মহম্মদগড় রাজ্য मोहम्मदगढ़ रियासत | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৮৪২–১৯৪৭ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত মহম্মদগড় রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৩১ | ৭০ বর্গকিলোমিটার (২৭ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৩১ | ২,৬৫৮ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৮৪২ | ||||||
১৯৪৭ | |||||||
|
মহম্মদগড় রাজ্য, (যা মোহাম্মদগড় রাজ্য নামেও পরিচিত ছিল)[১] ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির ভোপাল এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো।[২] রাজ্যটির রাজধানী মহম্মদগড় শহরটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে বিদিশা জেলায় অবস্থিত। রাজ্যটি সম্পূর্ণরূপে মালব মালভূমিতে অবস্থিত এবং ২৯ বর্গমাইল (৭৫ কিমি২) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ১৯০১ জনগণনা অনুসারে রাজ্যটির মোট জনসংখ্যা ছিল ২,৯৪৪ জন।
বসোদার নবাব আহসানুল্লা খান তার দুই পুত্র বাকাউল্লা ও মহম্মদ খানের মধ্যে রাজ্য ভাগাভাগি করার সিদ্ধান্ত নিলে ১৪২ খ্রিস্টাব্দে বসোদা এবং কুর্বাই রাজ্যের কিছু কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় নতুন মহম্মদগড় রাজ্য৷[৩] পরবর্তীকালে নতুন শাসক মহম্মদ খান রাজ্যের রাজধানী পত্তনের জন্য একটি নতুন শহর স্থাপন করেন ও নিজের নামানুসারে তার নাম দেন মহম্মদগড়৷ রাজধানীর নাম অনুসারে রাজ্যের নামও হয় মহম্মদগড় রাজ্য৷ রাজ্যের শাসক গোয়ালিয়র রাজ্যের আধিপত্য স্বীকার করতে নারাজ হলে এটি একটি স্বতন্ত্র রাজ্য হিসাবে রয়ে যায়৷[যাচাই প্রয়োজন][৪]
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বৃটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের ফরমান অনুসারে গঠিত নরেন্দ্রমন্ডল বা চেম্বার অব প্রিন্সেসের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন এই রাজ্যের শাসকও। [৫] ভারতের স্বাধীনতা অবধি রাজ্যটি ছিল ব্রিটিশ করদ৷
রাজ্যের শাসক মুসলিম পাঠান হলেও জনসংখ্যার ৮০% এর অধিক ছিলেন হিন্দু ধর্মের মানুষ৷ স্বভাবতই রাজ্যটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়৷ তবে ভারতের স্বাধীনতার দুমাস পূর্বেই রাজ্যটি ব্রিটিশ ভারতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে৷ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এই মহম্মদগড় রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্যের সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়। স্বাধীন ভারতে প্রাথমিকভাবে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে এটিকে মধ্যভারত ও পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর তারিখে নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অংশীভূত করা হয়।[৪]
মহম্মদগড় দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ নবাব উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[৩]