মাদারিয়া তরিকা উত্তর ভারত, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, মেওয়াত অঞ্চল, বিহার, গুজরাত ও পশ্চ৮িমবঙ্গে জনপ্রিয় এবং একইসাথে নেপালে ও বাংলাদেশেও জনপ্রিয় সুফি তরিকা, যা প্রচলিত প্রথা ভাঙা, বাহ্যিক ধর্মীয় অনুশীলনের উপর শিথীলতা এবং আত্ম যিকিরের উপর জোর প্রয়োগের করনে সুপরিচিত। এটি প্রখ্যাত সুফি সাধক সৈয়দ বদিউদ্দীন জিন্দা শাহ মাদার (জন্ম৮৫৭খ্রি:-মৃত্যু ১৪৩৩খ্রি:) কর্তৃক প্রবর্তিত সূফি তরিকা এবং উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার মকানপুরে তার মাজার কেন্দ্রিক পরিচালিত তরিকা। তিনি তেরো শতকে আশরাফ জাহাঙ্গীর সেমনাণী সহ ভারতে আগমন করেন।[১]
তাঁর পীর বা আধ্যাত্মিক শিক্ষক বায়াজীদ তায়ফুর আল-বোস্তামি কর্তৃক প্রবর্তিত তৈয়ফুরিয়া তরিকা থেকে উৎপত্তি হয়ে মাদারিয়া তরিকা ১৫ থেকে ১৭ শতকের মাঝামাঝি মুঘল আমলে বিশেষ গৌরব অর্জন করেছিল এবং শাহ মাদারের শিষ্যদের মাধ্যমে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা, বাংলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এ তরিকা ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ সুফি তরিকার মতই এটি প্রতিষ্ঠাতা শাহ মাদারের নামে নির্মিত হয়েছে, যা মাদারিয়া তরিকা নামে পরিচিত।[২][৩][৪][৫][৬]
মাজার বা রওজা শরিফ বা বাদিউদ্দীন জিন্দা শাহ মাদারের সমাধি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর শহরের কাছে মকানপুরে অবস্থিত। এখানে প্রতি মাসে বিশেষ করে বার্ষিক ওরস উদযাপনের সময় হাজার হাজার দর্শনার্থী, ভক্তবৃন্দ পরিদর্শন করে।[৭]