ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাউরো এমানুয়েল ইকার্দি রিভেরিও | ||
জন্ম | ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ | ||
জন্ম স্থান | রোজারিও, আর্জেন্টিনা | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | PSG | ||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০২–২০০৮ | ভেসিন্দারিও | ||
২০০৮–২০১১ | বার্সেলোনা | ||
২০১১ | → সাম্পদোরিয়া (ধার) | ||
২০১১–২০১২ | সাম্পদোরিয়া | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১২–২০১৩ | সাম্পদোরিয়া | ৩৩ | (১১) |
২০১৩– | ইন্টার মিলান | ২৪ | (১২) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১২–২০১৩ | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ | ৫ | (৩) |
২০১৩– | আর্জেন্টিনা | ১ | (0) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
মাউরো এমানুয়েল ইকার্দি রিভেরিও (জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার সিরি এ ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন।
ইকার্দি আর্জেন্টিনার, রোজরিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন ছয় তখন তার পরিবার স্পেনের কানারি আইল্যান্ডে চলে যায়। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন ভেসিন্দারিওর হয়ে। যুব দলগুলোতে খেলার সময় তিনি ৫০০ এরও অধিক গোল করেন।২০০৮ সালে তাকে দলে ভেড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ভালেনসিয়া, সেভিয়া, ইস্পানিওল, দেপোর্তিভো লা করুনিয়া, আর্সেনাল এবং লিভারপুল। এই প্রতিযোগিতায় জয় পায় বার্সেলোনা এবং তারা ইকার্দির সাথে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেন।[১]
২০০৮–০৯ মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনায় যোগ দেন ইকার্দি। সেখানে তিনি অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে খেলতে শুরু করেন। পরের মৌসুমে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে তিনি সুযোগ পান। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে, ধার হিসেবে তিনি স্যাম্পদোরিয়ায় যোগ দেন। বার্সেলোনা ত্যাগ সম্পর্কে তিনি বলেন যে এটি কোন খারাপ সিদ্ধান্ত ছিলন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি ভালো করবেন।[২]
২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি, স্যাম্পদোরিয়া ইকার্দির সাথে ধারে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত চুক্তির খবর নিশ্চিত করে।[৩][৪] ছয় মাস ধারে স্যাম্পদোরিয়ার প্রিমাভেরা দলের হয়ে তিনি ১৯ খেলায় ১৩ গোল করেন। ২০১১ সালের জুলাইয়ে, স্যাম্পদরিয়া তার সাথে তিন বছরের চুক্তি করে। ৪০০,০০০ ইউরোর বিনিময়ে তারা তাকে পুরোপুরি ভাবে কিনে নেয়।[৪][৫]
২০১২ সালের ১২ মে, ইয়ুভে স্তাবিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক হয়, খেলার ৭৫তম মিনিটে ব্রুনো ফর্নারোলির বদলি হিসেবে তিনি মাঠে নামেন। দশ মিনিট পরেই ইকার্দি তার কর্মজীবনের প্রথম পেশাদার গোল করেন এবং স্যাম্পদোরিয়া ২–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৬]
২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি, জুভেন্টাসের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ২–১ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৭] ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি, পেসকারার বিপক্ষে তিনি চার গোল করেন এবং দলকে ৬–০ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন, এতে স্যাম্পদোরিয়ার অবনমন শঙ্কা দূর হয়।[৮]
২০১৩ সালের এপ্রিলে, ঘোষণা করা হয় যে ২০১৩–১৪ মৌসুম শুরুর আগেই ইন্টার মিলানে যোগ দেবেন।[৯] পরবর্তীতে স্যাম্পদোরিয়া কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।[১০] ইকার্দি ইন্টারের হয়ে তার প্রথম গোল করেন প্রাক-মৌসুম প্রীতি খেলায় জার্মান ক্লাব হ্যামবার্গার এসভির বিপক্ষে।[১১][১২] ১৪ সেপ্টেম্বর, ইন্টারের হয়ে ইকার্দি তার প্রথম লীগ গোল করেন। জুভেন্টাসের বিপক্ষে খেলার ৭৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে তিনি দলকে ১–০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান। অবশ্য, শেষ পর্যন্ত খেলাটি ১–১ গোলে ড্র হয়।[১৩]
২০১২ সালের আগস্টে, আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ দলের হয়ে জার্মানির বিপক্ষে ইকার্দির অভিষেক হয়।[১৪]
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আর্জেন্টিনার জ্যেষ্ঠ দলের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইকার্দি। তিনি বলেন, “আমি আর্জেন্টিনীয়, আমি আর্জেন্টিনীয় অনুভব করি এবং আমি সবসময় আমার জাতীয় দলের শার্ট গায়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছি, আমার সর্বোচ্চটি দেওয়ার জন্য।”[১৫]
২০১৩ সালের ১৫ অক্টোবর, ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলায় আর্জেন্টিনার জ্যেষ্ঠ দলের হয়ে তিনি প্রথম মাঠে নামেন।[১৬]
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ অনুসারে।
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | ইউরোপ | মোট | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
স্যাম্পদোরিয়া | ২০১১–১২ | ২ | ১ | – | – | ২ | ১ | ||
২০১২–১৩ | ৩১ | ১০ | – | – | ৩১ | ১০ | |||
মোট | ৩৩ | ১১ | ০ | ০ | ০ | ০ | ৩৩ | ১১ | |
ইন্টার মিলান | ২০১৩–১৪ | ২২ | ৯ | ১ | ০ | – | ২৩ | ৯ | |
২০১৪–১৫ | ২ | ৩ | ০ | ০ | ২ | ৩ | ৪ | ৬ | |
মোট | ২৪ | ১২ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ২৭ | ১৫ | |
কর্মজীবনে সর্বমোট | ৫৭ | ২৩ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ৬০ | ২৬ |
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)