মহেন্দ্রগড় জেলা | |
---|---|
হরিয়ানার জেলা | |
![]() হরিয়ানায় মহেন্দ্রগড় জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হরিয়ানা |
বিভাগ | নারনাউল, মহেন্দ্রগড় এবং কানিনা |
সদর দপ্তর | নারনাউল |
তহশিল | ১. নারনাউল, ২. মহেন্দ্রগড়, ৩. কানিনা, ৪. আটেলি |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮৯৯ বর্গকিমি (৭৩৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৯,২২,০৮৮ |
• জনঘনত্ব | ৪৯০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১৩.৪৯% |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭৭.৭২% |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
লোকসভা কেন্দ্র | ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় জেলা (ভিওয়ানি জেলার সাথে) |
বিধানসভা কেন্দ্র | ৪ |
ওয়েবসাইট | https://mahendragarh.gov.in |
মহেন্দ্রগড় জেলা হল উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে একটি। জেলাটি ১,৮৯৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। এই জেলার জনসংখ্যা হল ৯২২,০৮৮। (২০১১ আদমশুমারি)। নারনাউল শহরটি জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। ভারতের খুব কম কয়েকটি জেলার মধ্যে মহেন্দ্রগড় একটি, যেখানে জেলা এবং এর প্রধান শহরটির নাম আলাদা। মহেন্দ্রগড় হল আহিরওয়াল অঞ্চলের একটি অংশ যেখানে যাদব সম্প্রদায়ের সদস্যদের আধিপত্য রয়েছে। মহেন্দ্রগড় বিদ্যালয় শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি বছর আইআইটি এবং নিট (এনইইটি) প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভারতের এই জেলা থেকে সর্বাধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয় (গড় হিসেব)। ২০১১ সালের হিসাবে, পাঁচকুলা এবং রেওয়ারীর পরে এটি হরিয়ানার তৃতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা (২১টি জেলার মধ্যে)।[১]
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯৫১ | ২,৭৭,৩২০ | — |
১৯৬১ | ৩,৪০,০৫৯ | +২.০৬% |
১৯৭১ | ৪,২৩,৭৯৭ | +২.২৩% |
১৯৮১ | ৫,৩৩,০৭৪ | +২.৩২% |
১৯৯১ | ৬,৮১,৮৬৯ | +২.৪৯% |
২০০১ | ৮,১২,৫২১ | +১.৭৭% |
২০১১ | ৯,২২,০৮৮ | +১.২৭% |
সূত্র:[২] |
জেলাটির নাম হয়েছে মহেন্দ্রগড় শহরের নামানুসারে, যা পূর্বে কানৌড নামে পরিচিত ছিল। পূর্বের নামটি কানৌদিয়া (কান্যকুব্জ) ব্রাহ্মণের গোষ্ঠী থেকে নেওয়া হয়েছিল।
মুঘল শাসন কালে, বাবর এটিকে মালিক মাহদুদ খাঁকে অর্পণ করেছিলেন। তবে পরে এটি পতিয়ালা রিয়াসাত দখল করে নেয়।
মহেন্দ্রগড়ে একটি দুর্গ রয়েছে, যেটি, ১৯ শতকে মারাঠা শাসক তাঁতিয়া টোপী নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৬১ সালে, পাটিয়ালার শাসক নরেন্দ্র সিংহ, তাঁর পুত্র মহেন্দ্র সিংহের সম্মানে এই দুর্গটির নাম মহেন্দ্রগড় রাখেন এবং ফলস্বরূপ শহরটি মহেন্দ্রগড় নামে পরিচিতি লাভ করে। নারনাউল নিজামতের নাম পরিবর্তন করে "মহেন্দ্রগড় নিজামত" রাখা হয়। নিকটবর্তী অন্য দুর্গটি হল, মাধোগড় গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায়, মাধোগড় দুর্গ।
মহেন্দ্রগড় দুর্গ এবং মধোগড় দুর্গ উভয়ই পিনজোর উদ্যান এর আদলে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে যাতে তাদের রেওয়াড়ি-নারনাউল-মহেন্দ্রগড়-মধোগড় পর্যটন পরিসীমার মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায়।[৩]
১৯৪৮ সালে পূর্ববর্তী দেশীয় রাজ্যগুলির বিভিন্ন অঞ্চলকে দলবদ্ধ করে মহেন্দ্রগড় জেলাটি গঠিত হয়েছিল; এর মধ্যে ছিল পাটিয়ালা রাজ্য থেকে নারনাউল ও মহেন্দ্রগড় তহশিল, জিন্দ রাজ্য থেকে দাদরি (চরখি দাদরি) এবং নাভা রাজ্যের বাওয়াল নিজামতের একটি অংশ। এটি পাটিয়ালা এবং পূর্ব পাঞ্জাব স্টেটস ইউনিয়ন (পেপসু) রাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালের ১লা নভেম্বর পাঞ্জাব ও পেপসু একীভূত হওয়ার পরে এটি পাঞ্জাব রাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয় এবং ১৯৬৬ সালে হরিয়ানা রাজ্য গঠন হওয়ার পর, এটি নবগঠিত রাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয়েছিল। ১৯৭২ সালে গুরুগ্রাম জেলার রেওয়ারী তহশিলটি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল কিন্তু ১৯৮৯ সালে রেওয়ারী তহশিলটিকে একটি পৃথক জেলায় পরিণত করা হয়েছিল।
জেলাটি উত্তর অক্ষাংশ ২৭° ৪৭’ থেকে ২৮° ২৬’ এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৭৫° ৫৬’থেকে ৭৬° ৫১’ এর মধ্যে অবস্থিত। এটির উত্তরে ভিওয়ানি ও রেওয়ারী জেলা, পূর্বে রাজস্থানের রেওয়ারী ও আলোয়ার জেলা, দক্ষিণে রাজস্থানের আলওয়ার, জয়পুর ও সীকর জেলা, এবং পশ্চিমে রাজস্থানের সীকর ও ঝুনঝুনু জেলা।