Epidemic Diseases Act, 1897 | |
---|---|
ভারতীয় সংসদ | |
| |
সূত্র | Act No. 3 of 1897 |
কার্যকারী এলাকা | India |
প্রণয়নকারী | ভারতীয় সংসদ |
সাংকেতিক লিপি | |
মহামারী, রোগ | |
অবস্থা: বলবৎ |
মহামারী রোগ আইন, ১৮৯৭ একটি আইন যা মুম্বাইয়ের (পূর্ব বোম্বাই) ব্রিটিশ ভারতে বিউবনিক প্লেগ মোকাবেলায় প্রথম লাগু করা হয়েছিল।[১] আইনটি মহামারী রোধের জন্য বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে যা এই রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাগুলি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয়।[২][৩]
এই আইনটি নিয়মিতভাবে ভারতের বিভিন্ন রোগ যেমন সোয়াইন ফ্লু, কলেরা, ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু ব্যধি দমন করতে ব্যবহৃত হয়।[৪]২০১৮ সালে, গুজরাটের একটি অঞ্চলে কলেরা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে এটি চণ্ডীগড়ের ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া মোকাবেলায় ব্যবহৃত হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে পুনেতে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে, করোনাভাইরাস ২০১৯ রোগের সংক্রমণ আটকাবার লক্ষ্যে এই আইনটি ভারতজুড়ে কার্যকর করা হচ্ছে।[৪]
আইনের ২ নং ধারায় বলা হয়েছে:[৫][২][৩]
২. বিপজ্জনক মহামারী রোগ সম্পর্কে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রবিধান নির্ধারণের ক্ষমতা
- (১) যখনই [রাজ্য সরকার] সম্পূর্নরূপে সম্মত হয় যে [রাজ্য] বা এর কোনও অংশে কোনও বিপজ্জনক মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব, দেখা যাচ্ছে, বা ঝুকি আছে, [রাজ্য সরকার], যদি [এটি] মনে করে আইনের সাধারণ বিধানগুলি আপাতত কার্যকর থাকার লক্ষ্যে অপ্রতুল, এই জাতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা প্রয়োজন বা কাউকে প্রয়োগের ক্ষমতাপ্রদান করা, এবং জন বিজ্ঞপ্তি দ্বারা এই ধরনের অস্থায়ী বিধিগুলি জনসাধারণের দ্বারা বা যে কোনও ব্যক্তি বা কোন শ্রেণীর ব্যক্তিগণের পর্যবেক্ষণের জন্য নির্ধারণ করতে পারে যেমন [এটি] এ জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব বা এর বিস্তার রোধ করতে এবং কোন পদ্ধতিতে এবং কার দ্বারা কোন ব্যয় হয়েছে (ক্ষতিপূরণ সহ) ক্ষতিপূরণযোগ্য হবে কি না নির্ধারণ করতে, প্রয়োজনীয় বিবেচিত হবে।
২ক. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
- যখন কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্নরূপে সম্মত হয় যে ভারত বা এর কোন অংশে কোন ভয়ানক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বা আক্রান্তগ্রস্ত হয়েছে এবং আইনের সাধারণ বিধানগুলি আপাতত কার্যকর থাকার লক্ষ্যে অপ্রতুল, তখন কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনও জাহাজ বা জলযান কোনও বন্দর ছেড়ে যাওয়া বা পৌঁছনোর জন্য এবং এর আটকের জন্য, বা যে কোনও ব্যক্তি সেখানে জাহাজে চলাচল করতে ইচ্ছুক, বা সেখানে পৌঁছানোর বিষয় পরিদর্শনে প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ ও বিধিবিধান নির্ধারণ করতে পারে।
৩. জরিমানা
- এই আইনের কোন প্রবিধান বা আদেশ অমান্যকারী, যে কোনও ব্যক্তি ভারতীয় দণ্ডবিধির (১৮৬০ এর ৪৫) ধারার ১৮৮ র অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
৪. আইনের অধীনে কর্মরত ব্যক্তিদের সুরক্ষা
- এই আইনের অধীনে কোন কৃতকর্ম বা সরল বিশ্বাসে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।