মহাবিশ্বের তাপ মৃত্যু হল একটি অনুকল্প যা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের শেষ পরিণতি অর্থাৎ অন্তের কথা বোঝায়। মহাবিশ্ব মুক্ত তাপগতীয় শক্তিবিহীন এক অবস্থা প্রাপ্ত হয়। যখন শক্তি সবকিছুতে সমান হয়, বা গোটা মহাবিশ্বে 'তাপগতীয় সমতা' দেখা দেয়, সেই অবস্থাকে মহাবিশ্বের তাপ মৃত্যু বলা হয়। মহাবিশ্বে শক্তির প্রয়োজন হয় এবং কোনো কাজ করতে পারা যায় না বা কোনো ধরনের জীবন মহাবিশ্বে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না। এই অনুকল্পের মতে, মহাবিশ্বে 'কাজ করার ক্ষমতা' অতি সহজে হারিয়ে যায়, বিশৃংখলতা থেকে সুশৃংখলতার দিকে। এটি তাপগতিবিজ্ঞানের দ্বিতীয় নিয়মের ওপরে প্রতিষ্ঠিত।
মহাবিশ্বের তাপ মৃত্যুর কথা সর্বপ্রথম উইলিয়াম থমসন (লর্ড কেলভিন) ১৮৫০ খ্রীষ্টাব্দে বলেছিলেন।
এই অনুকল্পের অধিসূচনা হয়েছিল ১৯ শতকের বিজ্ঞানীদের দেওয়া তাপগতিবিদ্যার প্রথম এবং দ্বিতীয় নিয়ম থেকে। এই ক্ষেত্রে উইলিয়াম থমসনের নাম উল্লেখনীয়। বিভিন্ন পরীক্ষার পরে বলা হয়েছিল: "তাপ কোনো বস্তু নয়, কিন্তু এটি যান্ত্রিক প্রভাবের এক গতিশীল রূপ, আমি স্বীকার করি যে যান্ত্রিক কার্য এবং তাপের মধ্যকার কারণ এবং প্রভাবে এক সমতা আছে।" পরবর্তীতে হার্মান ভন হেল্মহল্টজ এবং উইলিয়াম র্যাঙ্কায়িন তাপ মৃত্যুর শাস্ত্র উন্নত করেন।[১][২]
যেহেতু তাপ মৃত্যুই একমাত্র সম্ভাব্য ফলাফল, এবং এই শাস্ত্রের কোনো প্রমাণ নেই, সেজন্য নিচে উল্লেখ করা সময় উক্ত মতবাদে প্রচলিত পরিকল্প বোঝায়।