মানবাধিকার সংস্থা বা মানবাধিকার সংগঠন হলো এমন একটি বেসরকারী সংস্থা যা নিপীড়িতদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সনাক্তকরণ, ঘটনার তথ্য সংগ্রহ, এর বিশ্লেষণ ও প্রকাশনা, প্রাতিষ্ঠানিক উকিল পরিচালনা করার মাধ্যমে জনসচেতনতার প্রচার করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও সহিংসতা থামানোর জন্য প্রচেষ্টটা চালায়।
অন্যান্য এনজিওগুলির মতোই মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিও সরকারি করের অন্তর্ভুক্ত। এই সংঘটনগুলি যে সীমাবদ্ধতা ও আইনি নিয়মের অধীনে পরিচালিত হয় তা হলো-[১]
মানবাধিকার গোষ্ঠীকে যেকোনো সমাজের অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠীর থেকে পৃথক করে তা হলো রাজনৈতিক সমর্থকরা সাধারণত তাদের নিজস্ব উপাদানগুলির অধিকার রক্ষার চেষ্টা করে, কিন্তু একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী সমাজের সকল সদস্যের জন্য একই অধিকার রক্ষার চেষ্টা করে।[২]
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে অন্যতম সেরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী বলে বিবেচিত হয়। তবে এটিও অন্যান্য অনেক গ্রুপের মতোই মানবাধিকার গোষ্ঠীর সংজ্ঞাও প্রসারিত করেছে, এমন বিষয়গুলিতেও উত্সাহ দিয়েছে যেগুলি সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকারের পক্ষে।[৩]
কিছু সরকারী সংস্থা রয়েছে যাদেরকেও মানবাধিকার গোষ্ঠী হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গোষ্ঠী। তবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলি মূলত নীতি নকশার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য স্থাপিত।এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বেসরকারি সংস্থা বিশ্ববন্ধু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।