মানস সরোবর | |
---|---|
མ་ཕམ་གཡུ་མཚོ། (তিব্বতি) | |
![]() কালিয়াশ পর্বতের পাদদেশে মানস সরোবর | |
অবস্থান | তিব্বত, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, চীন |
স্থানাঙ্ক | ৩০°৪০′২৫.৬৮″ উত্তর ৮১°২৮′০৭.৯০″ পূর্ব / ৩০.৬৭৩৮০০০° উত্তর ৮১.৪৬৮৮৬১১° পূর্ব |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৩২০ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৯০ মিটার (৩০০ ফুট) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | ৪,৫৫৬ মিটার |
হিমায়িত | শীতকাল |
মানস সরোবর (সংস্কৃত: मानस सरोवर; তিব্বতি: མ་ཕམ་གཡུ་མཚོ།, ওয়াইলি: ma-pham g.yu-mtsho, ZYPY: Mapam Yumco; সরলীকৃত চীনা: 玛旁雍错; প্রথাগত চীনা: 瑪旁雍錯) লাসা থেকে ২০০ কিমি দুরে তিব্বতে অবস্থিত একটি মিষ্ট জলের হ্রদ। "মানস সরোবর" শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল মনের সরোবর। মানস সরোবর পশ্চিমদিকে রাক্ষসতল হ্রদ এবং উত্তর দিকে কৈলাস পর্বত দ্বারা বেষ্টিত।
এশীয় সংস্কৃতিতে মানস সরোবরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। মুখ্যত বৌদ্ধধর্মাবলম্বী এবং হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে এই সরোবর একটি অত্যন্ত পবিত্র হ্রদ হিসেবে গণ্য হয়। বৌদ্ধধর্মানুসারে ত্রিপিটকে বর্ণিত অনবতপ্ত হ্রদই (পালি: অনোতত্ত) হল মানস সরোবর। প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে এই মহাপবিত্র হ্রদের নিকটেই মায়াদেবী শাক্যমুনি বুদ্ধকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানেও প্রতিবছর কয়েকশ তীর্থযাত্রী কুমায়ুন হিমালয়ের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপশ্চিম তিব্বতে প্রবেশ করে ৷ উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে ৯নং জাতীয় সড়কে আসকোট পর্যন্ত, তারপর দ্রচুলা হাইওয়ে তে দ্রচুলা পর্যন্ত , এরপর বাকি অংশ কৈলাস মানস সরোবর রোডে লিপুলেখ গিরিপথ পর্যন্ত মোট ১৮০ কিমির যাত্রা। গিরিপথ থেকে সরোবরের দূরত্ব মাত্র ৯০ কিমি।
৬০০ কিমির অধিক দীর্ঘ পথ এটি। প্রথমে বিমানে দিল্লী থেকে কাঠমান্ডু ৷ তারপর নেপাল থেকে দক্ষিণপূর্ব তিব্বতে প্রবেশ করা ৷ কৈলাস ও মানস সরোবর পশ্চিম তিব্বতে অবস্থিত ৷