মহত্মা গান্ধী সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৫°৩৭′১৯.০″ উত্তর ৮৫°১২′২৫.৭″ পূর্ব / ২৫.৬২১৯৪৪° উত্তর ৮৫.২০৭১৩৯° পূর্ব |
বহন করে | চার লেনের সড়ক এবং দুই পাশে ফুটপাথ |
অতিক্রম করে | গঙ্গা |
স্থান | পাটনা - হাজিপুর |
দাপ্তরিক নাম | মহত্মা গান্ধী সেতু |
রক্ষণাবেক্ষক | ভারতীয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | গার্ডার সেতু |
উপাদান | কংঙ্কিট and ইস্পাত |
মোট দৈর্ঘ্য | ৫.৭৫ কিমি (৩.৫৭ মা) |
প্রস্থ | ২৫ মি (৮২ ফু) |
স্প্যানের সংখ্যা | ৪৭ |
পানির মধ্যে নালা | 40 |
নিন্মে অনুমোদিত সীমা | ২৬৫ |
ইতিহাস | |
নকশাকার | গ্যামমোন ইন্ডিয়া |
নির্মাণকারী | গ্যামমোন ইন্ডিয়া লিমিটেট |
নির্মাণ শুরু | ১৯৭২ |
নির্মাণ শেষ | ১৯৮২ |
চালু | মে ১৯৮২ |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না [১] |
অবস্থান | |
মহাত্মা গান্ধী সেতু (গান্ধী সেতু বা গঙ্গা সেতু) হল বিহারে গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু। এই সেতুটি গঙ্গার দক্ষিণের পাটনাকে গঙ্গার উত্তরের হাজিপুর এর সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়েছে।[২] এই সেতু মোট ৫,৭৫০ মিটার (১৮,৮৬০ ফু)[৩] দীর্ঘ।সেতুটি বিহারের উত্তর অংশ ও দক্ষিণ অংশের মধ্যো যোগাযোগ বাড়িয়েছে। এটি ভারতের দীর্ঘতম নদী সেতু।[৪][৫]
সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব প্রথম রাখে কেন্দ্র সরকার ১৯৬৯ সালে। এর পর ১৯৭২ সালে সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণ শেষ হয় ১৯৮২ সালে এবং ওই বছর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেতুর উদ্ভোদন করেন।
সেতুটি ১৯৬৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দশ বছর ধরে গ্যামন ইন্ডিয়া লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, সেই সময়ে ৮৭.২২ কোটি টাকার ব্যয় হয়েছিল নির্মাণে। এটি উত্তর বিহারকে বিহারের বাকি অংশ এবং জাতীয় মহাসড়ক ১৯ (এনএইচ ১) এর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। এই সেতু নির্মাণের পূর্বে ১৯৫৯ সালে চালু হওয়া রাজেন্দ্র সেতু উত্তর বিহারের একমাত্র সংযোগ ছিল। সেই সময়ে, বিক্রমশিলা সেতুও গঙ্গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে আরও দুটি রেল-কম-রোড সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে, দিঘা ও সোনপুর [৬] এবং মুঙ্গারে।[৭]
ভারতের ডাক বিভাগ ভারতবর্ষের ল্যান্ডমার্ক সেতুগুলিতে স্মারক ডাকটিকিট জারি করেছে: ১৭ আগস্ট ২০০৭ সালে মহাত্মা গান্ধী সেতুর ডাকটিকিট মুল্য ছিল ০৫০০ পয়সা।[৮]
সাম্প্রতিক সময়ে, সেতুটিতে ক্রমবর্ধমান যানবাহন ও নিয়মিত ওভারলোড করার কারণে বড় ধরনের যানবাহনের বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনা ঘটছে। যানচলাচল সহজ করার জন্য বিহার সরকার সমান্তরালভাবে দুটি পন্টন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।[৯] গান্ধী সেতুতে প্রতিদিন ৮৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন ও ১২,০০০ পথচারীর চলাচল করে।