জাতীয় কবি (রাষ্ট্রকবি) মাধবপ্রসাদ ঘিমিরে | |
---|---|
স্থানীয় নাম | माधवप्रसाद घिमिरे |
জন্ম | [১] পুস্তুন, লমজুঙ, নেপাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৯
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ২০২০ কাঠমান্ডু, নেপাল | (বয়স ১০০)
পেশা | কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার ও শিক্ষাবিদ |
জাতীয়তা | নেপালি |
মাধবপ্রসাদ ঘিমিরে (নেপালি: माधवप्रसाद घिमिरे; ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ – ১৮ আগস্ট ২০২০) একজন নেপালি কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার ও শিক্ষাবিদ। গৌরী, মালতিমঙ্গল, নবমঞ্জরী (বি.স ১৯৯৪), ঘামপানী (বি.স ২০১০), নয়াঁ নেপাল (বি.স ২০১৩), কিন্নর-কিন্নরী (বি.স ২০১৩) ইত্যাদি সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি বিখ্যাত। নেপালি সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৩ সালে নেপাল সরকার তাকে জাতীয় কবি (নেপালি: राष्ट्रकवि, প্রতিবর্ণীকৃত: রাষ্ট্রকবি) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[২][৩]
মাধবপ্রসাদ ১৯১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেপালের লমজুঙ জেলার পুস্তুন নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সেই তিনি তার মাকে হারান। ৬ বছর বয়সে তিনি পড়তে শেখেন এবং আট বা নয় বছর বয়সে ফুলেবাবা নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি পঞ্চাঙ্গম শেখেন। ১১ বছর বয়সে তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখতে দুরাডাঁডা গ্রামে যান। পরবর্তীতে তিনি কাঠমান্ডু গিয়ে সংস্কৃত প্রধান পাঠশালা ও তিনধারা সংস্কৃত পাঠশালায় লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি ভারতের বেনারসে গমন করেন এবং সেখানেই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।[৪][৫]
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ঘিমিরের লেখা জ্ঞানপুষ্প গোর্খাপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বেনারস থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৪১ সালে তিনি ভাষানুবাদ পরিষদে মাসিক ২৫ রূপি বেতনে লেখক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি গোর্খাপত্রের সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন।[৬] এরপর, ১৯৫১ সালে তিনি গ্রামে ফিরে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা নেতৃত্বাধীন কাব্য প্রতিষ্ঠানের সদস্য হন।[৫]
১৯৭৯ সালে তিনি নেপাল রাজকীয় প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠান (নেপাল রয়েল অ্যাকাডেমি)-এর উপাচার্যের দায়িত্ব পান। ১৯৮৮ সালে তাকে আচার্য হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।[৬]
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট (বিক্রম সংবৎ:২ ভাদ্র ২০৭৭) ঘিমিরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে কাঠমান্ডুর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[৭][৮]
ঘিমিরে ২০০৩ সালে নেপালের জাতীয় কবির স্বীকৃতি পান। এছাড়াও তিনি ছিলেন নেপালি সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক কর্নেল। তার অন্যান্য অর্জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:[৬][৯]