মারিফাত (আরবী: معرفة; বাংলা অর্থ ‘জ্ঞান বা প্রজ্ঞা’) হচ্ছে সূফিবাদের শেষ স্তর। মারিফাত অন্বেষীকে ‘আরিফ’বা সর্বজ্ঞানী বলা হয়।'[১]
সূফিবাদের চারটি স্তর হচ্ছে শরীয়ত,ত্বরীকত,হাকীকত ও মারিফাত। শরীয়তের জ্ঞান,ত্বরীকতগত ও হাকীকতগত অভিজ্ঞতার সমন্বয় চর্চায় মারিফাত অনুসন্ধান বা অর্জন করে।
মারিফত অর্জিত আরিফ সম্পর্কে সুফিবাদের নিয়ম বা পদ্ধতির বই 'মাকামাত আল-আবরা' বইয়ের ২৫ তম বাণীর লেখক ও সূফিবাদের শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন
"দুই জগতের সব সৃষ্টির মাঝে (আরিফ) স্রষ্টাকে খুজে পান এবং তাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করায় কোন অভিযোগ নেই।"
একটি উদাহরণে বলা হয়েছে যে মারিফাত হচ্ছে সাগর থেকে মুক্তা সংগ্রহের মত। যেখানে শরীয়াহ হচ্ছে নৌকা,ত্বরীকত হচ্ছে সমুদ্রে ডুব দেয়া ও মুক্তা সংগ্রহের পদ্ধতি, হাকীকত হচ্ছে মুক্তা মারিফাত হচ্ছে সেই ক্ষমতা যেটি মুক্তা গুলো চিনতে পারে। [২]
মারফত তত্ত্বটি এসেছে খিদির ও মুসা আ. এর ঘটনা থেকে। যেখানে খিদিরের এই জ্ঞান বা ক্ষমতা রয়েছে।মারফত কখনো শেখানো যায়না বরং পূর্বের তিনটি নিয়ম অনুসরণ ও উৎকৃষ্ট চর্চার মাধ্যমে এটি অর্জিত হয়।