মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল | |
---|---|
পার্কওয়ে পান্তাই | |
ভূগোল | |
অবস্থান |
সিঙ্গাপুর |
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা | 1°18′16.2″N 103°50′06.3″E / 1.304500°N 103.835083°E / 1.304500; 103.835083Coordinates: 1°18′16.2″N 103°50′06.3″E / 1.304500°N 103.835083°E / 1.304500; 103.835083 |
কর্তৃপক্ষ | |
যত্ন ব্যবস্থা | বেসরকারী |
সেবা | |
স্ট্যান্ডার্ড | জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল |
জরুরী বিভাগ | হ্যাঁ দুর্ঘটনা এবং জরুরী অবস্থা |
বিছানা | ৩৪৫ |
লিংক | |
ওয়েবসাইট |
www.mountelizabeth.com.sg |
Lists | Hospitals in Singapore |
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বা সংক্ষেপে মাউন্ট ই নামে পরিচিত একটি ৩৪৫-শয্যার বেসরকারী হাসপাতাল। সিঙ্গাপুরের এই হাসপাতাল একটি বেসরকারী কোম্পানি, পার্কওয়ে হেলথ কোম্পানি কর্তৃক অধিকৃত ও পরিচালিত।[১] ১৯৭৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এই হাসপাতাল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৯ সালের ৮ই ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে। হাসপাতালটিতে একই সাথে হৃদরোগ, ক্যান্সার চিকিৎসা, কিডনি রোগ, স্নায়ুজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও এই হাসপাতালটি একই সাথে একাধিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার অস্ত্রোপচার সম্পন্নে জন্য প্রসিদ্ধ।[২] ১৯৯৫ সাল থেকে পার্কওয়ে হোল্ডিংস লিমিটেড হাসপাতালটির মালিকানা অধিকার করেছে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথের অর্কার্ড সড়কে অবস্থিত এই হাসপাতাল জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জয়েন্ট কমিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক স্বাস্থ্য সংস্থা) দ্বারা স্বীকৃত।[৩] সিঙ্গাপুরের প্রথম কোনো বেসরকারী হাসপাতাল হিসেবে এখানেই সর্বোপ্রথম ওপেন-হার্ট সার্জারি অস্ত্রোপচার করা হয় এবং আণবিক ঔষধ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও তা ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে।[৪]
ব্রুনাই-এর রাজপরিবার হাসপাতালটিতে একটি রাজকীয় সুইট প্রতিষ্ঠা করেছিল। অবশ্য পরে এই রাজকীয় কক্ষটি অন্যান্য রোগীদের ব্যবহারের জন্যেও খুলে দেয়া হয়।
২০১৬ সালের হিসাব মতে, হাসপাতালটিতে চার শয্যার ওয়ার্ডে একটি শয্যার জন্য প্রতিরাতে ২৭৬ মার্কিন ডলার গুণতে হয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব রুমের খরচ রাত প্রতি ৬৪০ মার্কিন ডলার।[৫]
হাসপাতাল সংলগ্ন মাউন্ট এলিজাবেথ মেডিকেল সেন্টার (এমইএমসি) অবস্থিত।[৬] এই ক্লিনিকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ডাক্তার কর্তৃক চিকিতসাসেবা প্রদান করা হয়। সিঙ্গাপুর মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডাক্তারেরাই শুধুমাত্র এই হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বপালন করতে পারেন। সব মিলিয়ে মোট ৩১টি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এই হাসপাতালে কর্মরত। স্নায়ুরোগ থেকে শুরু করে, হৃদরোগ, দন্তচিকিৎসা, পাকান্ত্রবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সেবা প্রদান করেন। রোগীর অবস্থা, ক্লিনিক ও বিশেষজ্ঞভেদে চিকিৎসা খরচ বিভিন্ন হয়।
সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রোগী ছাড়াও সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে মানুষ আসে। হাসপাতালটির কর্মীরা ইন্দোনেশীয় ভাষা, রুশ ভাষা এবং মাওয় ভাষাতেও পারদর্শী। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ঔষধের দোকানপাট রয়েছে।
বাংলাদেশের একাধিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সময় এই হাসপাতালের সেবা গ্রহণ করেছেন। ২০১৩ সালের ২০শে মার্চ বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ফুসফুসের সংক্রমণ ব্যাধিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।