মারলিন জয়েস অটি, ওডি (জন্ম: ১০ মে, ১৯৬০) জামাইকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত স্লোভেনীয় প্রমিলা অ্যাথলেট। শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে জামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু, ২০০২ সাল থেকে স্লোভেনিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণ করেছেন। ইনডোরে ৬০ মিটার দৌঁড়ে সর্বকালের তালিকায় চতুর্থ, ১০০ মিটারে ষষ্ঠ ও ২০০ মিটারে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন মারলিন অটি। ১৯৯৩ সালে ইনডোরে ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন যা ২০১৫ সাল পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে। বর্তমানে তিনি স্লোভেনিয়ায় বসবাস করছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে তিনি দীর্ঘকালব্যাপী শীর্ষ পর্যায়ের স্প্রিন্টারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ৫২ বছর বয়সে ২০১২ সালের ইউরোপীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ৪x১০০ রিলেতেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।[২][৩] সর্বমোট ৯টি অলিম্পিক পদক জয় করেছেন তিনি। এছাড়াও ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের যে-কোন বিষয়ে সর্বাধিক সাতবার অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে রেকর্ড গড়েন। সর্বমোট ১৪টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পদকধারীও তিনি।[৪]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তার অসামান্য অর্জন ও দীর্ঘস্থায়ীত্বের কারণে তাকে ‘ট্র্যাকের রাণী’ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও ট্র্যাকের বৃহৎ আসরগুলোয় স্বর্ণ ও রৌপ্যের তুলনায় অধিকসংখ্যক ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তির ফলে তাকে ‘ব্রোঞ্জের রাণী’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।[৫]
মার্কিন উচ্চ লম্ফধারী ও ৪০০ মিটারের হার্ডলার ন্যাট পেজের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। মধ্য-আশির দশকে এ দম্পতি মারলিন অট-পেজ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন।[৬]
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী![]() |
মহিলাদের ২০০ মিটার ইনডোরে বিশ্বরেকর্ডধারী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ – বর্তমান |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |
পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
পূর্বসূরী![]() |
মহিলাদের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে বর্ষসেরা অ্যাথলেট ১৯৯০ |
উত্তরসূরী![]() |
পূর্বসূরী![]() |
ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল বর্ষসেরা অ্যাথলেট ১৯৯১ |
উত্তরসূরী![]() |
ক্রীড়া অবস্থান | ||
পূর্বসূরী![]() |
মহিলাদের ২০০ মিটারে বর্ষসেরা প্রদর্শনকারী ১৯৯০-৯১ |
উত্তরসূরী![]() |
পূর্বসূরী![]() |
মহিলাদের ২০০ মিটারে বর্ষসেরা প্রদর্শনকারী ১৯৯৩ |
উত্তরসূরী![]() |
অলিম্পিক গেমস | ||
পূর্বসূরী বার্ট ক্যামেরন |
জামাইকার পতাকাবাহক সিউল ১৯৮৮ বার্সেলোনা ১৯৯২ |
উত্তরসূরী জুলি কুথবার্ট |