এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
মহাভারত | |
---|---|
ধরন | পুরাণ[১] নাটক |
নির্মাতা | সিদ্ধার্থ কুমার তেওয়ারি |
ভিত্তি | মহাভারত |
লেখক | শারমিন জোসেপ রাধিকা আনন্দ আনন্দ বর্ধন মিহির ভূতা সিদ্ধার্থ কুমার তেওয়ারি |
পরিচালক | সিদ্ধার্থ আনন্দ কুমার অমরপ্রিত জি মুকেশ কুমার সিং কমল মোংগা লোকনাথ পাণ্ডে |
অভিনয়ে | সৌরভ রাজ জৈন শাহির শেখ পূজা শর্মা |
উদ্বোধনী সঙ্গীত | হ্যা কাথা সাংগ্রাম কী |
সমাপনী সঙ্গীত | মহাভারত |
সুরকার | অজয়-অতুল ইসমাইল দরবার |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | হিন্দি |
পর্বের সংখ্যা | ২৬৭[২] |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | সিদ্ধার্থ কুমার তেওয়ারি গায়ত্রী গিল তেওয়ারি |
নির্মাণের স্থান | উম্বেরগাঁও, গুজরাত |
সম্পাদক | পরেশ শাহ |
ক্যামেরা সেটআপ | বহু-ক্যামেরা |
ব্যাপ্তিকাল | পর্ব→১: ৪০ মিনিট; পর্ব→২-১১: ২০ মি; পর্ব→১২-২৬৭: ২২ মি[৩] |
নির্মাণ কোম্পানি | স্বস্তিকা পিকচার |
পরিবেশক | স্টার ইন্ডিয়া |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | স্টার প্লাস |
ছবির ফরম্যাট | ৫৭৬আই (প্রমিত নির্ধারিত টেলিভিশন) ১০৮০আই (উচ্চ নির্ধারিত টেলিভিশন) |
মূল মুক্তির তারিখ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬ আগস্ট ২০১৪ | –
বহিঃসংযোগ | |
নির্মাণ ওয়েবসাইট |
মহাভারত হলো স্টার প্লাসের একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষার পৌরাণিক[১] টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটক যা মূলত সংস্কৃত উপাখ্যান মহাভারত উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি একই নামে ১৯৮৮-এর টিভি ধারাবাহিকের পুনরাবৃত্তি।[৪][৫][৬][৭][৮] এটি স্টার প্লাসে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ থেকে ১৬ আগস্ট, ২০১৪ পর্যন্ত চলে।[৯] এটি হিন্দি ভাষায় নির্মিত হলেও ভারতের আরও কিছু প্রধান প্রধান ভাষা তেমন: বাংলা, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কানাড়া ভাষায় ডাবিং করা হয়েছিল।
এটি স্বস্তিকা প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা প্রযোজিত যার অভিনয়ে আছেন শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে সৌরভ রাজ জৈন, অর্জুন হিসেবে শাহির শেখ, দ্রৌপদী হিসেবে পূজা শর্মা, কর্ণ হিসেবে অহম শর্মা, ভীষ্ম হিসেবে আরভ চৌধুরী, দুর্যোধন হিসেবে অর্পিত রাঙ্কা।
বাংলায় শ্রী কৃষ্ণের কন্ঠ - কৌশিক সেন ও সৌরভ চ্যাটার্জী
বাংলায় ধৃতরাষ্ট্রের কন্ঠ - বিশ্বনাথ বসু
বাংলায় শকুনীর কন্ঠ - চন্দন সেন
বাংলায় অর্জুনের কন্ঠ - তথাগত মুখোপাধ্যায়
বাংলায় দ্রৌপদীর কন্ঠ - দেবলীনা দত্ত
