মহাদেব গোবিন্দ রানাডে | |
---|---|
জন্ম | ১৮ জানুয়ারি, ১৮৪২ |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি, ১৯০১ |
পেশা | পণ্ডিত, সমাজ সংস্কারক এবং লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | রামাবাই রানাডে |
জাস্টিস মহাদেব গোবিন্দ রানাডে (১৮ জানুয়ারি ১৮৪২ - ১৬ জানুয়ারি ১৯০১) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় পণ্ডিত, সমাজ সংস্কারক এবং লেখক ছিলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তিনি ছিলেন একজন স্রষ্টা।[১] এবং এছাড়াও তিনি বোম্বে আইন পরিষদের বিভিন্ন পদে ছিলেন বিভিন্ন সময়ে, অর্থনৈতিক কমিটি এর সদস্য এবং বোম্বে হাই কোর্ট-এর বিচারক ছিলেন।[২]
এক বিখ্যাত সর্বজনীন চরিত্র, তার শান্ত ও ধৈর্যধারী ব্যক্তিত্ত্ব ব্রিটেনের সাথে সমঝোতা করবার কাজে এসেছিল এবং ভারতকে পুনরায় নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। তার জীবনে তিনি ভাকট্রুটভোট্টেজাক সভা, প্রার্থনা সমাজ, পুনা সার্বজনিক সভা প্রভৃতি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন এবং তিনি একটি বোম্বে-অ্যাংলো-মারাঠী খবরের কাগজে নিয়মিত লিখতেন যার নাম ছিল ইন্দুপ্রকাশ, যা তারই বুদ্ধির সহায়তায় খুলেছিল ভারতকে পুনরায় নতুন করে গড়ে তুলবার লক্ষ্য নিয়ে।
রানাডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নিফাদ, মহারাষ্ট্র-তে। ছিল একটি ব্রাহ্মণ পরিবার যা নাশিক জেলা তে ছিল। তিনি তার ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন কোলহাপুর-এ যেখানে তার বাবা একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মুম্বাইয়ের এলফিন্সটোন কলেজ-এ পড়াশুনো শুরু করেন, মাত্র ১৪ বছর বয়সে। তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়-এ পড়াশুনো করেছেন যা একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সেখানে ব্যাচেলর অফ আর্টস বা B. A. পড়তেন ১৮৬২ সালে।
তার কিছু বন্ধু অত্মারম পান্ডুরাং, বাল মঙ্গেস ওয়াগলে এবং ভামান আব্জি মোদক, এদের সাথে মিলিত হয়ে রানাডে তৈরি করেন প্রার্থনা সমাজ, একটি হিন্দু আন্দোলন যা প্রধানত ব্রাহ্মসমাজ-এর থেকে উতসাহিত। কেশব চন্দ্র সেনের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় প্রার্থনা সমাজের, যার লক্ষ্য ছিল ধর্মের সাথ নিয়ে ভারতে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হওয়া।
রানাডে প্রতিষ্ঠা করেন পুনা সার্বজনিক সভা এবং আহমেদনগর এডুকেশন সোসাইটি এবং পরে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর অন্যতম স্রষ্টা ছিলেন। তিনি বাল গঙ্গাধর তিলক এবং গোপালকৃষ্ণ গোখলে এই দুইজনের রাজনীতির বিপক্ষে ছিলেন।
রানাডে ছিলেন সামাজিক কনফারেন্স আন্দোলনের একজন নির্মাতা ছিলেন, যা তিনি তার মৃত্যু পর্যন্ত সাপোর্ট করে গেছেন। এখানে তিনি বাল্য বিবাহ, বিধবাদের মাথা ন্যাড়া করা, উচ্চ পণ এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বার্তা বলতেন এবং এগুলোকে বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। ইনিই ছিলেন ১৮৬১ সালের বিধবা বিবাহ ফাউন্ডেশনের অন্যতম স্রষ্টা।[৩] রানাডে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের সমালোচনা করলেও, তার নিজের জীবন ছিল রক্ষণশীল। তিনি প্রায়শ্চিত্ত নিতে চেয়েছিলেন পঞ্চ হুড মিশন কেস-এর জন্য।[৪][৫]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।