মাদেহা আল-আজরুশ | |
---|---|
জন্ম | |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইয়র্ক |
পেশা | মনোরোগবিদ, চিত্রগ্রাহক, নারী অধিকার কর্মী |
সন্তান | ২ |
ওয়েবসাইট | madehaalajroush |
মাদেহা আল-আজরুশ একজন সৌদি আরবীয় নারী অধিকার কর্মী, মনোরোগবিদ ও স্থির চিত্রগ্রাহক।[১] তিনি সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে সক্রীয় ছিলেন। সৌদি আরবে নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করায় ২০১৮ সালের মে মাসে তাকে আজিজা আল-ইউসেফ, লুজাইন আল-হাথলুলের মত সরব নারী অধিচকারকর্মীদের সাথে ধাহবান কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মাদেহা আল-আজরুশ নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনোবিজ্ঞান ও পাঠদান বিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন।[২] পারিবারিকভাবে তিনি দুই সন্তানের জননী।[১]
মাদেহা আল-আজরুশ ১৯৯০ সালে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভে অংশ নেন।[৩] একারণে তিনি আটক হন, চাকরি হারান, তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়।[৪][৫] প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সৌদি আরবে অবস্থানরত নারী মার্কিন সৈন্যদের গাড়ি চালানো দেখে সৌদি মহিলারা সরকারকে এব্যাপারে মাহিলাদের অধিকার প্রদানে চাপ দিয়েছিল। এই কাজের জন্য অতিরিক্ত শাস্তি হিসেবে, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাদেহা আল-আজরুশের তৈরি করা চিত্রের নেগেটিভগুলি সৌদি কর্তৃপক্ষ পুড়িয়ে দিয়েছিল।[৬] মাদেহা তার ১৯৯০-এর অভিজ্ঞতা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ''১৯৯০ সালে আমি একেবারে আতঙ্কিত ছিলাম। "এবং আমরা কি করছিলাম তা তুলে ধরার এবং আমাদের রক্ষা করার জন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না।"[৭]
২০১৮ সালের ১৫ থেকে ১৮ মে-এর মধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে আজিজা আল-ইউসেফ, লুজাইন আল-হাথলুল, ইমান আল-নাফজান, আয়েশা আল-মানাসহ দুইজন নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক ও ধাহবান কেন্রীয় কারাগারে বন্দী রাখে।[৮][৯][১০] হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যকে ভীতকর হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে- "যে কেউ যুবরাজের অধিকার কর্মসূচি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে"।[১১] সৌদি কর্তৃপক্ষ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে "বিদেশী দলের সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ", "বিদেশে বৈরী উপাদানগুলিকে" আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং এধরনের সন্দেহজনক কাজে সরকারি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করেছে।[১২]
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, "সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর বিশ্বের একমাত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"[৫] মাদেহা আল-আজরুশ এবং আয়েশা আল-মানা তার কিছুদিন পর মুক্তি পেয়েছিলেন, অন্যরা তখনো আটক ছিলেন।[১৩]
২০১৬ সালে মাদেহা'র তোলা সৌদি আরবের বিভিন্ন পাহাড়ে ও পাথরে প্রাগৈতিহাসিক কালে অঙ্কিত নারীদের অবয়বের পাথুরে শিল্পকর্মের চিত্র নিয়ে 'রিসারফেস' শিরোনামের একটি স্থিরচিত্রের বই প্রকাশ এবং ঐ বইয়ের চিত্রগুলি দিয়ে রিয়াদে তিনদিন ব্যাপী প্রদর্শনী করেছিলেন।[১]