মায়া দ্য লস্ট মাদার | |
---|---|
পরিচালক | মাসুদ পথিক |
প্রযোজক | ব্রাত্য চলচ্চিত্র & ব্রাত্য ক্রিয়েশন |
রচয়িতা | মাসুদ পথিক |
চিত্রনাট্যকার | মাসুদ পথিক |
কাহিনিকার | মাসুদ পথিক |
উৎস | শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘নারী’ কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ |
শ্রেষ্ঠাংশে | মুমতাজ সরকার জ্যোতিকা জ্যোতি প্রাণ রায় দেবাষীস কায়সার |
সুরকার | বেলাল খান প্লাবন কোরেশী তানভীর তারেক ইমন চৌধুরী |
চিত্রগ্রাহক | কমল চন্দ্র দাস |
সম্পাদক | জুনায়েদ হালিম |
প্রযোজনা কোম্পানি | ব্রাত্য ক্রিয়েশন |
পরিবেশক | ব্রাত্য চলচ্চিত্র এন্ড ব্রাত্য ক্রিয়েশন |
মুক্তি | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ |
স্থিতিকাল | ১২৩ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
মায়া দ্য লস্ট মাদার[১] ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র । এই চলচ্চিত্রটি কাহিনি, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মাসুদ পথিক।[২] চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর চিত্রকর্ম ‘নারী’ এবং বাংলাদেশের কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।[৩] চলচ্চিত্রটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রণালয়ের অনুদান পায়।[৪] এই চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের একজন সংগ্রামী বীরাঙ্গনার গল্প চিত্রিত হয়েছে।[৫] নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ-এর পর এটা মাসুদ পথিকের দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা।[৬] এটা বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের নিয়ে নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[৭]
চলচ্চিত্রটি সীমিত পরিসরে ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশের ৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৮] চলচ্চিত্রটি ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয়।[৯] এটি ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সর্বাধিক ৮টি বিভাগে পুরস্কৃত হয়।[১০]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরাঙ্গনার বড় সন্তান একজন যুদ্ধশিশু। এই যুদ্ধশিশু নিঁখোজ হয়, বড় হয়ে সে তার মায়ের খোঁজ করে। বীরাঙ্গনার ছোট মেয়ে মায়া। মা বীরাঙ্গনা হওয়ায় মায়ার সংসার ভেঙ্গে যায়। বীরাঙ্গনার বাড়িতে আশ্রিত থাকে আরো একজন যুদ্ধশিশু, যার সঙ্গে মায়ার প্রেম। এদিকে গ্রামের চেয়ারম্যান, ইমাম সকলের কুদৃষ্টি থাকে মায়ার শরীরের উপর। এসবের মাঝেই কৃষিকাজ, পশুপালন করে সংসার চালায় মায়া। সমাজের কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে একঘরে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে; তবুও সমাজের অন্যায়-নিপীড়নের শিকার হয় সন্তানসম্ভবা মায়া।[১১]
২০ ফেব্রুয়ারি,২০১৮ তে চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক চিত্র গ্রহণ শুরু হয়। ২৯ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত ঢাকা ও নরসিংদীর রায়পুরায় টানা ৪০দিন চিত্র গ্রহণ করা হয়।[১২][১৩]
এই ছায়াচিত্রে গান করেছেন মমতাজ, বেলাল খান, কোনাল, শিল্পী বিশ্বাস, ঐশী, পূজা ও পড়শী[৭][১৪] ছবির প্রচারণার অংশ হিসেবে গান গুলি মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।[৪] ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ হতে এই চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ করা হয়।[১৫]
ক্রম | গানের শিরোনাম | কন্ঠ শিল্পী | গীতিকার | সুরকার | সঙ্গীত পরিচালক | সুত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | বাড়ির পাশে পূর্ব ধারে(ডালিম গাছ) | মমতাজ | মাসুদ পথিক | প্লাবণ কোরেশী | মুশফিক লিটু | [১৬][১৭] |
২ | মায়ারে | ঐশী | ইমন চৌধুরী | [১৫] | ||
৩ | দুই কূলে | বেলাল খান | বেলাল খান | |||
৪ | একলা মানুষ | |||||
৫ | চল হে বন্ধু | কামাল চৌধুরী | ইমন চৌধুরী | |||
৬ | জন্মভূমি | কোনাল | হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন | তানভির তারেক | ||
৭ | দুই জনম | শিল্পী বিশ্বাস | আশরাফুল আলম খোকন | মাসুদ পথিক | ||
৮ | ওরে বন্ধু | পড়শী | মাসুদ পথিক | মুরাদ নূর | ||
৯ | আমি কি করিয়া | পূজা | বেলাল খান | [১৮] |
২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে চলচ্চিত্রটির ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের টিজার ব্রাত্য ক্রিয়েশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পাতা হতে মুক্তি পায়।[৭][১৯][২০] ২০ নভেম্বর এই ছায়াচিত্রের ট্রেইলার মুক্তি এবং ডিসেম্বর, ২০১৯-এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়।[৭] কিছু দৃশ্য কর্তনের পর ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ড ব্যাপ্তির চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য ছাড়পত্র পায়।[৪] চলচ্চিত্রটি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে মুক্তি পায়।[৪][২১] এছাড়াও ছায়াছবিটি ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'বাংলাদেশ প্যানারমা' বিভাগে ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে প্রদর্শিত হয়।[৯]
"পোস্টারটা একজন নির্যাতিত বীরাঙ্গনার টাইপো ইমেজ, পাকিস্তানি আর্মি টর্চার ক্যাম্পে এরকম বীভৎস নির্যাতন করত, তারই একটি চিত্র পোস্টারটিতে উঠে এসেছে। এটাকে খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার অবকাশ নাই। এখানে সত্য আছে, কোনো অশ্লীলতা নেই"
—একুশে টিভিকে মাসুদ পথিক[২২]
সেপ্টেম্বর, ২০১৮তে চলচ্চিত্রটির প্রথম বর্ণন পোস্টার প্রকাশিত হয়। পোস্টারে জ্যোতিকা জ্যোতিকে নগ্ন পৃষ্টদেশ উপস্থাপন করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয়।[২৩][২৪] মাসুদ পথিক এই পোস্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের বিভৎস নির্যাতনের একটি সত্য চিত্র উপস্থাপন করেছেন, মর্মে সমালোচনার জবাব দেন। তবে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পূর্বে নতুন পোস্টার প্রকাশ করা হয়।[২৫]
চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। বাংলা মুভি ডেটাবেজে ফাহিম মনতাসির এই চলচ্চিত্রকে সামগ্রিকভাবে রেটিং প্রদান করেন।[২৬]
পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী | নারগিস আক্তার | বিজয়ী | [২৭] |
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | ইমন চৌধুরী | |||
শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী | মমতাজ বেগম (গান: "বাড়ির ঐ পূর্বধারে") | |||
ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী (গান: "মায়া, মায়া রে") | ||||
শ্রেষ্ঠ গীতিকার | কামাল চৌধুরী (গান: "চল হে বন্ধু চল") | |||
শ্রেষ্ঠ সুরকার | তানভীর তারেক (গান: "আমার মায়ের আঁচল") | |||
প্লাবন কোরেশী (গান: "বাড়ির ঐ পূর্বধারে") | ||||
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার | মাসুদ পথিক | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক | জুনায়েদ হালিম | |||
শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকার | মোঃ রাজু |