মাইকেল পেলিন | |
---|---|
জন্ম | মাইকেল এডওয়ার্ড পেলিন ৫ মে ১৯৪৩ শেফিল্ড, ইংল্যান্ড |
জাতীয়তা | ইংরেজ |
শিক্ষা | ব্রেজনোজ কলেজ, অক্সফোর্ড (বিএ) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৬৫-বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেলেন গিবিন্স (বি. ১৯৬৬)[১] |
সন্তান | ৩ |
ওয়েবসাইট | themichaelpalin |
স্যার মাইকেল পেলিন KCMG সিবিই FRGS FRSGS (ইংরেজি: Sir Michael Edward Palin, /ˈpeɪlɪn/; জন্ম ৫ মে ১৯৪৩[১]) একজন ইংরেজ অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, লেখক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও বক্তা। তিনি মন্টি পাইথন কৌতুকাভিনয় দলের সদস্য ছিলেন।[২] ১৯৮০ সাল থেকে তিনি অসংখ্য ভ্রমণ প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন।[৩]
পেলিন তার মন্টি পাইথন দলের সদস্য টেরি জোন্সের সাথে যৌথভাবে অধিকাংশ কৌতুকাভিনয়ের বিষয়বস্তু লিখেছেন। মন্টি পাইথনের পূর্বে তারা কেন ডড শো, দ্য ফ্রস্ট রিপোর্ট ও ডো নট অ্যাডজাস্ট ইওর সেট-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন। পেলিন "আর্গুমেন্ট ক্লিনিক", "ডেড প্যারট স্কেচ", "দ্য লাম্বারজ্যাক সং", "দ্য স্প্যানিশ ইনকুইজিশন", "বাইসাইকেল রিপেয়ার ম্যান" ও "দ্য ফিশ-স্ল্যাপিং ড্যান্স"-সহ পাইথন দলের অধিকাংশ বিখ্যাত স্কেচে অভিনয় করেছেন। তিনি নিয়মিত গাম্বি চরিত্রে অভিনয় করতেন।
পাইথন দল ছাড়াও পেলিন জোন্সের সাথে কাজ করতেন এবং তারা একত্রে রিপিং ইয়ার্নস লিখতেন। তিনি পাইথন দলের টেরি জিলিয়ামের পরিচালিত কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল আ ফিশ কলড ওয়ান্ডা (১৯৮৮), যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।[৪][৫] এছাড়া তিনি ভ্রমণ লেখক ও ভ্রমণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে তার নতুন কর্মজীবন শুরু করেন, যা বিবিসিতে প্রচারিত হত। এই কাজের জন্য তিনি উত্তর ও দক্ষিণ মেরু, সাহারা মরুভূমি, হিমালয় পর্বতমালা, পূর্ব ইউরোপ ও ব্রাজিলে ভ্রমণ করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণ করেন এবং চ্যানেল ফাইভে একটি ধারাবাহিকে এই বিচ্ছিন্ন দেশ নিয়ে একটি ধারাবাহিক প্রচারিত হয়।
টেলিভিশনে অবদানের জন্য ২০০০ সালের নববর্ষ সম্মাননায় পেলিনকে কমান্ডার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারে ভূষিত করা হয় এবং ভ্রমণ, সংস্কৃতি ও ভূগোলে অবদানের ২০১৯ সালের নববর্ষ সম্মাননায় তাকে নাইটহুডে ভূষিত করা হয়।[৬][৭] ২০০৫ সালে কৌতুকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনয়ের সাথে সংশ্লিষ্টদের এক ভোটে তিনি কৌতুকাভিনেতাদের কৌতুকাভিনেতা হিসেবে ৩০তম স্থান অধিকার করেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন।[৮] ২০১৩ সালের ১২ই মে বাফটার বিশিষ্ট সভ্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[৯]
তার সবকয়টি ভ্রমনের বই তার ওয়েবসাইট পেলিন্স ট্রাভেলসে বিনামূল্যে পড়া যাবে।
প্রদানের বছর | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|
১৯৮৪ | শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান | "এভরি স্পার্ম ইজ স্যাক্রেড" (দ্য মিনিং অব লাইফ) আন্দ্রে জ্যাকমিন, ডেভ হাউম্যান ও টেরি জোন্সের সাথে |
মনোনীত | |
১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা | আ ফিশ কলড ওয়ান্ডা | বিজয়ী | [১০] |
১৯৯২ | শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন অভিনেতা | জি.বি.এইচ. | মনোনীত | |
২০০৫ | বাফটা বিশেষ পুরস্কার | বিজয়ী | ||
২০০৯ | বাফটা বিশেষ পুরস্কার | মন্টি পাইথন দলের টিভি ও চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য | বিজয়ী | [১১] |
২০১৩ | বাফটা ফেলোশিপ | বিজয়ী | [১২][১৩] |