মহাভারত প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের একটি টেলিভিশন-রূপায়ণ। মহাভারত প্রাচীন ভারতবর্ষের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে লিখিত একটি মহাকাব্য। হস্তিনাপুর ছিলো কুরুবংশের রাজ্য। এই রাজ্যকে ঘিরে কৌরব এবং পাণ্ডবদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ধারাবাহিকটিতে কৌরব আর পাণ্ডবদের কেন্দ্র করে ঘটনাগুলো আবর্তিত হয়েছে।
ধারাবাহিকটির কাহিনির আরম্ভ হয় হস্তিনাপুরের রাজা শান্তনু ও সত্যবতীর এক নৌবিহারের দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে। তারপর ভীষ্ম ব্রহ্মচর্যের ব্রত নেন যেন তার পিতাকে সত্যবতী বিবাহ করেন। এ কারণে তিনি কাশীর রাজকুমারী অম্বাকে বিবাহ করেননি। কিন্তু অম্বা ভীষ্মের গুরু পরশুরামকে অভিযোগ করে। পরশুরাম আর ভীষ্মের ভীষণ যুদ্ধ হয়। গঙ্গার প্রার্থনায় মহাদেব যুদ্ধ থামান।
অম্বা শিখণ্ডিনী রূপে পাঞ্চালে জন্ম নেয়। অন্যদিকে ভীষ্ম গান্ধারে যান তার ভ্রাতুষ্পুত্র ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে। গান্ধারের রাজকুমারী গান্ধারী স্বামীর অন্ধত্বের কথা জেনে আজীবনের জন্য চোখে বস্ত্রখণ্ড বাঁধেন। শকুনি একে তার ভগিনীর সাথে হওয়া অন্যায় জ্ঞান করে প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প করে। এরপরের ঘটনাক্রমে কুন্তী ঋষি দুর্বাসা থেকে একটি বর অর্জন করেন, যাতে তিনি যেকোনো দেবতাকে আবাহন করতে পারবেন। কৌতুহলের বশে তিনি বরটিকে পরীক্ষা করতে গিয়ে সন্তান রূপে কর্ণকে লাভ করেন। অবিবাহিত কুন্তী লোকলজ্জার ভয়ে কর্ণকে গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেন। পাণ্ডুর সাথে বিবাহের পর, কুন্তী অন্যান্য দেবতাকে আবাহন করেন এবং পুত্র রূপে যুধিষ্ঠির, ভীম ও অর্জুনকে পান। পাণ্ডুর অন্য পত্নী মাদ্রী কুন্তীর শেখানো মন্ত্রে নকুল এবং সহদেবকে পান। তারা এ পদ্ধতিতে সন্তান লাভ করার কারণ ছিল মৃত্যুর পূর্বে পাণ্ডুকে মহর্ষি কিন্দমের দেওয়া স্ত্রীসংগমে মৃত্যু হওয়ার অভিশাপ। এই অনুতাপে পাণ্ডু দুই পত্নীকে নিয়ে বনগমন করেন এবং ধৃতরাষ্ট্র রাজা হন। এদিকে কর্ণ তার জীবনে সবসময়ে দুর্ভাগ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন, এবং একজন রথচালকের পুত্র রূপে প্রায়ই তার সাথে দুর্ব্যবহার করা হতো। (অধিরথ, একজন রথচালক এবং তার স্ত্রী রাধা কর্ণ-কে গঙ্গা নদীর তীরে পান এবং তাদের আপন করে বড় করেন।) পাণ্ডুর মৃত্যুর পর কুন্তী তার সন্তানদের নিয়ে হস্তীনাপুরে আসেন। তখন দুর্যোধন তার মাতুল শকুনির মন্ত্রণায় পাণ্ডবদের শত্রু হয়ে ওঠে। তারপর ভীষ্মের কথা অনুযায়ী ভরদ্বাজ মুনির পুত্র দ্রোণাচার্যকে পাণ্ডব আর কৌরব উভয়েরই শিক্ষাদানের ভার দেওয়া হয়। কর্ণ নানা অপমানের পর পরশুরামের কাছে গিয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
পাণ্ডব আর কৌরবরা দ্রোণাচার্যের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করতে করতে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠেন। এক প্রেক্ষাগৃহে রাজকুমাররা নিজেদের অস্ত্রবিদ্যা প্রদর্শন করে। তন্মধ্যে অর্জুনই শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত হন। কর্ণ সেখানে উপস্থিত হয়ে অর্জুনের সাথে প্রতিযোগিতা করেন। কুন্তী কর্ণের দৈব কবজ দেখে কর্ণকে চিনতে পারেন। এরপর গুরু দ্রোণকে গুরুদক্ষিণা দিতে পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে পরাজিত করা হয়। অর্জুনই মূলত দ্রুপদকে পরাজিত করেন। এরপর ঘটনাক্রমে শ্রীকৃষ্ণের সাথে অর্জুনের দেখা হয়। তিনি শ্রীকৃষ্ণের মহিমা বুঝতে আরম্ভ করেন। বিদর্ভের রাজকুমারী রুক্মিণীর সাথে কৃষ্ণের বিবাহে সাহায্য করেন অর্জুন। তারপর বারণাবতে পাণ্ডবদের অগ্নিদগ্ধ করার ষড়যন্ত্র করে শকুনি আর দুর্যোধন। অগ্নিকাণ্ড থেকে তারা বেঁচে যান কিন্তু হস্তীনাপুরে আর না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দ্রৌপদীর জন্ম হয়। স্বয়ম্বরসভায় অর্জুন দ্রৌপদীকে জয় করেন। ভুলবশত কুন্তী তার পাঁচ পুত্রের সাথে দ্রৌপদীর বাগদান করে দেন। শাস্ত্রমতে এমন বাগদান গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বহু তর্ক-বিতর্ক শেষে দ্রৌপদী পাঁচ পাণ্ডবকেই বিবাহ করেন। এরপর তারা ইন্দ্রপ্রস্থ নগরী গড়ে তোলেন। রাজসূয় যজ্ঞ করে যুধিষ্ঠির আর্যাবর্তের(ভারতবর্ষ) সম্রাট হন। এসবে ঈর্ষান্বিত দুর্যোধন দ্যূতসভায় তাদের আহ্বান করেন। শকুনি ছলনা করে তাদের সাম্রাজ্য হরণ করে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করার চেষ্টা করা হয়। তখন কৃষ্ণ তাকে রক্ষা করেন।
পাণ্ডবরা দ্বাদশবর্ষ বনবাস ও একবর্ষ মৎস্য রাজ্যে অজ্ঞাতবাস ভোগ করেন। তারপর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ আরম্ভ হয়। যুদ্ধে প্রায় ভারতবর্ষের সকল রাজ্য অংশ নেয়।অর্জুনকে কৃষ্ণ গীতার জ্ঞান প্রদান করেন। এরপর শত্রুদের বধ করে পাণ্ডবরা জয়ী হন। কৃষ্ণ মৃত্যুর পূর্বে ভীষ্ম, দ্রোণ ও কর্ণকে ধর্মাধর্মের উচিৎ জ্ঞান দেন। পরিশেষে যুধিষ্ঠির ভারতবর্ষের সম্রাট হন।
স্টার এই প্রকল্পে ₹১০০ কোটি রুপি (১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করে এবং বাজার বিপণনের জন্য ₹২০ কোটি রুপি (৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করে, এটি তার সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিভি সিরিজ তৈরি করা হয়। ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিভি শো হওয়ার রেকর্ডটি পোরস টিভি শো দ্বারা ভেঙ্গে যায়।[১০]
প্রযোজক সিদ্ধার্থ কুমার তিওয়ারির মতে, দ্রৌপদীকে বিবস্ত্রকরণের অনুসারে[১১] তিওয়ারির পরিচালনায় এটি চিত্রগ্রহণ করতে ২০ দিনের সময় লাগে।[১২]
বছর | পুরস্কার | বিষয়শ্রেণী | নির্বাচন | পরিণাম |
---|---|---|---|---|
২০১৪ | স্টার সংস্থা পুরস্কার | সেরা ঐকতান-সঙ্গীত কার্যচুযত | সিদ্ধার্থ কুমার তেওয়ারি | বিজয়ী |
সেরা পুরাণ ধারাবাহিক | স্বয়স্তিক পিকচার | |||
ভারতীয় টেলিভিশন অ্যাকাডেমি পুরস্কার | সেরা চাক্ষুষ প্রভাব | স্বয়স্তিক পিকচার | ||
সেরা ইতিহাসিক/পুরাণ ধারাবাহিক | মহাভারত | |||
ভারতীয় টেলি পুরস্কার | ||||
টিভি কার্যক্রমের জন্য সেরা পরিচ্ছদ | ভানু অথৈয়া | |||
সেরা মেকআপ শিল্পী | জি. এ. যমেশ | |||
সেরা ঐকতান-সঙ্গীত | সিদ্ধার্থ কুমার তেওয়ারি | |||
সেরা খলনায়কের ভূমিকা | প্রণীত ভাট | |||
সেরা স্টাইলিস্ট | শ্বেতা কোরদে | |||
পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতা | অহম শর্মা | |||
স্টার পরিবার আয়ার্ড | ফেবোরিট নায়া সদস্য (পুরুষ) | শাহির শেখ | ||
পেহেল নেয়ি শোচ কী | সৌরভ রাজ জৈন এবং পূজা শর্মা | |||
সাথি নেয়ি সোছ কা | অহম শর্মা | |||
নেয়ি সোছ | সৌরভ রাজ জৈন | |||
ফেবোরিট কুতুম্ব | মহাভারত | |||
২০১৫ | সম্মাননা |
এটি ২০১৪ সালে ইন্দোনেশীয় ভাষা বা বাহাসা ইন্দোনেশীয়তে এএনটিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছিল[১৩] এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।[১৪] জনপ্রিয়তার কারণে মূল অভিনেতা-অভিনেত্রী ইন্দোনেশিয়ায় আমন্ত্রিত হন। তারা জাকার্তা, বালি, চিরেবন ইত্যাদি স্থানে ভক্তদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।[১৫][১৬] ২০১৬ সালে এটি থাইল্যান্ডে থাই ভাষায়ও[১৭] জনপ্রিয়তা পায়। ফলে ধারাবাহিকটির দুই তারকা শাহির শেখ ও পূজা শর্মা ব্যাংককে আমন্ত্রিত হন এবং সেখানে ভক্তদের সাদর অভ্যর্থনা পান।[১৮][১৯] এটি শ্রীলঙ্কায় সিংহলী ভাষায় স্বর্ণবাহিনী চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছিল।[২০] মরিশাসে এটি ইংরেজি সাবটাইটেলের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছিল এমবিসি ডিজিটাল ফোর চ্যানেলে। এটি রাশিয়াতে ডাবিং হয়নি তবে উক্তিগুলো রুশ ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচারিত হয়।[২১]
দেশ | ভাষা | সম্প্রচারকারী চ্যানেল |
---|---|---|
ইন্দোনেশিয়া | বাহাসা ইন্দোনেশীয় | এএনটিভি |
থাইল্যান্ড | থাই | চ্যানেল ৪ |
ভারত | হিন্দি | স্টার প্লাস |
ভারত | বাংলা | স্টার জলসা |
ভারত | মারাঠি | স্টার প্রবাহ |
ভারত | ওড়িয়া | তরং টিভি |
ভারত | তামিল | স্টার বিজয় |
ভারত | তেলুগু | স্টার মা |
ভারত | কানাড়ি | স্টার সুবর্ণা |
ভারত | মালয়ালম | এশিয়ানেট প্লাস/এশিয়ানেট স্টার কমিউনিকেশনস |
মরিশাস | হিন্দি (ইংরেজি সাবটাইটেল সহ) | এমবিসি ডিজিটাল ৪/বিটিভি |
মিয়ানমার | বর্মী সাবটাইটেল | চ্যানেল এমই |
শ্রীলঙ্কা | সিংহলী | স্বর্ণবাহিনী |
|শিরোনাম=
at position 6 (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
ভারতীয় টেলিভিশন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
টেলিভিশন ধারাবাহিক বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |