসেন ও এখানকার ভূমিবৃৃত্তান্ত, জন সমাজ, বেশভূষা, ধর্মাচার, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে বিষদে আলোচনা করেন৷ মার্কো পোলো বা আরব্য বণিক কেউই সেন্ট থমাস বা খ্রিস্টান জনসংখ্যা সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেন নি৷[১০]
বহু বছর গ্রিক ও জার্মান পুরানো মানচিত্রে ভারতের এই অঞ্চল তথা বন্দরশহর 'মালিয়ারফা' নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে স্কটিশ গবেষক জেমস প্লেফেয়ার তার গবেষণা পত্রে এই স্থানটির নাম "মেলিয়াপুর" বলে উল্লেখ করেছেন।[১১][১২] ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজরা ময়িলাপুর দখল করে এবং ময়িলাপুর সেন্ট থমাস প্রতিষ্ঠা করে। ১৬৬২ থেকে ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ওলন্দাজদের উপনিবেশ থাকাকালীন সময় বাদ দিলে ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ময়িলাপুর পর্তুগীজদের কলোনি ছিল।
১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আর্কট রাজ্য|আর্কর্টের নবাব মোহাম্মদ আলী খান ওয়ালাজাঁ-এর নাম করে ময়িলাপুর নিজেদের হস্তগত করেন।[১৩] ওই একই বছরে ময়িলাপুরকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। নোসা সেনহোরা ডা লুজের গির্জার নাম অনুসারে এই লোকালয় লুজ নামে পরিচিত হয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে ও বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই লোকালয় মাদ্রাজ শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে। বহু বুদ্ধিজীবী, ব্রিটিশ উকিল, ব্যবসায়ী এখানে বসবাস করা শুরু করেন।[১৪]
ময়িলাপুর ব্রিটিশদের তৈরি মূল মাদ্রাজ শহরের সামান্য দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। লোকালয়টি সর্বাধিক উত্তর থেকে দক্ষিণে চার কিলোমিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে দু কিলোমিটার বিস্তৃত। এর উত্তর পশ্চিম দিকে গোপালপুরম, উত্তর দিকে রায়পেট্টা, উত্তর পূর্ব দিকে তিরুবল্লীকেণি, পশ্চিম দিকে আলোয়ারপেট, পূর্বদিকে সেন্টথম, দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মন্দবেলী ও রাজা আন্নামালাইপুরম রয়েছে৷
ময়িলাপুর বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র বর্তমানে চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷[১৫]
চেন্নাই এমটিসি বাস পরিষেবার মাধ্যমে ময়িলাপুর চেন্নাই সেন্ট্রাল, ত্যাগরায়নগর, তাম্বরম, ব্রডওয়ে, বড়পালনি প্রভৃতি লোকালয়ের সাথে যুক্ত৷ তিরুময়িলাই রেলওয়ে স্টেশন, ময়িলাপুরকে উত্তরে চেন্নাই বিচ ও দক্ষিণে বেলাচেরির সাথে যুক্ত৷
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Erwin Fahlbusch
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি