মাগুয়ারি মানিকজোড় Ciconia maguari | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Ciconiiformes |
পরিবার: | Ciconiidae |
গণ: | Ciconia |
প্রজাতি: | C. maguari |
দ্বিপদী নাম | |
Ciconia maguari (Gmelin, 1789) |
মাগুয়ারি মানিকজোড় (বৈজ্ঞানিক নাম: Ciconia maguari) বা সাদাঠুঁটি মানিকজোড় Ciconiidae (সাইকোনিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Ciconia (সাইকোনিয়া) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির বৃহদাকৃতির জলচর পাখি। পাখিটি উত্তর ও মধ্য দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৫২ লাখ বর্গ কিলোমিটার।[২] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] প্রজাতিটি স্বভাবে পরিযায়ী এবং কোন উপপ্রজাতি নেই।
দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ফরাসি গায়ানা, গায়ানা, সুরিনাম, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলায় এরা আবাসিক পাখি। ত্রিনিদাদ, চিলি, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং সম্ভবত পেরুতে এরা অনিয়মিত।[১]
মাগুয়ারি মানিকজোড় আকারে বেশ বড়সড় পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৯৭-১২০ সেন্টিমিটার, ডানার বিস্তার ১৬০-১৮০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৩.৪-৪.৫৪ কেজি।[৩][৪] স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মধ্যে কোন যৌন দ্বিরূপতা নেই। তবে পুরুষ পাখি গড়ে স্ত্রী পাখির থেকে একটু বড়। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির কাঁধ-ঢাকনি ও ডানা কালো। পালকে মেলানিন থাকার কারণে পালক কালো দেখায়।[৫] গলা, পিঠ, ডানা-ঢাকনি, দেহতল, লেজ ও লেজ-ঢাকনি সাদা। মুখের পালকহীন চামড়া টকটকে লাল। লম্বা পা টকটকে লাল রঙের। চোখ খড় হলুদ। লম্বা সোজা ঠোঁটের গোড়া ধূসর। ঠোঁটের আগা লালচে।
মাগুয়ারি মানিকজোড় ঘাসক্ষেত, জলাভূমি, পতিত জমি এবং ডোবাময় মাঠে বিচরণ করে। শুষ্ক এলাকায়ও দেখা যায়। সচরাচর একা, জোড়ায় কিংবা বিশাল ঝাঁকে থাকে। খাবারের সন্ধানে খুব ভোরে জলাভূমিতে নামে। হেঁটে হেঁটে ভেজা ঘাস ও জলাভূমিতে ঠোঁট ঢুকিয়ে এরা খাবার খুঁজে বেড়ায়। খাদ্যাভ্যাসের দিক থেকে এরা মাংসাশী পাখি। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে পোকামাকড়, শামুক, ব্যাঙ, ছোট সরীসৃপ, ছোট স্তন্যপায়ী ও মাছ। ধীরে ধীরে ডানা মেলে এরা উড়ে চলে। হালকা বাতাসে ভেসে থাকে। আশ্রয়ের জন্য এরা একটিমাত্র গাছকে বেছে নেয়। কোন ব্যাঘাত না ঘটলে ঐ গাছে এরা রাতের পর রাত আশ্রয় নেয়। শীতে সচরাচর নীরব থাকে। তবে প্রজনন মৌসুমে ঠোঁট দিয়ে ঠক-ঠক আওয়াজ তোলে।
প্রজনন মৌসুমে এরা লোকালয়ের উঁচু দালান, ঘরবাড়ি, খাড়া বাঁধ কিংবা উঁচু গাছে ডালপালা দিয়ে বড় মাচার মত আগোছালো বাসা বানায়। এরা কলোনি করে বাসা করে। স্ত্রী ও পুরুষ দু'জনে মিলেই বাসা করে। বাসা বানাতে ৫-১৫ দিন সময় লাগে। বাসা বানানো শেষে ডিম পাড়ে। ডিমগুলো সংখ্যায় ২-৫টি এবং সাদা রঙের। ৩০ দিনে ডিম ফুটে ছানা বের হয়।
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)