মাইকেল ফার | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৩ প্যারিস |
পেশা | রিপোর্টার |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ |
ধরন | গবেষণা গ্রন্থ, স্মৃতিকথা |
বিষয় | টিনটিন, হার্জ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | টিনটিন: দ্য কমপ্লিট কমপ্যানিয়ন, টিনটিন অ্যান্ড কোং, ভ্যানিশিং বর্ডারস |
ওয়েবসাইট | |
www |
মাইকেল ফার (ইংরেজি: Michael Farr) (জন্ম: ১৯৫৩) একজন ব্রিটিশ টিনটিন-বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন রিপোর্টার। তিনি দুঃসাহসী টিনটিন কমিক সিরিজ এবং এর স্রষ্টা হার্জ সম্পর্কে আলোচনা, গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন।
মাইকেল ফার ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্রিটিশ সাংবাদিক ওয়াল্টার ফার এবং মাতা অস্ট্রিয়ান-চেক হিল্ডগার্ড ফার। হ্যারো স্কুলে পড়ালেখা শেষে ফার বৃত্তি পেয়ে যান কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে। প্রথমে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করলেও পরে তিনি চারুকলাতে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রথমে রয়টার্স এবং পরে ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্টার হন এবং বৈদেশিক প্রতিবেদক হিসেবে বহু দেশ ভ্রমণ করেন।
রিপোর্টিংয়ের কাজে ১৯৭৯ সালে মাইকেল ফারকে আফ্রিকায় প্রেরণ করা হয়। দুবছর পর তিনি যান জার্মানিতে, সেখানে ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রধান সংবাদদাতা হিসেবে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। এই সময়কালে তিনি পূর্ব ইউরোপ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে রিপোর্ট কাভার করেছেন। বার্লিন প্রাচীর ভাঙার সময় ফার উপস্থিত ছিলেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এসব অভিজ্ঞতা তিনি লিখেছেন তার ভ্যানিশিং বর্ডারস বইতে।
টিনটিন-এর উৎসাহী পাঠক ফার হার্জের সংস্পর্শে আসেন ১৯৭৮ সালে, ব্রাসেলসে কর্মরত অবস্থায়। হার্জ সাধারণত প্রচারবিমুখ হলেও ফারকে সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হন। তারা একত্রে এক রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজ করেন এবং তাদের মধ্যে বহু বিষয়ে কথোপকথন হয়।[১] পরবর্তীতে ফার টিনটিন এবং হার্জকে নিয়ে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন; বই লেখেন, বক্তৃতা দেন। এসময়ের ব্রিটিশ টিনটিন-বিশেষজ্ঞদের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধ।
২০০৪ সালে গ্রীনউইচে মেরিটাইম জাদুঘরের টিনটিন প্রদর্শনীর এক সেশনে ফার বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন।[২] ২০০৩ সালের প্রামাণ্যচিত্র টিনটিন অ্যন্ড আই-এ তাকে দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি তার জার্মান স্ত্রী-কন্যা নিয়ে লন্ডনে বাস করছেন।
বহুভাষী ফার ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান এবং ইতালীয় ভাষা জানেন। তার ইংরেজি বই টিনটিন: দ্য কমপ্লিট কমপ্যানিয়ন লেখার সময় এর একটি ফরাসী সংস্করণও তিনি লিখেছেন।