![]() Institute's logo | |
সংক্ষেপে | AEI |
---|---|
গঠিত | 1995 |
ধরন | non-profit research organization |
সদরদপ্তর | Potsdam-Golm and Hannover, Germany |
Management | managing director Alessandra Buonanno and deputy managing director Bruce Allen |
প্রধান অঙ্গ | Max Planck Society |
ওয়েবসাইট | www |
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মাক্স প্লাংক সোসাইটির অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, গণিত, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ , জ্যোতিঃপদার্থবৈজ্ঞানিক আপেক্ষিকতা ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পটসডাম শহরের গোলম এলাকার পটসডাম বিজ্ঞান পার্ক ও হ্যানোভার শহরে এটি অবস্থিত। ইনস্টিটিউটটির পটসডাম শাখা তিনটি গবেষণা বিভাগে বিভক্ত; অপরদিকে এর হ্যানোভার শাখা দুইটি বিভাগে বিভক্ত।
গণিতের মৌলিক গবেষণা, উপাত্ত বিশ্লেষণ, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, মহাশূন্য প্রযুক্তি, কম্পন বিচ্ছিন্নকরণ, ধ্রুপদী ও কোয়ান্টাম আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
লাইগো বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা সংস্থা যখন প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার ঘোষণা দেয়,তখন এ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা তরঙ্গ-সংকেত বিন্যাসকরণ, শনাক্তকরণ, বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করেন। এটি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকল্পের অংশীদার। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তকারী জিই৬০০ তৈরিতে এর প্রধান ভূমিকা রয়েছে। লাইগো, ভারগো ও কাগরা বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা সংস্থার সাহায্যে তরঙ্গ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির উন্নয়নে মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাকাশভিত্তিক তরঙ্গ শনাক্তকারী লিসা (২০৩৪ সালে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে) ও পৃথিবীপৃষ্ঠে অবস্থানকারী শনাক্তকারী "আইনস্টাইন দূরবীক্ষণ" ও "কসমিক এক্সপ্লোরার" (মহাজাগতিক অভিযাত্রী) উৎপাদনেও ইনস্টিটিউটটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। "আইনস্টাইন অ্যাট হোম" ও "পিওয়াইসিবিসি" প্রকল্পেও এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট "লিভিং রিভিউস ইন রিলেটিভিটি" নামক জার্নাল প্রকাশ করে। [১]
১৯৯৫ সালের এপ্রিলে ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে পটসডামের গোলম এলাকায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। [২]
২০০২ সাল থেকে হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় ইনস্টিটিউটের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরমাণু ও অণু পদার্থবিজ্ঞান (এএমপি) ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এএমপির উদ্যোগেই হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।
"সাধারণ আপেক্ষিকতা" মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় ইনস্টিটিউটের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে। তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ ও মহাজাগতিক বিজ্ঞান বিষয়ে ইনস্টিটিউট বহুমুখী ভূমিকা পালন করে। তবে "মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিষয়ের উপর ইনস্টিটিউট সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে।
প্রতি বছর বসন্তকালে দুই সপ্তাহের জন্য গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ৪০ জন আন্তর্জাতিক ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দেয়।[৩] ইনস্টিটিউটে কর্মরত গবেষকবৃন্দ এ সকল বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের লেকচার প্রদান করেন।
২০০০ সালে জুর্গেন এহলারস স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক জুর্গেন এহলারসের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।
ইনস্টিটিউটের পটসডাম শাখা এবং জিইও৬০০ মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তকারী যন্ত্র পরিদর্শনের জন্য প্রতি বছর অনেক দর্শনার্থী আগমন করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে ইনস্টিটিউট অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এর গবেষকরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই বক্তব্য প্রদান করে থাকেন।[৪]
মাক্স প্লাংক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট জনপ্রিয় ওয়েবপোর্টাল "আইনস্টাইন অনলাইন" পরিচালনা করে থাকে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সম্পর্কে ওয়েবপোর্টালটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে । [৫]
ইনস্টিটিউট ও উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে "আইনস্টাইন অ্যাট হোম" নামক গণনাকারী প্রকল্প পরিচালনা করে। লাইগো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তকারী যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘূর্ণায়মান নিউট্রন স্টার শনাক্তকরণে আইনস্টাইন অ্যাট হোম প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ কাজে বড় আকৃতির রেডিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র ও ফার্মি গামা রশ্মি মহাশূন্য দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।