মারিয়ানা ইস্কান্দার | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | সিইও, সামাজিক উদ্যোক্তা |
পরিচিতির কারণ | সিইও, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন |
মারিয়ানা ইস্কান্দার একজন মিশরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সামাজিক উদ্যোক্তা যিনি স্কোল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি শীর্ষস্থানীয় এনজিও হারামবে ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্সিলারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালে তিনি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ পান এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১]
মারিয়ানা ইস্কান্দার মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন, সেখান থেকে চার বছর বয়সে পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বসবাস করেছেন। তার পরিবার টেক্সাসের রাউন্ড রকে বসবাস শুরু করে।[২] ইস্কন্দার রোডস স্কলার হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর অর্জনের পূর্বে রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাগনা কাম লডে হতে সমাজবিজ্ঞানে ডিগ্রী অর্জন করেন, যেখানে তিনি রোডস অ্যাসোসিয়েশন অফ উইমেন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে তিনি ইয়েল ল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হন।[২]
মারিয়ানা ইস্কান্দার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার এবং ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক উদ্যোক্তার জন্য স্কোল পুরস্কার এবং ইয়েল ল স্কুল ডিস্টিংগুইশড অ্যাল্যামনি অ্যাওয়ার্ড।[৩] ২০০২ সালে তিনি নিউ আমেরিকানদের জন্য পল ও ডেইজি সোরোস ফেলোশিপ লাভ করেন।[৪] এই ফেলোশিপ অভিবাসী বা অভিবাসীদের সন্তানদের দেওয়া হয় "যারা মার্কিন সমাজ, সংস্কৃতি বা তাদের একাডেমিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত"।[২] তিনি রোডস স্কলারশিপ ও হ্যারি এস ট্রুম্যান স্কলারশিপ লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালের অ্যাসপেন ইনস্টিটিউটে হেনরি ক্রাউন ফেলোস এবং তাদের অ্যাসপেন গ্লোবাল লিডারশিপ নেটওয়ার্কের সদস্য ছিলেন।[৫] এই সংগঠন এবং তার নেতৃত্ব স্কোল ফাউন্ডেশন[৬] এবং ইউএসএআইডি-র মতো সংস্থার পুরস্কার ও অর্থায়ন লাভ করেছে ও স্বীকৃতি পেয়েছে।[৭]
ইস্কান্দার ইয়েলের লিগ্যাল জার্নালে দুটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন: "কেন আইনশিক্ষা নারীদের ব্যর্থ করছে" এবং "পদ্ধতিগত বিষয় গুরুত্বপূর্ণ" শীর্ষক। মাইকেল লিন্ডসের ভিউ ফ্রম দ্য টপ এবং সেসিল রিচার্ডসের মেক ট্রাবল নামে দুটি বইতেও তার উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি আফ্রিকা পোর্টাল[৮] এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ডেইলি ম্যাভেরিক-এ নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।[৯]
ইস্কান্দার আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিন্টন স্কুল অফ পাবলিক সার্ভিসে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ইয়েল ল স্কুল,[১০] দ্য স্কোল ফাউন্ডেশন এবং কেপটকের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।[১১]